Published on: সেপ্টে ৭, ২০১৮ @ ১৭:৪১
এসপিটি নিউজ, বারুইপুর, ৭ সেপ্টেম্বরঃ আলিপুর সংশোধনাগার ঘিরে অনেকদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছিল। বন্দিদের সেখানে থাকা, নিরাপত্তার বিষর, জায়গার অভাব আরও কত কি! রাজ্য কারা দফতর তা নিয়ে পরিকল্পনাও করে ফেলে। সেই মতো বারুইপুরের কল্যানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টংতলায় ১৭ একর জমির উপর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নতুন অত্যাধুনিক সংশোধনাগার তৈরির কাজ এখন শেষের পথে। আজ কারা দফতরের আধিকারিকরা সেই কাজ ঘুরে দেখে গেলেন। কাজ আরও দ্রুত শেষ করারও নির্দেশ জারি করে গেলেন। কয়েক মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই আলিপুর থেকে বন্দিদের এখানে নিয়ে আসার কাজ শুরু হবে।
কেমন হতে চলেছে নতুন এই সংশোধনাগার
গ্রামীণ এলাকায় ১৭ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে এই সংশোধনাগার। ইতিমধ্যে এখানে আটটি ভবন নির্মাণ হয়ে গেছে। সেখানে এক থেকে তিন তলা পর্যন্ত ঘরগুলিকে আধুনিকতার মোড়কে মুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। বিচারাধীন বন্দি আর সাজা প্রাপ্ত বন্দিদের জন্য করা হয়েছে ২৪ টি সেল করা। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ঘরের সামনের দিকে লোহার দরজা বসানো হচ্ছে। বাইরে থেকে সেলের ভিতরে সব যাতে দেখা যায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংশোধনাগারের চারিদিকে সু-উচ্চ ২৫ ফুটের পাঁচিল নির্মাণ করা হচ্ছে। তার আগে থাকছে ১৫ ফুটের পাঁচিল। এছাড়াও থাকছে ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি ক্যামেরাও। সংশোধনাগারের সামনেই থাকছে খেলার মাঠ। মহিলা বন্দিদের জন্য থাকছে আলাদা সেল। এছাড়াও আধুনিক হাসপাতাল, যোগ চর্চা কেন্দ্র থেকে রান্নাঘর, ডাইনিং ঘর সবই থাকছে নতুন এই সংশোধনাগারে। সব মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিতে মোড়া এই সংশোধনাগার।
সংশোধনাগারটি দেখে কেমন লাগল, কি বললেন আধিকারিকরা
সরেজমিনে পরিদর্শন করেন রাজ্য সরাকারের এক উচ্চ পর্যায়ের আদ্ধিকারিকরা। তাঁরা হলেন-রাজ্য কারাগার দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সঞ্জয় মুখার্জি, কারা দফতরের ডিজি অরুন কুমার গুপ্ত , ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) বিপ্লব দাস, পুলিশ হাউসিং বোর্ডের চেয়ারম্যান শিবাজি ঘোষ, দক্ষিন ২৪ পরগনা এডিএম মৃণাল রানো ও বারুইপুর মহকুমাশাসক দেবারতি সরকার।
তাঁরা সংশোধনাগারটি ঘুরে দেখেন। কাজ খতিয়ে দেখে বেসরকারি সংস্থাকে দ্রততার সাথে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন- কাজে কোনআ ঢিলেমি যেন না হয়। একইসঙ্গে সংশোধনাগারের ভিতর জমা জল সরাতে বালি ফেলার নির্দেশ দেন।
রাজ্য কারা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সুপার সঞ্জয় মুখার্জি জানান, কাজ এখন প্রায় শেষের মুখে। কয়েক মাস পরেই আলিপুর থেকে বন্দিদের এখানে আনা হবে। এলাম আধিকারিকদের নিয়ে স্ট্যাটাস পরিদর্শন করে গেলাম, সাথে জেলা প্রশাসন ছিল। যাওয়ার আগে তাঁরা নিজেদের মধ্যে এক আলোচনা সেরে নেন।
Published on: সেপ্টে ৭, ২০১৮ @ ১৭:৪১