
Published on: জানু ৩০, ২০১৯ @ ২৩:৩৯
এসপিটি নিউজ, রামপুরহাট, ৩০ জানুয়ারিঃ তারাপীঠের উন্নয়ন নিয়ে সিপিএম-বিজেপিকে এক সুরে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যা। বুধবার বীরভূমের রামপুরহাটে প্রশাসনিক সভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন-“কমরেড, তারাপীঠে একটা ইট গাঁথতে এসেছো কোনওদিনও?”
কমরেড তারাপীঠে একটা ইট গাঁথতে এসেছো কোনওদিনও? তিনি প্রশ্ন তোলেন- “একটা ইট গেঁথে দেখেছো তারাপীঠের মন্দিরটা করা যায় কিনা! একটা ইট গেঁথেছো কোনও দিনও রাস্তাঘাটগুলো করা যায় কিনা! পাথরচাপড়িটা ভালো করে করা যায় কিন! মনে রাখবেন- বাংলার মাটি পথ দেখায়; আগামিদিনেও পথ দেখাবে। বাংলা নিজেকে বিকিয়ে দেয় না। বাংলা মাথা নত করে না। বাংলাকে ধমকে লাভ নেই। চমকে লাভ নেই। ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। সিবিআই দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা লড়ে নেব। আমরা কাজ করে বলি। আমরা মিথ্যে কথা বলি না। এই করব সেই করব কখনও বলি না।”
এরপর তারাপীঠের উন্নয়ন নিয়ে বলতে থাকেন। বলেন-“তারাপীঠ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আমরা তৈরি করেছি।কয়েক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। স্বাগত তোরণ থেকে শুরু করে জল থেকে শুরু করে তারপীঠ উন্নয়ন ভবন, পিএইচই থেকে শুরু করে বিশ্ব বাংলা ঘাট থেকে শুরু করে মুণ্ডমালিনী তলার সৌন্দর্যায়ন থেকে শুরু করে অনেক কাজ করে দেওয়া হয়েছে।আমি রেলমন্ত্রী থাকার সময় তারাপীঠ স্টেশনটি মন্দিরের আদলে করে দিয়েছিলাম। আমি কাল তারাপীঠ দেখতে যাব। মন্দিত্রের প্রথম পর্যায়ের কাজ হয়ে গেছে। স্বিতীয় পর্যায়ের কাজও হয়ে যাবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ তারাপীঠে আসে নলহাটিতে আসে। বক্রেশ্বর বোলপুরে আসে। কঞকালিতলায় পাথরচাপড়িতে আসে। কিন্তু কেউ কোনওদিন জায়গাগুলোর উন্নয়ন করেনি।”
“আমি যখন স্কুলে পড়তাম ক্লাস ফাইভ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার ময় তখন প্রতি বছর গ্রামে এসে থাকতাম। আমরা দেখতাম কত কষ্ট ছিল তখন মানুষের। আজ অনেক জায়গায় রাস্তা তৈরি হয়ে গেছে। অনেক মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আজ বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে প্রায় ৩০ লক্ষ বাড়ি আমর তৈরি করে দিয়েছি গরিব মানুষকে। ৯০ শতাংশ টয়লেট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।” বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Published on: জানু ৩০, ২০১৯ @ ২৩:৩৯