Published on: মার্চ ৪, ২০২২ @ ১৮:০৮
Reporter: Aniruddha Pal
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৪ মার্চ: এবার কলকাতা বইমেলা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ, ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় এবার থিম কান্ট্রি করা হয়েছেন বাংলাদেশকে।বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে, যা সত্যিই আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলাকে এক অন্য রূপ দিয়েছে। থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ তাই বইমেলায় তাদের থিম রেখেছে ‘মুজিব চিরন্তন’।পালিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ দিবস’।
বইমেলায় বাংলাদেশের থিম ‘মুজিব চিরন্তন’
বাংলাদেশ ডেপুটি হাই-কমিশনের প্রথম সচিব, প্রেস রঞ্জন সেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন- এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের থিম ‘মুজিব চিরন্তন’। এই থিমের উপর ভিত্তি করে আমাদের স্লোগান – “সৃজনে মননে মানবিক দেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ” । ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল মূলত: স্বাধীনতার ডাক, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আহবান এবং অনুপ্রেরণা। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটিকে বিশ্ব প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মুজিববর্ষে তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণকে কেন্দ্র করেই এবারের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হয়েছে।
উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে “বাংলাদেশ”-কে থিম কান্ট্রি করে ৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলার শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করা হয়। পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ড আয়োজিত ‘৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তক মেলা ২০২২-এর উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ।কলকাতার বিধাননগরের করুণাময়ীর সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গনে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ দিবস পালিত- অনুষ্ঠিত দু’টি সেমিনার
বইমেলায় দুইদিনের “বাংলাদেশ দিবস” পালিত হয়। সেখানে দু’টি সেমিনার হয়।প্রথম সেমিনারের বিষয় ছিল “রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং তাঁর তিনটি বই”। মূল আলোচক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবি কামাল চৌধুরী।জাতির পিতার তিনটি বইয়ের উপর আলোচনা করেন কবি তারিক সুজাত, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক চিন্ময় গুহ। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।
দ্বিতীয় সেমিনারের বিষয় ছিল “সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-ভারত বই বিনিময় ও বিপণনঃ সমস্যা ও সম্ভাবনা”। মূল আলোচক ছিলেন ইউনিভাসিটি প্রেস লিঃ, বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মাহরুখ মহিউদ্দিন।আলোচনা করেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, পাবলিশার্স ও বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়, গিল্ডের সভাপতি দে’জ পাবলিশিংয়ের সুধাংশু শেখর দে। কবিতা আবৃত্তি করেন আসলাম সানী। সন্ধ্যার সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
Published on: মার্চ ৪, ২০২২ @ ১৮:০৮
