খিদিরপুর কলেজের উদ্যোগে AI নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উঠে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ২০, ২০২৩ at ২৩:৪৪
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর: গণমাধ্যমে আগামিদিনে একটা বড় ভূমিকা নিতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।ইতিমধ্যে ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে।ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তির ভালো-মন্দ দিক নিয়ে চর্চাও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে কলকাতায় খিদিরপুর কলেজ “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পাঠোদ্ধারতাঃ গণমাধ্যমের বর্ণনায় এর প্রভাব বোঝা” বিষয়ে দু’দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সেই আলোচনায় গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট অধ্যাপক, গবেষক, সাংবাদিকরা তাদের মুল্যবান বক্তব্যের মাধ্যমে এই বিষয়ে আলোকপাত করেন। যার মধ্যে উঠে এসেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

ন্যাশনাল লাইব্রেরির ভাষা ভবন কনফারেন্স হল

কলকাতায় ন্যাশনাল লাইব্রেরির ভাষা ভবন কনফারেন্স হলে ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনটি খিদিরপুর কলেজের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ – ইস্টার্ন রিজিওনাল সেন্টার (ICSSR-ERC) দ্বারা স্পনসর করা হয়।দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভারত, বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞ মিডিয়া পেশাদার, বিখ্যাত মিডিয়া ফ্যাকাল্টিরা অংশ নিয়েছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি দিককে পরিবর্তন করছে

আজকের দ্রুত বিকশিত বিশ্বে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি দিককে পরিবর্তন করছে, এবং মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপও এর ব্যতিক্রম নয়। এআই মিডিয়া ব্যবহার করার উপায়কে পরিবর্তন করছে। এআই-চালিত অ্যালগরিদমগুলি নিউজ ফিডগুলি কিউরেট করতে, সামগ্রীর সুপারিশ করতে এবং বিজ্ঞাপন ব্যক্তিগতকৃত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ আমরা যা দেখি এবং কীভাবে আমরা তথ্যের সাথে যোগাযোগ করি তার উপর এটির একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে মিডিয়া উত্পাদিত হওয়ার উপায়কে পরিবর্তন করছে। এআই নতুন নৈতিক উদ্বেগ উত্থাপন করছে। মিডিয়াতে AI-এর ব্যবহার বেশ কিছু নৈতিক উদ্বেগ উত্থাপন করে, যেমন ডেটা গোপনীয়তা, অ্যালগরিদমিক পক্ষপাত এবং ভুল তথ্যের সম্ভাবনা। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে খোলামেলা এবং অবহিত আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।এই দু’দিনের আলোচনায় এই বিষয়গুলি দারুনভাবে উঠে এসেছে।

AI মিডিয়া ব্যবসায় একটি উল্লেখযোগ্য হচ্ছে. এআই-চালিত সরঞ্জামগুলি বিজ্ঞাপন লক্ষ্যমাত্রা উন্নত করতে, দর্শকদের ব্যস্ততা বাড়াতে এবং খরচ কমাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। AI মিডিয়াতে বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলছে। AI সাংস্কৃতিক বিভাজনের সেতুবন্ধন করতে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মধ্যে বোঝাপড়ার প্রচার করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। AI একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। এর প্রভাবগুলি বোঝার মাধ্যমে, আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে AI ভালোর জন্য ব্যবহার করা হয় এবং এটি সামগ্রিকভাবে সমাজের উপকার করে।

আলোচনায় উঠে এসেছে

আলোচনায় উঠে এসেছে এই বিষয়গুলি- সংবাদ সংগ্রহ, সম্পাদনা এবং বিষয়বস্তু তৈরি সহ সংবাদ উৎপাদনে AI এর প্রভাব। দর্শকদের ব্যস্ততা এবং মিডিয়া খরচে AI এর ব্যবহার। বিজ্ঞাপন এবং বিপণনে AI এর ভূমিকা। মিডিয়া মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণের উপর AI এর প্রভাব। এআই: নৈতিকতা এবং সমাজ। আবেগগত ভাগফলের উপর AI এর প্রভাব। AI-এর আর্থ-সামাজিক-অর্থনৈতিক ও সামাজিক-রাজনৈতিক অন্তর্নিহিততা।

বক্তাদের মধ্যে ছিলেন

বক্তাদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটির কম্যিউনিশনের অধ্যাপক আনন্দ মিত্র, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর রাজীব নন্দী, দূরদর্শনের এডিজি এবং কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর, কলকাতায় ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এন্ড বিজিনেস ম্যানেজমেন্ট-এর প্রফেসর ড. সুদীপা ব্যানার্জি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজি বোর্ড অফ স্টাডিজ ইন জার্নালিজম এন্ড মাস কম্যিউনিকেশন-এর চেয়ারপার্সেন ড. আবির চট্টোপাধ্যায়, কলকাতায় সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ফর উইমেন-এর সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগের প্রধান ড. ঊমাশঙ্কর পান্ডে, আইসিএনসিএল/এস নিউজ-এর সিনিয়র এডিটর পার্থ মুখোপাধ্যায় এবং ইন্ডিয়া টুডে টিভি, আজতক, আজতক বাংলার কলকাতা ব্যুরোর এডিটর ইন্দ্রজিৎ কুন্ডু।

ভার্চ্যুয়ালি এই সম্মেলনে অংশ নেন অধ্যাপক আনন্দ মিত্র

ভার্চ্যুয়ালি এই সম্মেলনে অংশ নেন নর্থ ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটির কম্যিউনিকেশনের অধ্যাপক আনন্দ মিত্র। তিনি আর্টফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ভবিষ্যতে কত বড় ভূমিকা নিতে চলেছে সেই বিষয়ে আলোকপাত করেন।

এআই-এর চাইতেও আরও আগে চলে এসছে এজিআই

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আইসি এনসিএল-এর সিনিয়র এডিটর পার্থ মুখোপাধ্যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারে চাকরি হারানোর প্রসঙ্গে বলেন- এই একই সমস্যা আমাদের ক্ষেত্রে হয়েছে যখন কম্পিউটার এসেছিল। তখন একটা বিরোধিতা করা হয়েছিল যে কাজ কমে যাবে। পরবর্তীকালে দেখা গেছে যে কম্পিউটার আরও অনেক কাজের ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রেও তাই , প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে কাজের ক্ষেত্র কমে যাবে। হ্যাঁ, কিছু তো কমবেই। আসলে সবসময় উৎকর্ষের পিছনে মানুষ ছোটে। যেমন ক্লাসে ফার্স্ট হতে পারলেই আরো উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়া যায় ঠিক তেমনি লাস্ট বয় হলে যাওয়া যায় না। অতএব আপনাকে এগোতে হবে সময়ের সঙ্গে। সেটা এআই-কে নিয়ে হোক কিংবা কম্পিউটারকে নিয়েই হোক। এখন তো আবার এআই-এর চাইতেও আরও আগে চলে এসছে এজিআই। সুতরাং সেভাবেই এগোতে হবে। তাই এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”

এই নয়া প্রযুক্তি নাশকতামূলক কাজেও প্রয়োগ হওয়ার আশঙ্কা করছে অনেকেই। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “এর প্রয়োগ হবে- এই আশঙ্কাটা একেবারেই অমূলক বলছি না। আসলে যে কোনও জিনিসেরই কিন্তু ভাল এবং মন্দ দুটো জিনিসই আছে। যেমন দেখুন আজকাল মেইল-এ স্প্যাম আসে না। স্প্যাম আসা বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, গুগলই সেটা অ্যারেঞ্জমেন্ট করে ফেলেছে। ঠিক তেমনি যেকোন জিনিসের খারাপ-ভালো দুটো দিকই থাকে। আমাদের সবসময় ভালো দিকটা নিয়েই এগোতে হবে। খারাপ ব্যবহার করার জন্য যে লোকগুলো আছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।” “কনটেন্ট জেনারেটর কিংবা কনটেন্ট প্রোভাইডারদের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়ে গেছে। তাতে মানুষের চয়েস বেড়ে যাচ্ছে। কাস্টোমাইজড হচ্ছে। একই সঙ্গে মিডিয়া হাউসগুলোরও অনেক সুবিধা হচ্ছে। সেটাকে ব্যবহার করা হয় কিভাবে বিশেষ করে বাংলাতে এই উপমহাদেশে কিভাবে ব্যবহার করা হয় সেটার উপর আগামিদিন নজর রাখতে হবে।” যোগ করেন পার্থ মুখোপাধ্যায়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে গভীরভাবে আলোকপাত করেছেন ড. ঊমাশঙ্কর পান্ডে

এআই কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে গভীরভাবে আলোকপাত করেছেন ড. ঊমাশঙ্কর পান্ডে। তিনি বলেন- “এটা কম্পিউটারের মতোই একটা নতুন বিষয়। ওকে আমরা ইংরাজিতে অ্যালগরিদম বলে থাকি। অ্যালগরিদম কিন্তু খুব দ্রুততার সাথে মনোযোগ দিয়ে করতে পারে। ধরুন আমাকে যদি দেখতে হয়ে যে একটি ডকুমেন্টে কোন কোন জায়গায় ভুল আছে, নির্দিষ্ট একটা প্রশ্ন থাকে-কোন জায়গায় এটি আছে? ব্যক্তির নাম আছে? এই সমস্ত জিনিসও কিন্তু একটা মিনিটের মধ্যে পুরোটা অ্যানালাইজ করে নিয়ে আসতে পারে। তার একটা ভালো ফল হচ্ছে, ধরুন – আমাদের যে নতুন ওষুধ আবিষ্কার হচ্ছে আগে যখন একটা মানুষ করত তাকে এক্সপেরিমেন্ট করে করতে হত। এখন সেটা খুব দ্রুততার সাথে হয়ে যাচ্ছে। তার প্রভাব কতটা থাকে সেটাও কিন্তু আমরা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা একেবারে কম্পিউটারের মাধ্যমে করতে পারছি। সুতরাং একটা রিয়েল লাইফ যাকে বলে – ধরুন একটা শহর, সেখানে যানজট কোথায় সবচেয়ে বেশি হচ্ছে – সে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রয়োগ করে বলে দিতে পারে যে এভাবে এই যানজট সামলানো সম্ভব। এখানে একটা রোড করে দিলে সুবিধা হবে।”

এটাও তো ঠিক যে এতে এই সুযোগকে অনেকে খারাপ কাজেও প্রয়োগ করবে নিঃসন্দেহে। যেটা কম্পিউটার আসার পর হয়েছে। নাশকতামূলক কাজ বেড়েছে? এগুলো কিভাবে বন্ধ করা যাবে? এই প্রশ্নের জবাবে ড. পান্ডে বলেন-  “দেখুন, এই জায়গায় আইনের দরকার আছে। অর্থাৎ রুলস এন্ড রেগুলেশন। সমাজের মধ্যে থেকেও এদিকে নজর দিতে হবে। এগুলো কিভাবে আটকানো যায়। এটাও তো ঠিক যে আমি যে আসল সেটা কিভাবে জানা যাবে। আমি যা বলিনি সেটাই আমাকে দেখানো হচ্ছে। আমার কথাই শোনানো হচ্ছে। এই জায়গাগুলো কিভাবে ধরব- এগুলোকে বলি ‘ডিপ ফেক’। ডিপ ফেক কে চিহ্নিত করার কিন্তু প্রযুক্তি নেই। এই চ্যালেঞ্জটা তো চলতেই থাকবে। অনেক ভালো ছাত্র, গবেষক যারা অপরাধমূলক জগতের দিকে চলে যাচ্ছে তাদের কিভাবে আটকানো যায় সেবিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। এটা সবসময় ছিল যখন নতুন মোবাইল ফোন এসছিল তখনও এটা ছিল।”

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাজীব নন্দী

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাজীব নন্দী বলেন- আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজই হচ্ছে শিক্ষা গবেষণা। এই সঙ্গে এর মাধ্যমে নিজেদের আপডেট রাখা। আমরা এখনও এআই নিয়ে সম্মেলন করতে পারিনি মানে এই নয় যে আমরা করব না।। আমরা নিশ্চয়ই করব। এটা আমাদের কাজ। আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় এই মুহূর্তে আমাদের কাছে বাস্তব নয়। কিন্তু আমরা এটা করব। এই দুই বাংলার কাজগুলো তো আরও বেশি হওয়া উচিত। এইগুলোতো সামনের দিন আরও এগোবে। মিলিবে মিলবে।এটা ঠিক যে ক্ষতিও হবে ভালোও হবে। কিন্তু ওই যে বললাম – যন্ত্রের উপর কার দখল থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নৈতিকতার পরিবর্তন হবে। কাজের সুযোগ যেমন কমবে আবার কিছু কাজের সুযোগ আবার বাড়বে।” “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে নিয়ন্ত্রিত করতেও কিন্তু একটা বড় শ্রম বাজার দরকার।ওখানেও কিন্তু মানুষ দরকার। কম্পিউটার আসার পর বলা হয়েছিল যে আমাদের শিল্পের ক্ষতি হবে। একটা কম্পিউটার ৫০ জনের কাজ করবে। কম্পিউটার ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রচুর মানুষের চাকরি হয়েছে। শুধু তাই নয় কম্পিউটার প্রোডাকশন, সেটিং, বিপনন ব্যবস্থা সব কিছুর জন্য কিন্তু নতুন একটা কর্মপদ্ধতি হয়েছে। আমাদের দেশে টেলিভিশন হাউসগুলোতে তো এআই বিষয়ে আমরা যে অ্যাপগুলো ব্যবহার করি সেখানে তো এই কাজ হয়। প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে।এটা নতুন বিদ্যাওয়নিক ব্যাপার। আসতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।” যোগ করেন রাজীব নন্দী।

অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক

অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন খিদিরপুর কলেজের প্রিন্সিপাল ড. অভিজিৎ গাঙ্গুলি, সম্মেলনের আহ্বায়ক ছিলেন খিদিরপুর কলেজের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের এইচওডি বিভাগের ড. শ্রাবণী রায় মাইতি, সম্মেলনের সমন্বয়কারী ছিলেন ড. অপর্ণা পাল এবং ড. তিস্তা দে, যুগ্ম সম্পাদক সৃজা ঘোষ ও জুথিকা নাজির এবং কোষাধ্যক্ষ সুস্মিতা ঘোষ ও শৌভিক চোংদার।

Published on: ডিসে ২০, ২০২৩ at ২৩:৪৪


শেয়ার করুন