মাত্র ১২ জন যাত্রী নিয়ে রওনা হল সার্জিক্যাল এয়ার স্ট্রাইকের পর প্রথম SAMJHAUTA EXPRESS

দেশ বিদেশ রেল
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ৪, ২০১৯ @ ১৭:১৫

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ নির্ধারিত সূচি মেনেই সার্জিক্যাল এয়ার স্ট্রাইকের পর ভারত থেকে প্রথম সমঝোতা এক্সপ্রেস রওনা হয়ে যায় গতকাল রবিবার দিল্লি থেকে।মাত্র ১২জন যাত্রী নিয়েই রওনা হয় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনটি। এটি ছিল গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার সার্জিক্যাল এয়ার স্ট্রাইকের পর পাকিস্তানের দিকে যাওয়া প্রথম এক্সপ্রেস।

ট্রেনটি ১২জন যাত্রীর মধ্যে ১০জন ভ্রমণ করেন স্লিপার কোচে। দুইজন যাত্রা করেন এসি কোচে। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের ইনস্পেক্টর মনোজ কুমার সংবাদ সংস্থা এএনআই-একে জানিয়েছেন- ” মাত্র ১২জন যাত্রী নিয়েই রওনা হয় সমঝোতা এক্সপ্রেস। সকলেই পাকিস্তানের। আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছি। যাত্রীদের লাগেজ আমরা ডগ স্কোয়াডকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়েছি।”

এই ট্রেনের যাত্রী পাকিস্তানি দম্পতি নাসিমউদ্দিন এবং আমিনা তারা দিল্লি থেকে পাকিস্তান গেলেন। এসেছিলেন পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি তাদের এখানে থাকার ক্ষেত্রে সমসায় তৈরি করে। ফলে এক রাশ হতাশা নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।

“৩৬ বছর হয়েছে আমরা বিয়ে করেছি। আমিনা এই আগ্রার মেয়ে। যদিও আমি পাকিস্তানের। যদিও আমার বাবা-মা এখানেই থাকেন। আমরা এসেছিলাম এখানে আমাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। আমাদের ভিসা ছিল ৬ই এপ্রিল পর্যন্ত কিন্তু আমরা বাধ্য হলাম চলে যেতে। আমার স্ত্রী তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সেভাবে দেখাই করতে পারল না। আমরা নির্দেশ পেলাম যে অবিলম্বে দেশে ফিরে যাই যেন। আমাদের পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। আমরা তাতে যোগ দিতে পারলাম না। জঙ্গি আতঙ্ক অখেনেও এখানেও। আমরা চাই দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনার মধ্যে দিয়ে যেন এর সমাপ্তি হয়।” বলছিলেন নাসিমউদ্দিন।

অপর এক দম্পতি নাদিম এবন শাহজাদির গলাতেও শোনা গেল একই সুর। তারা দাবি করলেন এবারেই প্রথম সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে ভিসা নিয়ে একটু ছোটাছুটি করতে হয়েছে।

“আমরা গত ২২দিন ধরে আমাদের আত্মীয়দের বাড়িতে ছিলাম। এখানকার মানুষ খুব ভাল। আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাতে চাই এই বিষয়টি নিয়ে একটি ইতিবাচক কিছু বেরিয়ে আসুক তা না হলে এভাবে সাধারণ মানুষ আর কত দিন এ নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে থাকবে। আমার স্ত্রী ভারতীয় এবং আমরা ১৯৯৩ সালে বিয়ে করি। ভারতে এ পর্যন্ত আমরা ৫-৬ বার এসেছি। স্বাভাবিকভাবে সেইসময় আমাদের ভিসার সমস্যায় পড়তে হয়নি। কিন্তু এবার আমাদের খুব দুর্ভোগে পড়তে হল।” বলেন নাদিম।

সমঝোতা এক্সপ্রেস খুবই শান্তিকামী ট্রেন। বাই-উইকলি এই ট্রেনটি সপ্তাহে দু’দিন বুধবার এবং রবিবার দিল্লি থেকে রওনা হয়ে যায়। ট্রেনটি যায় পাকিস্তানের লাহোরের আটারি পর্যন্ত। ট্রেনটিতে ছ’টি স্লিপার কোচ এবং একটি এসি কোচ থাকে।

ইতিমধ্যে পাকিস্তান তাদের দেশে এই ট্রেনটিকে সাম্প্রতিক পরিস্থির জন্য বন্ধ রেখেছে গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বায়ুসেনার সার্জিক্যাল এয়ার স্ট্রাইকের পর থেকে।

Published on: মার্চ ৪, ২০১৯ @ ১৭:১৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 58 = 65