মাসির বাড়িতে নাবালিকার বিয়ে, শেষ পর্যন্ত কি হল জানেন

রাজ্য
শেয়ার করুন

এসপিটি নিউজ, শালবনী: মাসির বাড়ি বেড়াতে এসেছিল কয়েকদিন আগে।১৩ বছর বয়সী নাবালিকার দিকে নজর পড়েছিল গ্রামেরই এক যুবকের। তলে তলে নাবালিকার মাসিকে হাত করে বিয়ের আয়োজনও সেরে ফেলেছিল যুবকটি। কিন্তু বাঁধ সাধল প্রশাসন। বিডিও-র হস্তক্ষেপে রক্ষা পেল নাবালিকা কিশোরী।কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ঘতে গেল অনেক কিছু।সব শেষে পুলিশ অভিযুক্ত যুবক দীপঙ্কর দাস (২৩) সহ তার বাবা-মা, পুরোহিত ও নাবালিকা-কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে শালবনীর মেমুল গ্রামে।

পরিকল্পিত ভাবে এক নাবালিকা কে বিয়ে করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে শালবনী ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ আটক করল অভিযুক্ত পাত্র দীপঙ্কর দাস (২৩) সহ  , পাত্রের বাবা , পুরোহিত ও নাবালিকা কে । নাবালিকার বয়স ১৩ বৎসর । ঘটনাটি ঘটেছে শালবনীর মেমুল গ্রামে । কি হয়েছিল মূল ঘটনা-যা জানা গেছে, তা হল-নাবালিকার বাড়ি মেদিনীপুর সদর ব্লকের গোলাপী চকে। কয়েক দিন আগেই মেয়েটি তার মাসির বাড়ি এসেছিল বেড়াতে। মেটির উপর ঞ্জর ছিল অভিযুক্ত যুবক দীপঙ্করের। সেই মত দীপঙ্করের বন্ধুরা মেয়েটির বাবা-মায়ের অজান্তেই দীপঙ্করের সঙ্গে ওই নাবালিকার বিয়ে ব্যবস্থা করে। গ্রামে বিয়ের আয়োজনও করে ফেলে তারা।এর মধ্যে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শালবনী ব্লকের যুগ্ম বিডিও পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বিয়ে বাড়িতে পুলিশ দেখেই দীপঙ্কর তখন দেরী না করেই চটজলদি ওই নাবালিকার সিঁথিতে সিঁন্দুর পরিয়ে দেয়। পুলিশের সামনে এমন ঘটনা দেখে তারাও বেশ চটে যায়। তারা বলতে থাকে, এত বড় সাহস!পুলিশকে উপেক্ষা!এভাবে বিয়ে হতে পারে না-বলে ওঠে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা বিডিও।পুলিশকে তিনি নির্দেশ দেন-এই মুহূর্তে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত দীপঙ্কর দাস, দীপঙ্করের বাবা-মা, পুরোহিত-সহ অভিযুক্ত যুবকের কয়েক জন বন্ধু এবং ওই নাবালিকা-কে যেন আটক করে শালবনী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।যেমন নির্দেশ তেমন কাজ। সকলেই তখন বিয়ের ছাদনাতলা থেকে পুলিশের গৃহে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 2 = 5