এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ এমন ঘটনা সম্ভবত প্রথম এ দেশে। ভারতের মতো দেশে এমন ঘটনা সত্যি মাথা হেঁট করে দেবে দেশবাসীকে। কর্ণাটকের চিন্তামণি গভর্মেন্ট হাসপাতালের ঘটনা এখন আর শুধু ঘটনাই নয় এক অদ্ভূত ঘটনা হয়ে গেছে। যে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার রুমে দাঁড়িয়ে এক অসহায় সংখ্যালঘু মহিলা রোগীকে চিকিতসক হুমকি দিচ্ছে-“কৃষ্ণ কৃষ্ণ” না বললে তোমার অপারেশন করব না!বাধ্য হয়ে তিনি তা বলেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে-“উঃ কি ভয়াবহ”। ছাড়া পাওয়ার পর তিনি স্থানীয় থানায় গিয়ে সেই চিকিতসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
নিউজ এক্স সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরের সুত্র ধরে জানা গেছে, ব্যাঙ্গালোরের বাসিন্দা নাসিমা বানু তার দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি তার একটি বিশেষ অপারেশন করাবেন। চিন্তামণিতে বসবাসকারী নাসিমা’র এক আত্মীয় চিন্তামণি সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের শিবিরটির ব্যাপারে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন। কিন্তু নাসিমা তার স্বামী ও কাকিমার সঙ্গে চিন্তামণিতে আসেন এবং অস্ত্রোপচারের জন্য নাম নথিভুক্ত করান।
নাসিমা অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে বুঝতে পারেন এখানে কিছু একটা ভুল আছে। হাসপাতালের ভিতর তার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা তিনি ভুলতে পারছিলেন না, গণমাধ্যমকে বলেন- উঃ, কি ভয়াবহ। এই ঘটনায় নাসিমা বানু বলেন, “আমার নাম নাসিমা বানু, আমি ব্যাঙ্গালোর থেকে এসেছি; আমি অপারেশন জন্য চিন্তামনি এসেছিলাম। আমার আত্মীয় এখানে আছেন তাই আমি এখানে এসেছি; আমি সকাল ৯টায় হাসপাতালে পৌঁছই এবং সব পরীক্ষা করাব বলে। দুপুর ১টায় আমার অপারেশনের সময় নির্ধারিত ছিল। যখন আমি সেখানে গিয়েছিলাম তখন ডাক্তার অপারেশন থিয়েটার রুমে আসেন।” নাসিমার নিজের কথায়-উনি সবাইকে বলেন, “কৃষ্ণ কৃষ্ণ” বলুন। ঐ অপারেশন থিয়েটার রুমে তখন আমি একাই মুসলিম মহিলা ছিলাম; তিনি আমাকেও “কৃষ্ণ কৃষ্ণ” বলতে বলেছিলেন এবং তিনি একই সঙ্গে এও বলেছিলেন যে যদি আমি এই কথা না বলি তবে তিনি আমার অপারেশন করবেন না। আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম এবং আমি বাধ্য হয়ে “কৃষ্ণ কৃষ্ণ” বলেছিলাম এবং তারপর তিনি অপারেশন করেছিলেন”।
অস্ত্রোপচারের পর নাসিমা চিন্তামণি শহরের পুলিশ স্টেশনে এসেছিলেন এবং অভিযোগ করেছিলেন যে তার ধর্মীয় অনুভূতিতে ডাক্তার কাজের দ্বারা আঘাত হেনেছে, যিনি তাকে “কৃষ্ণ কৃষ্ণ” বলতে বাধ্য করেছেন।ছবি সৌজন্যঃ নিউজ এক্স