
Published on: ফেব্রু ৪, ২০২৫ at ২৩:৫০
Reporter: Aniruddha Pal
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৪ ফেব্রুয়ারি : ক্যানসার রোগ নিয়ে আজও মানুষের মধ্যে অনেক চিন্তা। আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবসে কলকাতায় মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আয়জিত এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে একজন ক্যানসারজয়ী মানুষ হিসাবে তার সেই চিন্তার কথাই তুলে ধরলেন নিজের মতো করে। ক্যানসার রোগের চিকিৎসার ওষুধের দাম সস্তায় করা যায় কিনা তা নিয়ে উপস্থিত ডাক্তারদের কাছে অনুরোধ রাখলেন খ্যাতনামা নাট্য অভিনেতা ও পরিচালক চন্দন সেন। কিভাবে সম্ভব হতে পারে তাও পরিষ্কার করে দিলেন তিনি। তার আগে অবশ্য ক্যানসার রোগের চিকিৎসার জন্য লক্ষাধিক টাকার ওষুধের বিষয়ে আলোকপাত করেন মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের প্রফেসর (ডঃ) সুবীর গাঙ্গুলি, সিনিয়র কনসালটেন্ট, এডভাইজার, রেডিয়েশন অনকোলজি।
ডঃ সুবীর গাঙ্গুলি এদিন বলেন- “এখন পার্সোনালাইজড মেডিসিনের জন্য যে ওষুধগুলি বেড়িয়েছে অফলেট তার মধ্যে টারগেটেড থেরাপি, বায়োলজিক্যাল থেরাপি বিভিন্ন নামে বের হচ্ছে। লেটেস্ট হচ্ছে ইমিউনো থেরাপি- এই ওষুধগুলির প্রচুর দাম। সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রীয় বাজেটে এর মধ্যে কিছু ওষুধের উপর থেকে শুল্ক কমানো হয়েছে। তাতে মানুষ ভাবছেন যে দাম অনেক সস্তা হবে। কিন্তু আমরা যারা এটা নিয়ে কাজ করি আমাদের যেটা মনে হচ্ছে মাসে দু’লাখ টাকা খরচের যে ওষুধ তার উপর কাস্টমস ডিউটি কমলে সেটা হয়ত ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হবে। তাতে কি সমস্যার সমাধান হবে? সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা এ ব্যাপারে খুব আশাবাদী নই। আর যদি বা কিছু আর্থিক সুবিধা হবে সেগুলি মাল্টিন্যাশনাল যে সব কোম্পানি যারা ওষুধ বিক্রি করেন তাদের কিছু সুবিধা হলেও হতে পারে। এবং ক্রিমি লেয়ার যারা তাদের কিছু সুবিধা হলেও হতে পারে। এ ওষুধগুলি ব্যবহার করেন ক্যানসার পপুলেশনের খুব বেশি ১০ শতাংশ মানুষ। আর কেউ পারে না করতে। এটাই হল বাস্তব। “
এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন নাট্যকার নাট অভিনেতা ও পরিচালক চন্দন সেন বলেন- “ আপনারা জানেন যে ১৮ লক্ষ কোটি টাকা কর ছাড় দিচ্ছেন এমন সমস্ত লোকজন আছে এই ভারতবর্ষের বুকে। এই যে সমস্ত ইনিসিয়েটিভ আপনারা নিচ্ছেন এদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে শুধু ওষুধ সস্তায় দেওয়া যায় এমন কিছু কি করা যায় না ! কারণ, আমি তো জানি যে ওষুধের পিছনে কত পয়সা যায়। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এমন কিছু ভাবনা যদি ভাবেন তাহলে ভাল হয় যে শুধু ওষুধটা দেবেন এবং যারা আমাদের যাবতীয় পয়সাকড়ি সব নিয়ে নিচ্ছে তথাকথিত ২০-২২টি পরিবার ভারতবর্ষে তাদের কাছ থেকে এই টাকাগুলি নিয়ে যদি সেই ব্যবস্থাটা করা যায়। কারণ, আমার সময় দেখেছি এখনও দেখতে পাচ্ছি যে সব চাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে যে পরিমাণ ওষুধের দাম আর কি ! সেগুলি যদি আপনারা একটু ব্যবস্থা করতে পারেন একটু আলাদা করে শুধু ওষুধটা পাবে একটা জায়গা থেকে। একটু সস্তায় পাবে। সেটি যদি করতে পারেন তবে খুব ভাল হয়। “
Published on: ফেব্রু ৪, ২০২৫ at ২৩:৫০