
Published on: নভে ১২, ২০১৮ @ ১০:১৬
এসপিটি নিউজ, সিমলা, ১২ অক্টোবরঃ গত কয়েক বছরে এমন আবহাওয়া দেখেনি হিমাচল প্রদেশ সহ হিমালয়ের ঘেরা রাজ্যগুলি। এ বছর তার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। এই নিয়ে শীতের মরশুমে দ্বিতীয়বার তুষারপাত শুরু হয়েছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তুষারপাতে আবৃত হিমাচলের বহু এলাকা। ঠান্ডার প্রকোপ এমনই যে মানুষ এখন ঘরের ভিতর নিজেকে বন্দি করে রাখতে বাধ্য হচ্ছে। কুলু সহ পাহাড়ি সমস্ত এলাকাই ফের বরফে ছেয়ে গেছে। কুলুতে ন্যূনতম তাপমাত্রা সমানে নীচে নামছে। লাহুল-স্পিতী এলাকাতেও পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।
কুলু এবং লাহুল-স্পিতী জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা কুলি, মানালি, বাঞ্জার এবং বহু এলাকা এখন তুষারাবৃত। জেলা সদর সহ মনিকরণ, ভুন্তর, মানালি, বাঞ্জার এলাকায় ঠান্ডা হাওয়ার বেগ ক্রমে বেড়েই চলেছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে মানুষ ঘরে হিটার সহ গরম জাতীয় জিনিসের সাহায্য নিচ্ছেন। বহু এলাকায় মানুষ অনেক কষ্টে আগুন জ্বেলে তার আঁচ নেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন।
আগুন জ্বালানোর জন্য মানুষ কাঠের টুকরো জোগাড় করে একত্রিত করছেন। সেই সঙ্গে ঘাস কেটে তা শুকানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন পশুর খাবারের জন্য।
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুসারে গোটা হিমাচলে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। পশ্চিমী হাওয়া সক্রিয় হতেই গোটা হিমাচলের উপরিভাগে তুষারপাত শুরু হয়েছে। মান্ডির কামরুনাগ, শিকারি দেবীর সঙ্গে রোটাং, লাহুল-স্পিতী, চাম্বা জেলার পাঙ্গী এবং ভরমৌর এবং ধৌলাধরের পাহাড়ি এলাকা সহ কিন্নর কৈলাসেও হাল্কা তুষারপাত দেখা গেছে। সোমবার হিমাচলের গোটা রাজ্যেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্ভাবনার পাশাপাশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
Published on: নভে ১২, ২০১৮ @ ১০:১৬