“ট্রিপল টি অর্থাৎ তৃণমূল-তোলাবাজি-ট্যাক্স-এর ধাক্কা আপনাকে বর্বাদ করে দিচ্ছে।”
“যিনি পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র গুন্ডাতন্ত্রে বদলেছে, তার ঘুম ইতিমধ্যেই জনতা ছুটিয়ে দিয়েছেন।”
“যে অনুপ্রবেশকারীদের দিদি নিজের ক্যাডার বানিয়েছেন, তাদের তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করা হবে।এজন্য এখানে স্পিড ব্রেকার দিদি ভয় পেয়ে গিয়েছে।”
Published on: মে ৯, ২০১৯ @ ১৮:০৬
এসপিটি নিউজ, পুরুলিয়া, ৯ মে: আবারও তিনি বক্তৃতায় সংযমের পরিচয় দিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় নির্বাচনী জনসভায় দাঁড়িয়ে পশ্চিমমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে দুষলেন। দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে থাপুড় মারার বিষয়টির নমনীয় জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বললেন- “দিদি, ও দিদি! আপনাকে আমি তো দিদি বলে ডাকে। আদর করি। তাই আপনার একটি থাপ্পড় আমার কাছে আশীর্বাদ হয়ে উঠবে।
মোদির চ্যালেঞ্জ মমতাকে-ক্ষমতা থাকলে তোলাবাজদের থাপ্পড় মেরে দেখান
গত ৭ই মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন- “যখন মোদি পশ্চিম বাংলায় এসে বলেন-মমতাদিদি তোলাবাজ। তখন মনে হয়, দিওই একটা কষিয়ে গণতন্ত্রের থাপ্পড়।” এই মন্তব্যের জবাব এদিন এভবাবেই দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।এরপর তিনি যোগ করেন-“সেটাও আমি হজম করে নেবো। কিন্তু এটাও বলবো, যদি আপনি ওইসব মানুষগুলিকে থাপ্পড় মারার ক্ষমতা দেখাতেন যারা চিটফান্ডের নাম করে গরিবের টাকা লুঠেছে তাহলে আপনার এত ভয় হতো না। যদি আপনি ওই তোলাবাজদের থাপ্পড় মারার ক্ষমতা দেখাতেন তাহলে আজ ট্রিপল টি অর্থাৎ তৃণমূল-তোলাবাজি-ট্যাক্স-এর ধাক্কা আপনাকে বর্বাদ করে দিতো না।”
এরপর মোদি মা-মাটি-মানুষ নিয়ে সের একবার খোঁচা মারেন। বলেন- “মা-মাটি-মানুষের কথা বলে দিদি আপনাদের সমস্ত ভোট নেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু আজ মা নিজের সন্তানকে বাঁচানোর জন্য পরিশ্রান্ত, চিন্তিত, উদ্বিগ্ন। তিনি কাঁদছেন। আপনারা মাটির কথা বলে থাকেন। সেই মাটি আজ নির্দোষ লোককজনের রক্তে লাল হয়ে গেছে। আর মানুষ আজ বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।”
পুরুলিয়াবাসীর সামনে মাথা নত করে প্রণাম জানাই
“আজকাল দেশজুড়ে মোদিকে গালি দেওয়ার অভিযান শুরু হয়েছে। আপনারা সব দেখছেন।এতে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেছে যে একমত হয়ে যেসমস্ত ভোটার ভোট দিয়েছেন তাতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। আমি পুরুলিয়া বাসীর সামনে ফের মাথা নত করে প্রণাম জানাচ্ছি। যেভাবে আপনারা দিদির অত্যাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন তা দেখে দিদির পায়ের তলা মাটি কাঁপতে শুরু করেছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে যাচ্ছি যে বিজেপির এক এক কার্যকর্তা আপনাদের সাথে আছে।গোটা দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে। বলা হয় পুরুলিয়া যা আজ ভাবে পশ্চিমবঙ্গে সেটাই ভাবনা হয়ে ওঠে। যিনি পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র গুন্ডাতন্ত্রে বদলেছে, তার ঘুম ইতিমধ্যেই জনতা ছুটিয়ে দিয়েছেন।”
“ফলাফল প্রকাশ হতেই দিদির অহঙ্কার চূর্ণ হতে শুরু করবে”-মোদি
“২৩মে যখন ভোটের ফলাফল প্রকাশ হবে তখন থেকেই দিদির অহঙ্কার চূর্ণ হতে শুরু করবে। ২৩ তারিখের পর ভারতের সংবিধান সকলের হিসাব করবে। দেশের গণতন্ত্র সকলের হিসাব নেওয়া শুরু করবে। আমি আপনাদের আশ্বাসন দিতে চাই- “যে অনুপ্রবেশকারীদের দিদি নিজের ক্যাডার বানিয়েছেন, তাদের তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করা হবে। যারা এখানে আমাদের মেয়েদের হয়রান করে যায় আমাদের সভ্য বাংলায় মানুষদের হয়রান করে তাদের সনাক্ত করা হবে। এজন্য এখানে স্পিড ব্রেকার দিদি ভয় পেয়ে গিয়েছে।” বলেন মোদি।
“মন হোক ভয়মুক্ত আর লক্ষ্য হোক সম্মানের চেয়েও উঁচু”
“আজ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী। আমি তাঁকে সম্মানপূর্বক অঞ্জলি দিচ্ছি। গুরুদেব এমন এক ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে তিনি বলেছিলেন- মন হোক ভয়মুক্ত আর লক্ষ্য হোক সম্মানের চেয়েও উঁচু। কিন্তু প্রথমে কংগ্রেস তারপর কম্যিউনিস্ট এবং এখন দিদি গুরুদেবের শিক্ষাকে একেবারে ফালা ফালা করে দিয়েছে। রাজনীতির প্রচার করার জন্য খুন করা হয়। ‘জয়শ্রীরাম’, জয় মাকালী, জয় মা দুর্গা স্লোগান দেওয়া মানুষদের দিদি জেলে পুরে দিচ্ছেন।”
“দলীয় কর্মীর খুন বিফলে যাবে না”
“পুরুলিয়াতে খুন হওয়া বিজেপি কর্মীর খুন নিয়েও মুখ খুলেছেন মোদি। তিনি বলেন, তাঁর খুন কোনওভাবেই বেকার হয়ে যাবে না। পুরুলিয়ায়া সম্পদ কম নেই। আপনারা কালো সোনার উপর বসে আছেন।এখানে কয়লা মাফিয়াদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।তৃণমূল কংগ্রেস তো মাফিয়াদের সরকারের অংশ বানিয়ে ফেলেছে। দিদি আপনি আপনার ভাইপোর কেরিয়ার বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। মন্ত্রী, বিধায়ক, ঘোটালাদের পিছনে দিদি রয়েছে। আর চলছে তোলাবাজি।”
Published on: মে ৯, ২০১৯ @ ১৮:০৬
