Published on: ডিসে ১২, ২০২০ @ ১৮:১১
এসপিটি নিউজ: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের প্রয়াস সফল। আগের চেয়ে এখন তিনি দ্রুত চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। শরীরে পালস রেট, রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে। ঠিক আছে অক্সিজেনের মাত্রাও। আর তাই শুক্রবারই তাকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করে আনা হয়। ঘুমের ওষুধ দেওয়াও বন্ধ করা হয়। রাতে তিনি ভালো ঘুমিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে সঙ্কটমুক্ত হলেও এখনই তাঁকে ছাড়া হচ্ছে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে আগামী সপ্তাহে ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শুক্রবার সঙ্কট কমার পরেই বুদ্ধদেববাবুকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করে আনা হয়। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় তিনি ভালোমতোই চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন। এখন তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কথা বলেছেন স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে। তবে তাঁর কেবিনে সর্বক্ষনের জন্য একজনকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বুদ্ধবাবুর সর্বক্ষণের সঙ্গী তপনবাবুর কথা ভাবা হয়েছে। কারণ, বুদ্ধবাবু তাঁর খোঁজ করেছেন। এখন তাঁর করোনা পরীক্ষা করিয়ে যদি দেখা যায় রিপোর্ট নেগেটিভ, তা হলে তাঁকে বুদ্ধবাবুর কেবিনেই রেখে দেওয়া হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বুদ্ধবাবুর চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘‘উনি এখন অনেকটা কম সঙ্কটে। যখন প্রথম ভর্তি হয়েছিলেন, তখন কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ছিল ১৩১। এই অবস্থায় যে কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। তাই পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিয়ে ভেন্টিলেশনে তাঁকে দেওয়া হয়।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করেছিলাম কী ভাবে ভেন্টিলেশন থেকে ধীরে ধীরে তাঁকে বের করে আনা যায়। সেই লড়াইটা জেতা হয়ে গিয়েছে। এ জন্য শুক্রবার সকাল থেকে ওঁর ঘুমের ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ভেন্টিলেটরের নল খুলে দেওয়া হয়। তার পর থেকে বাইপ্যাপে রাখা হয়। এটা তো ওঁর বাড়িতেও চলত। এটাকে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর বলে।’’
বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থার উন্নতির বিষয়টি পর্যবেক্ষণের পর আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোম অথবা মঙ্গলবার ডিসচার্জ করা হতে পারে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বুদ্ধবাবুর শারীরিক সমস্যা হলে হাসপাতালে ভর্তির ব্যাপারে নিমরাজি ছিলেন তিনি। বাড়িতেই বাইপ্যাপ সিস্টেমে রাখা হয় তাঁকে। হাসপাতালের তরফে, সিইও রুপালি বাসু জানিয়েছেন, “চিকিৎসকদের সঙ্গে উনি কথা বলছেন। রাইলস টিউবও দ্রুত খুলে দেবার ব্যাপারে এবার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।”চোখের সমস্যার জন্যও আজই চিকিৎসকরা তাঁর চোখের সমস্যা খতিয়ে দেখবেন। গতকাল থেকে তিনি নিজেই চিকিৎসকদের কাছে তাঁর সমস্যার কথা বলছেন।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরেই সিওপিডি-র সমস্যায় ভুগছেন। বুধবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন তাঁর জ্ঞান ছিল না। প্রথমে তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। রাতে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। শুক্রবার তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয়।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অবস্থা এখন কিছুটা হলেও স্থিতিশীল।
Published on: ডিসে ১২, ২০২০ @ ১৮:১১