সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-রামপ্রসাদ সাউ
Published on: ফেব্রু ১৮, ২০১৮ @ ০১:৩২
এসপিটি নিউজ মেদিনীপুর, ১৭ফেব্রুয়ারিঃ আবেগ কোনও বাধা মানে না। ভাষা কখনও আলাদা করে না। সম্পর্ক কখনও কাউকে দূরে ঠেলে দেয় না। আবেগ-ভাষা-সম্পর্ক এসব চিরন্তন। দুই বাংলার মানুষের হৃদয়ের বিষয়।যা আবারও দেখা গেল শ্নিবার মেদিনীপুরের উরস উৎসবে। যেখানে দেখা গেল দুই বাংলার মানুষকে এক হয়ে যেতে।এ যেন সত্যিই এক মিলন উৎসব।
এদিন উরস উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে এক বিশেষ ট্রেনে চেপে তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে আসেন সেদেশের সাংসদ কামরুন নাহার চৌধুরি, বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। সাংসদ কামরুন নাহার বলেন, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে এসে অভূতপূর্ব ভালবাসা পেয়েছি। মেদিনীপুর পুরসভা ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন বাংলাদেশ থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের যাবতীয় সহযোগিতা করায় আমর খুশি। তিনি আরও বলেন, এর ফলে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হল।
বাংলাদেশের রাজবাড়ি থেকে উরস স্পেশাল ট্রেনে চেপে তীর্থযাত্রীরা গেদে সীমান্ত দিয়ে মেদিনীপুর স্টেশনে শনিবার ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আসেন। ট্রেনে মোট ২ হাজার ১৭৭জন তীর্থযাত্রী মেদিনীপুর জোড়া মসজিদ প্রাঙ্গনে ‘মওলা পাক’ হজরত সৈয়দ শাহ মুর্শেদ আলি আলকাদেরির (আঃ) ১৭৭তম উরস উৎসবে যোগদান করেন।
এদিন আগত তীর্থযাত্রীদের গোলাপ ফুল দিয়ে সম্বর্ধনা জানান কাউন্সিলর মৌ রায়, অনিল চন্দ্র দলবেরা, , তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি রামাপ্রসাদ গিরি সহ অন্যরা।
বাংলাদেশের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও লক্ষাধিক তীর্থযাত্রী এদিন উরস উৎসবে যোগ দিতে মেদিনীপুরে এসে পৌঁছন।
Published on: ফেব্রু ১৮, ২০১৮ @ ০১:৩২