ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্রান্সিসকো মারিনো এক প্রতিবেদনে লিখেছেন- লাখ চেষ্টা করেও পাকিস্তান বালাকোটের হামলার ঘটনা আড়াল করতে পারল না।
প্রমাণ দিয়ে তিনি লিখেছেন- সেদিন বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলায় প্রায় ১৭০জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
Published on: মে ৯, ২০১৯ @ ১০:১৫
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ ইতালির এক সাংবাদিক দাবি করেছেন্ন- ২৬শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকে জৈশ-ই-মহম্মদের ১৭০জন জঙ্গি নিহত হয়। ওই সাংবাদিকটি আরও জাম্নিয়েছেন- লাখ চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত এই সত্য আটকাতে পারেনি পাকিস্তান সরকার এবং তাদের সেনা।এক ওয়েবসাইট স্ট্রিঙ্গার এশিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্রান্সিসকো মারিনো জানিয়েছেন, হামলায় আহত ৪৫জন জঙ্গির এখনও চিকিৎসা চলছে।
পাকিস্তানের চেষ্টা ব্যর্থ
মারিনো তাঁর প্রতিবেদনে এও উল্লেখ করেছেন যে পাকিস্তান ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইককে মিথ্যা প্রমাণ করার বহু চেষ্টা চালিয়েছে। এতসবের পরেও মারিনোর সূত্রটি জানিয়েছে, ২৬শে ফেব্রুয়ারি বালাকোটে জৈশ্রের ক্যাম্পে ঠিক কি ঘটেছিল।তা নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে দেখা গিয়েছে যে সেদিন সত্যি সেখানে এয়ার স্ট্রাইক হয়েছিল। কিন্তু এতদিনে তা সামনে আসতে শুরু করেছে। এর অনেক প্রমান এখন হাতে আসতে শুরু করেছে।
পাকিস্তানি সেনা সেখানে ৬টা নাগাদ পৌঁছেছিল
প্রতিবেদনটিতে মারিনো লিখেছেন- ” এটা সকলেই জানেন যে ভারতীয় বায়ুসেনা রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ এই হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানি সেনা খুব নিকটবর্তী ক্যাম্প শিনকারী থেকে সকাল ৬টা নাগাদ সেখানে পৌঁছেছিলেন। শিনকারী বালাকোট থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শিনকারী পাকিস্তানি সেনার জিনিয়র লিডারদের বেস ক্যাম্প। সেখান থেকে তারা হামলার জায়গায় গিয়ে তারা আহতদের হরকত-উল-মুজাহিদিন-এর ক্যাম্পে পৌঁছে দিয়ে আসেন। সেখাকনে পাকিস্তানি সেনার ডাক্তাররা তাদের চিকিৎসা শুরু করেন। স্থানীয় সূত্র বলছে, সেখানে এখনও ৪৫জন জঙ্গির চিকিৎসা চলছে। ২০জনের চিকিৎসা চলার পর তাদের মৃত্যু হয়েছে।
সেনার দখলে আহত জঙ্গি
ওই ইতালিয়ান সাংবাদিক আরও লিখেছেন- “যেসব জঙ্গির চিকিৎসা চলছে, তারা সকলেই রয়েছে সেনার তত্ত্ববধানে। কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করার পর এবং কিছু প্রমাণ মেলার পর এটা বলা এখন অনেক বেশি সুরক্ষিত যে সেদিনের হামলায় প্রায় ১৩০ থেকে ১৭০জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১১জন ট্রেনার বা প্রশিক্ষক ছিলেন। তার মধ্যে আবার দু’জন প্রশিক্ষক আফগান ছিলেন।
মৃত সেইসব জঙ্গির পরিবারকে নগদ অর্থ দেওয়া হয়
মারিনো তাঁর প্রতিবেদনে আরও দাবি করেন যে হামলার পর মৃত জৈশ জঙ্গিদের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন জৈশের অন্যান্য জঙ্গিরা। তারা সেখানে গিয়ে মৃতদের পরিবারের হাতে নগদ অর্থ তুলে দিয়ে আসেন।বালাকোট ক্যাম্পের নীচের দিকে ‘ব্লু পাইন হোটেল’ আছে। তার নীচে এক নয়া সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। সেখানে লেখা-‘তালিম-উল-কুরান’। প্রথমে এখানে জৈশের সাইন বোর্ড টাঙানো ছিল। ক্যাম্প এখন সেবনার দখলে আছে। ক্যাপ্টেন পদ মর্যাদার এক আধিকারিক এটি সামলাচ্ছেন।
এখানে পুলিশের যাওয়ারও অনুমতি নেই
এই প্রতিবদেনটিতে আরও জানা গিয়েছে যে, ‘ স্থানীয় বাসিন্দা তো দূর অস্ত পুলিশ পর্যন্ত ক্যাম্পের আশপাশে যেতে পারছে না। তাদের সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুরনো লকজনের মধ্যে এখানে কিছু শিশু এবং ৪জন অধ্যাপক বেঁচে আছেন। লোকজনের মধ্যে জল্পনা চলছে যে ক্যাম্প থেকে ম্ররতদেহ গুলি নিয়ে সামনের কুনহার নদীতে তা ছুঁড়ে ফেলা হয়। জৈশের লোকজন দাবি করেছে যে তারা এই হামলার বদলা অবশ্যই নেবে।
Published on: মে ৯, ২০১৯ @ ১০:১৫