সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: আগ ১, ২০১৮ @ ২২:৫৭
এসপিটি নিউজ, শালবনি ১ আগস্টঃ আজব কাণ্ড শালবনীর ১০ নম্বর কর্ণগড় অঞ্চলের বুড়িশোল গ্রাম৷যেখানে একটি পরিবারে অনাহারের ছবি। পরিবারের একজন মদ খাওয়ার খরচ জোগাতে রেশন কার্ড বন্ধক রেখেছে। যার ফলে সেই পরিবারকে বেশ কয়েকদিন অভুক্ত থাকতে হয়। এই খবর পাওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই পরিবারকে সাহায্য করা হয়।
জানা গেছে, বুড়িশোল গ্রামে থাকেন যামিনী ভুঁইয়া ও তাঁর পরিবার।স্বামী পরিত্যক্তা যামিনীর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। ছোটো ছেলে পিন্টু ভুঁইয়া যক্ষা রোগে ভুগছে। দুই মেয়ে প্রতিমা ভুঁইয়া ও কৃষ্ণা ভুঁইয়া মূক- বধির ও মানসিক প্রতিবন্ধী। সমাজের ক্রূরতা এই মূক ও বধির প্রতিমাকে দুইবার দুই পুত্র সন্তানের জননী করেছে কিন্তু পিতৃপরিচয় দেয়নি। ঈশ্বরের আর্শীবাদে অনাহারক্লিষ্ট এই তিন-চার বছরের দুটি সন্তানই সুস্থ। ২ টাকা কিলো দরে সপ্তাহান্তে মোট ১০ কেজি চাল পাওয়ার কথা এই পরিবারের। কিন্তু যামিনী ভুঁইয়া রেশন কার্ড বন্ধক দিয়ে মদের খরচা জোগাড় করে চলেন৷ সচেতনতার অভাবে ও এলাকার কিছু মানুষের জন্য পরিবারটি অনাহারক্লিষ্ট।
ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক অভিজিত ঘোষ নিজের বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল থেকে দীর্ঘদিন যাবত নিজে গিয়ে দিয়ে আসেন এই পরিবারের খাবার। বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে জোটে না খাবার পরিবারটির।বাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ত্রিপল দিয়ে আপাতত ছাউনি দিয়েছেন এবং অঞ্চল থেকে ত্রানসামগ্রী দিয়ে আসা হয়েছে।
শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ এবং বিডিও পুষ্পল সরকারকে পুরো বিষয়টি অবহিত করা হয়। প্রশাসন ডিজাস্টার কিট বুধবারই পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং যে কোনো ফান্ড থেকে দরকারে নিজস্ব ফান্ড থেকে একমাসের মধ্যে নতুন বাড়ি দেওয়ার বা পুরানো বাড়িটি সম্পূর্ণ মেরামত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইসি বিশ্বজিৎবাবু এলাকায় বেআইনি মদের দোকানগুলি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন। যামিনী ভুঁইয়ার দুই মেয়ের যাতে প্রতিবন্ধী কার্ড করানো যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক প্রকল্পে তাদের যাতে সাহায্য করা যায় তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
Published on: আগ ১, ২০১৮ @ ২২:৫৭