রাজনৈতিক নেতারা একা টাকা কালেকশন করে না যা সাংবাদিকরা করে-তোপ মমতার

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: আগ ২৮, ২০২৩ @ ১৮:৪২
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৮ আগস্ট: আজ কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বলেন- যদি আমরা শুরু করি তাহলে দেখিয়ে দেব রাজনৈতিক নেতারা একা টাকা কালেকশন করে না যা সাংবাদিকরা কালেকশন করে। ম্যাক্সিমাম সাংবাদিক, সবাই না হলেও।মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে রীতোমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়। এদিন তিনি রাজ্যের পুলিশকেও ছেড়ে কথা বলেননি। তাদের উপরো যে তিনি এখন নজর রাখছেন সেটাও পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দেবন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বিজেপি-র বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরু করেন। তিনি বলেন, শুনছিলাম ধুপগুড়িতে একটি বাই-ইলেকশন আছে। সেখানে সব হোটেল বুক করে নিয়েছে। একটা হোটেলও খালি নেই। যে হোটেলটায় আমাদের কেউ গিয়ে থাকতে পারে। লোকসভা নির্বাচনের জন্য সব হেলিকপ্টার বুক করে নিয়েছে। যাতে আর কোনও রাজনৈতিক দল হেলিকপ্টার না পায়। এই হচ্ছে ওদের অবস্থা।ওরা ভাবে টাকা দিয়ে সব হবে।

এরপরই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আক্রমন তীব্র করতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন- “আমি মিডিয়ার সাংবাদিকদের আমি দোষ দি না। ওদের যা বলে ওরা তাই করে।করে।সকাল বেলায় নিজেপি’র পার্টি অফিস থেকে বলে দেয় জেনে রাখুন- এইটা চালাবে।এটা চালাবে মানে শুধু এটাই চালাবে। বিজেপি আসছে, বিজেপি জিতছে, প্রধানমন্ত্রী এই করেছে , হোম মিনিস্টার এই করেছে। আর অন্য পলিটিক্যাল পার্টির কোনও খবর নেই। তাদের শুধু ড্যামেজ আর বিজেপি-কে ব্যালেন্স- এই হচ্ছে আজকের মিডিয়ার মানুষদের কাজ।”

রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বলে চলেন- আমি জানি না আমার কি অপরাধ- মিডিয়া ট্রায়ালে বলে দিচ্ছে, ওই তো ওর অনেক বন্ধু। আমি বলি, যারা লিখছেন তাদের পকেটগুলো আমি অদি খুলতে শুরু করি, তাদের ঘরগুলো আমি যদি রেইড করতে শুরু করি- একথা বলেই তিনি জানিয়ে দেন যদিও তিনি সেইসব সাংবাদিকদের বাড়িতে রেইড করবেন না। পরক্ষণেই, তিনি ফের বলতে থাকেন-ওই সাংবাদিকরা কার থেকে হাত পেতে টাকা নিয়ে এই খবরগুলো লেখেন সেটা যদি আমরা শুরু করি তাহলে দেখিয়ে দেব রাজনৈতিক নেতারা একা টাকা কালেকশন করে না যা সাংবাদিকরা কালেকশন করে। ম্যাক্সি্মাম সাংবাদিক সবাই না হলেও।

আর একটা ইদানীং প্রবণতা আমি দেখছি – কেউ কেউ বেআইনি কাজ করছে। পুলিশ সেটা চোখ বুজে দেখছেন। আমি জানি সব পুলিশ নয়। তারা তো কাজ করে সারাদিন। তারা আমার পরিবারের লোক। আমি তাদের সমর্থন করি। লোকাল থানায় যারা আছেন ম্যাক্সিমাম তারা কি করছেন, তারা কি করছেন আমি আর বললাম না। আমি যেমন অ্যান্টি র‍্যাগিং একটা করেছি ঠিক তেমন অ্যান্টি করাপশন সেলও তৈরি করেছি। আমরা কিন্তু নজর রাখছি কে কি করছেন না করছেন। মানুষ গাড়ি নিয়ে রাস্তায় যাবে, হ্যাঁ আইন থাকলে আপনাকে নিশ্চয়ই টাকা দেবে। আইন যদি না থাকে তাহলে আপনি নিজে কেন টাকাটা পকেটে নেবেন? প্রশ্ন তোলেন মমতা।

Published on: আগ ২৮, ২০২৩ @ ১৮:৪২


শেয়ার করুন