নাম না করে রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর- নির্বাচিত সরকারের সাথে পাঙ্গা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: আগ ২৮, ২০২৩ @ ২১:৫৫
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৮ আগস্ট: বেনজির আক্রমণ রাজ্যপালকে। নাম না করে রাজ্যপালকে আক্রমনই শুধু নয় রীতিমতো হুঁশিয়ারিও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপয়াধ্যায়। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি- আপনি নমিনেটেড, আমরা ইলেকটেড। নির্বাচিত সরকারের সাথে পাঙ্গা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে উদ্দেশ্য করে বলেন ব্রাত্য এখানে আছে। এরপর মমতার সংযোজন -এখন তো মাথার উপর আবার ছাতা দাঁড়িয়ে গেছে। রাজ্যপালের নাম না করে বলতে থাকেন- তিনি তো কাউকে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন মনে করেন না। কোনও নিয়ম মানেন না। আমি তার চেয়ারকে সম্মান করি। কিন্তু ব্যক্তি হিসাবে তার যে কার্যকলাপ সেটাকে আমি সমর্থন করতে পারি না।তিনি সংবিধান উলঙ্ঘিত করছেন।

সব জায়গায় ইউনিভার্সিটিগুলো দেখুন টালমাটাল অবস্থা। নিজের বন্ধুকে এনে বসিয়ে দিচ্ছে ভিসি করে। আইপিএস, সে কোনও দিন ট্রেনিং নেয়নি। ১০ বছর কম করে অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। তাকে নিয়ে এসে বসিয়ে দিয়েছে ভাইস চ্যান্সেলর করে। যাদবপুরে বিজেপি সেলের প্রেসিডেন্টকে বসিয়ে দিয়েছে ভাইস চ্যান্সেলর করে। এটা কি মগের মুলুক নাকি।ক্ষোভে ফেটে পড়েন মমতা।

এরপর মমতার বেনজির আক্রমণ মমতার- আপনার এক্তিয়ারে আমরা যাচ্ছি না। দয়া করে আমাদের এক্তিয়ারে আসবার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন, আপনি আর চিফ মিনিস্টার এক নয়। আপনি নমিনেটেড, উই আর ইলেকটেড। নির্বাচিত সরকারের সাথে পাঙ্গা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আর দাঙ্গাকে সাম্প্রদায়িক করার চেষ্টা করবেন না। আর আমি শুনছি, এখান থেকে ওখান থেকে প্রায় লোক নিয়ে আসা হচ্ছে। রাজভবনে সব ইউনিভার্সিটির ফোন তৈরি করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটির নামে নামে কল যাচ্ছে। যাকে ইচ্ছা ডেকে পাঠাচ্ছেন, ছাত্রদের ডেকে বলছেন – দুর্নীতি কি বলতে পারো?

“আরে দুর্নীতি তো আপনারা সবচেয়ে বেশি করেছেন। আগে উত্তরটা দিন। ডি-মনিটাইজেশন নিয়ে দুর্নীতি কারা করেছে? সব ব্যাঙ্ক বন্ধ নিয়ে দুর্নীতি কারা করেছে? ফরেন ডিল নিয়ে দুর্নীতি কারা করেছে? আজ প্রাইভেট সেক্টর বিক্রি করে দিয়ে দুর্নীতি কারা করেছে? কোভিডের ইনজেকশন নিয়ে দুর্নীতি কারা করেছেন? তথ্য গোপন কারা করেছে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তো দুর্নীতিতে ভরে গেছে।” ক্ষোভ উগরে চদিয়ে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এরপরই মমতার প্রশ্ন-কই বিজেপি-র রাজ্যে তো টিম যায় না। বিজেপি নেতাদের ঘরে ইডি-সিবিআই যায় না। ওটা নাকি ভাজপা ওয়াশিং মেশিন। কালো হয়ে যাবে আর সাদা হয়ে ফিরে চলে আসবে। কি দারুন! আমি অনেক সরকার দেখেছি এমন ভিনডিকটিভ সরকার দেখিনি। আমাকে একজন মেসেজ দিচ্ছে- অভিষেককে ইলেকশনের আগে গ্রেফতার করবো। কেন কি করেছে?

Published on: আগ ২৮, ২০২৩ @ ২১:৫৫


শেয়ার করুন