
Published on: এপ্রি ২৯, ২০১৮ @ ২৩:২৪
এসপিটি নিউজ, মায়াপুর, ২৯ এপ্রিলঃ শ্রীহরির অবতার ভগবান নৃসিংহদেবের আবির্ভাব তিথি উৎসব ঘিরে নতুন সাজে সেজে ওঠে মায়াপুর ইসকন। শনিবার মহাসমারোহে তাঁর যজ্ঞানুষ্ঠান ও অধিবাস হয়। আর রবিবার ছিল অভিষেক অনুষ্ঠান। যা এদিন এক মহোৎসবের আকার নেয়। দেশ-বিদেশের ভক্তদের ঢল নামে এদিন মায়াপুরে। দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে অভিষেক অনুষ্ঠান। চন্দ্রোদয় মন্দিরে ভগবান নৃসিংহদেবের মন্দিরেই হয় এই অনুষ্ঠান। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইসকনের সন্ন্যাসী-ব্রহ্মচারীরা। শ্রীহরির নাম সংকীর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকে এই অভিষেক প্রক্রিয়া। যা এক মহোৎসবের আকার নেয়।
অভিষেক প্রক্রিয়ায় দুধ, তেল, গঙ্গা জল, আরও অনেক সুগন্ধী তেল, গোলাপ জল সহ আরও অনেক নির্দিষ্ট জিনিস দিয়ে ভগবান নৃসিংহদেবের অভিষেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এদিন এই অভিষেক অনুষ্ঠান দেখতে অনেক আগে থেকেই ভক্তরা হাজির হয়ে গেছিলেন। সকলেই শৃঙ্খল্ পরায়নভাবেই অভিষেক প্রক্রিয়া দেখেন।
অভিষেক প্রক্রিয়া চলার সময় প্রতিবারই নৃসিংহদেবকে নানা ধরনের ফলের মালা পড়ানো হয়। যার মধ্যে ছিল-আঙুর, লেবু, আম, চেরি। এছাড়াও তুলসির মালাও পড়ানো হয় তাঁকে। মন মন দুধ দিয়ে স্নান করানো হয় শ্রীহরির এই অবতারকে। এরপর তেল ঢালা হয়। এসবই বিশালাকার এক শঙ্খের মধ্যে করেই ঢালা হয়। ইসকনের সন্ন্যাসী মহারাজরা এক এক করে স্নান করাতে থাকেন। এইসময় হরিনাম সংকীর্তন থেকে শুরু করে উলুধ্বনি সব হতে থাকে। ভক্তরা ভগবান নৃসিংহদেবের নামে জয়োধ্বনি দিতে থাকেন। জয়োধ্বনি দিতে থাকেন ভক্ত প্রহ্লাদের নামেও।
এরপর একে একে গঙ্গা জল, সুগন্ধী তেল দিয়ে স্নান করানো হয়। দেওয়া হয় সুগন্ধী পাউডারও। এরপর সন্ন্যাসীরাই ছোট আকারের ব্রাশ দিয়ে তা ঝেড়ে ফেলে দেন।পরে আবারও গোলাপ জল থেকে শুরু করে গঙ্গা জল দিয়ে ফের স্নান করানো হয়। অবশেষে সন্ধ্যায় এই অভিষেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
Published on: এপ্রি ২৯, ২০১৮ @ ২৩:২৪