কলকাতায় থেকে শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরিয়ে রাজস্থান সরকারের থেকে প্রশংসিত হিংলাজ দন রত্নু

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: মে ১৬, ২০২৩ @ ১০:৫৯
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৬ মে: যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন। হিংলাজ দন রত্নু হলেন তেমনই একজন দায়িত্বশীল আধিকারিক। গত চার বছর ধরে তিনি একাই রাজস্থানের সরকারি প্রতিনিধি হয়ে কলকাতায় নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। নিজের পরিবার-পরিজন ছেড়ে রাজস্থান সরকারের প্রতি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। মণিপুর কান্ডের পর সেখান থেকে যেভাবে ৮২জন শিক্ষার্থীকে কলকাতায় নিয়ে এসে তাদের দেখভালের ব্যবস্থা করে এবং সুষ্ঠুভাবে প্রতিটি পড়ুয়াকে নির্বিঘ্নে রাজস্থানে ঘরে পাঠিয়েছেন তা রাজস্থান সরকারের নজরে এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে রাজস্থান ফাউন্ডেশনের কমিশনার ধীরাজ শ্রীবাস্তব এজন্য হিংলাজ দন রত্নুর প্রশংসা করেছেন।তিনি বলেছেন- হিংলাজজি, আপনি একা যেভাবে কলকাতায় দাঁড়িয়ে থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের ফিরিয়েছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ। আপনি তো গোটা রাজস্থানের মুখ হয়ে কাজ করেছেন।

রাজস্থান সরকারের নির্দেশ মেনে সফল দায়িত্ব সামলেছেন হিংলাজ দন রত্নু

একান্ত সাক্ষাৎকারে সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে কলকাতায় রাজস্থান সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের অ্যাসিস্টায়ন্ট ডিরেক্টর হিংলাজ দন রত্নু বলেন-  মণিপুর কান্ডের পর থেকেই রাজস্থানে বসবাসকারী মানুষ তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য খুবই চিন্তিত ছিল। রাজস্থানের যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সেইসব বাবামায়ের চিন্তা দূর করার উদ্যোগ নেন। তাঁর উদ্যোগেই দুই ধাপে শিক্ষার্থীদের ইম্ফল থেকে নিয়ে আসা হয়। দুই ধাপে নিয়ে আসা হয় তাদের। প্রথমে আসে ৩৬জন। এরপর ৪৬জন। মোট ৮২জন। সকলকেই ফ্লাইটে করে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু রাজস্থানে তাদের তিনটি ট্রিপে পাঠানো হয়। সমস্ত খরচ রাজস্থান সরকার বহন করেছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট-এর উদ্যোগে এসব সম্ভব হয়েছে। এবং অবশ্যই রাজস্থান ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ধীরজ শ্রীবাস্তব।এসব কো-অর্ডিনেট তিনিই করেছেন। তিনি এখন দুইটি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন- এক, দিল্লিতে রাজস্থান সরকারের রেসিডেন্ট কমিশনার এবং দুই, রাজস্থান ফাউন্ডেশনের কমিশনার হিসাবে।

দায়িত্বশীল সমাজসেবী প্রহ্লাদ রাই গোয়েঙ্কার ভূমিকার প্রশংসা

যে সমস্ত বাচ্চারা এয়ারপোর্টে নেমেছে তাদের সকলের জন্য খাবার-দাবার থেকে শুরু করে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৩জন বাচ্চাকে এখানে রাতে রাখা হয়েছিল। কারণ, তাদের পরের দিনের ফ্লাইট ছিল। এখানে একজন অত্যন্ত দায়িত্বশীল সমাজসেবী প্রবাসী মারোয়ারি ব্যক্তি আছেন, চ্যারিটিতে সবার আগে থাকেন- প্রহ্লাদ রাই গোয়েঙ্কা। তিনি সব ব্যবস্থা করেছেন। তাদের হরিয়ানা ভবনে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন। এখান থেকে  দেখভাল করে নিরাপদেই বাচ্চাদের রাজস্থান পাঠিয়েছি। এদের মধ্যে মেডিক্যাল, আইআইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রিকালচার সব বিভাগের শিক্ষার্থী আছে। তারা সকলেই রাজস্থানের বিভিন্ন প্রান্তে থাকেন- যোধপুর, জয়শলমির, উদয়পুর সহ একাধিক জায়গায়।এদের সকলকে জয়পুর এয়ারপোর্টে পাঠানো হয়।সেখান থেকে আবার তাদের নিরাপদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসা হয়েছে। বলেন হিংলাজ দন রত্নু।

জয়পুরে স্বাগত জানান রাজস্থান সরকারের দুই মন্ত্রী

জয়পুর বিমানবন্দরে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থান সরকারের শিল্পমন্ত্রী শকুন্তলা রাওয়াত এবং মহিলা ও শিশু কল্যান মন্ত্রী মমতা ভুপেশ। এদের সঙ্গে রাজস্থান সরকারের আধিকারিক থেকে সকলেই সহযোগিতা করেছেন। একই সঙ্গে কলকাতায় রাজস্থান সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগ অফিসের সহকারী নেহা চ্যাটার্জি সহযোগিতে করেছেন। এয়ারপোর্ট অথোরিটি, সিআইএসএফ সহযোগিতা করেছে।

কলকাতায় রাজস্থানের মুখ হয়ে কাজ করেছেন হিংলাজ দন রত্নু

হিংলাজ দন রত্নু অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানান, ৭ ও ৮ মে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা হয়েছে।এই গোটা কর্মকান্ডের জন্য বিশেষভাবে আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজস্থান ফাউন্ডেশনের কমিশনার ধীরাজ শ্রীবাস্তব। তিনি বলেছেন যে হিংলাজজি, জয়পুরে বাচ্চাদের রিসিভ করার জন্য তো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন, গোটা সরকার ছিল, মন্ত্রালয় ছিল। কিন্তু কলকাতায় আপনি সম্পূর্ণ একা দাঁড়িয়ে গোটা কর্মকান্ড সামলেছেন, যেন গোটা রাজস্থান দাঁড়িয়ে আছে, রাজস্থানের মুখ হয়ে দায়িত্ব সামলেছেন।একই সঙ্গে হিংলাজ যোগ করেন-  যখন জয়পুরে বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে তোমাদের কেমন লেগেছে? উত্তরে তারা কলকাতার প্রশংসায় মেতে উঠেছে। সকলেই বলেছে যে কলকাতা আমাদের খুব ভালো রেখেছে।

Published on: মে ১৬, ২০২৩ @ ১০:৫৯


শেয়ার করুন