Published on: অক্টো ২০, ২০১৮ @ ২৩:১২
এসপিটি নিউজ, বারাকপুর, ২০ অক্টোবরঃ বাবা-মায়েদের বয়স হলে তাদের স্থান কি বৃদ্ধাশ্রম? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মিলবে না। এই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে চলেছেন বারাকপুরের যুবক সমাজসেবী সম্রাট তপাদার। তাই তো তিনি শুভ বিজয়া সারলেন বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে এই মানুষগুলিকে প্রণাম জানিয়ে আর তাদের মিষ্টি মুখ করিয়ে। সন্তান সম সম্রাট সারা বছর ধরেই বারাকপুরের ভোলানন্দ গিরি পরিচালিত এই বৃদ্ধাশ্রমে থাকা মানুষগুলিকে পিতা-মাতার মতো দেখেন সম্মান করেন। সম্রাটের এমন ভূমিকায় ঐ বয়স্ক মানুষগুলিও অভিভূত।
এক সময়ের নদিয়ার বাসিন্দা ৭৪ বছরের লক্ষী নন্দী কিংবা জামশেদপুরের ৮২ বছর বয়সী পুষ্পা ভট্টাচার্য অথবা ঝাড়খণ্ডের ৮২ বছরের নিশিকান্ত রায়দের ঠিকানা আজ বৃদ্ধাশ্রম। এক সময় ওদের দিনগুলি ছিল বড়ই মধুর। ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভরা সংসার। আজ সেসবই শুধুই অতীত। কোথায় যে হারিয়ে গেল সেসব দিনগুলি বলতে গিয়ে হোচট খান মানুষগুলি। শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে থাকেন।
সম্রাট যখন তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন ওরা হতবাক। পুজোর আগে এসে দিয়ে গেছিলেন নতুন বস্ত্র। পুজো শেষ হতেই সে এসেছে আবার তাদের কাছে। শুভ বিজয়ার প্রণাম জানাতে। এভাবে তাদের কেউ শুভ বিজয়া জানাতে আসবে- তা ভাবতেই পারেননি তাঁরা।
সম্রাট বলছিলেন-অনেক দিন আগে আমি আমার বাবা-মাকে হারিয়েছি। তাই এই মানুষগুলির ভিতর আমি আমার বাবা-মাকে খুঁজে পাই। ওদের দেখলে মনটা ভাল হয়ে যায়। তাই তো এখানে বারে বারে ছুটে আসি। এই মানুষগুলির মুখে হাসি দেখলেই মনটা খুশিতে ভরে যায়।
Published on: অক্টো ২০, ২০১৮ @ ২৩:১২