কাশ্মীর থেকে বিশেষ ট্রেনে ঝাড়গ্রামে এল সিআরপিএফের তিন কোম্পানির জওয়ান

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: সেপ্টে ৫, ২০২০ @ ২০:৫৭
Reporter: Biswajit Panda

এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ৫ সেপ্টেম্বর: বদলে গিয়েছে সময়। জঙ্গলমহল থেকে নির্মূল হয়েছে মাওবাদীরা। গত ১১ বছরে জঙ্গলমহল থেকে রক্তপাত, সংঘর্ষ, বোমা, গুলির আওয়াজ বন্ধ হয়েছে। তবে নিশ্চিন্ত হওয়ার জায়গা নেই। আর তাই কাশ্মীর থেকে ফের তিন কোম্পানির সিআরপিএফ জওয়ান জঙ্গলমহলে ফিরিয়ে আনা হল। বিশেষ ট্রেনে আজ কাশ্মীর থেকে ঝাড়্গ্রাম স্টেশনে এসে পৌঁছল তিন কোম্পানির সিআরপিএফ।

২০০৯ সালের ১৮ জুন তৎকালীন অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার লালগড়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। তারপর জঙ্গল মহলের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক ঝড়। সেই সময় থেকেই জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় সিআরপিএফ জওয়ানরা স্থায়ী ক্যাম্প করে থাকতে শুরু করে। ২০১১ সালে রাজ্য পরিবর্তন হওয়ার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মাওবাদীদের নাশকতামূলক কাজ কর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

তা সত্ত্বেও জঙ্গলমহলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সিআরপিএফ জওয়ানরা ক্যাম্প করে জঙ্গল মহলে ছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার সময় জঙ্গলমহল থেকে সিআরপিএফের ১৮৪ ব্যাটলিয়ানের ২ কোম্পানি  ও ২৩২ ব্যাট লিয়ানের ১ কোম্পানিকে জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু ফের জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা উকিঝুকি মারছে গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে কাশ্মীর থেকে স্পেশাল ট্রেনে তিন কোম্পানির জওয়ান ঝাড়গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর নিয়ে আসা হবে আরও চার কোম্পানি জওয়ান।

শনিবার সকাল ৫ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর টাটা রেললাইনের ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনে এসে দাঁড়ায় কাশ্মীর থেকে জওয়ান দের নিয়ে আসা স্পেশাল ট্রেন। আপাতত ওই জওয়ানদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। তারপর তারা জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় কাজে যোগ দেবেন।তবে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো কিছুই জানানো হয় নি।

Published on: সেপ্টে ৫, ২০২০ @ ২০:৫৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 1 =