Published on: অক্টো ৬, ২০২৩ at ১৮:০৫
এসপিটি নিউজ ব্যুরো: সিকিমের দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। সিকিম সরকারকে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র এবং সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে সিকিমকে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মঞ্জুর করেছে। দুর্গত মানুষদের ত্রাণ সাহায্যার্থে ২০২৩-২৪ সালের জন্য এই তহবিল থেকে অগ্রিম ৪৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।
এছাড়াও, বরফ গলা জল/মেঘভাঙা বৃষ্টি/হড়পা বাণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান খতিয়ে দেখতে আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল গঠন করা হয়েছে। তারা খুব শীঘ্রই রাজ্যের দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করবেন। আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দলের সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রচলিত নিয়ম মাফিক সিকিমকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মঞ্জুর করা হবে।এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো এমনই রিপোর্ট করেছে।
Read more news:
‘অ্যাডভাইজরি’ জারি করল সিকিম সরকার, পর্যটকরা তুলে ধরল গ্যাংটক ও দার্জিলিং-এর ছবি
গত ৪ অক্টোবর , ২০২৩ ভোররাতে বরফ গলা জল/মেঘভাঙা বৃষ্টি/হড়পা বাণে তিস্তা নদীর জলস্তর আচমকা বেড়ে যাওয়ায় তা বেশ কয়েকটি সেতু, ১০ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের কয়েকটি জায়গা এবং চুংথাং বাঁধকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এরফলে বেশকিছু ছোট শহর জলমগ্ন হয়ে পড়ে এবং সিকিমের নদী উপত্যকার উপরিভাগের কয়েকটি পরিকাঠামো প্রকল্প দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার সর্বোচ্চ স্তরে সিকিমের পরিস্থিতির ওপর সারাক্ষণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকার যাবতীয় সহায়ক সাহায্য প্রদান করছে। যথেষ্ট সংখ্যায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সদস্য সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার এবং সেনা কর্মীরা ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। এছাড়াও, বিদ্যুৎ মন্ত্রক, টেলি যোগাযোগ, সড়ক, মহাসড়ক এবং পরিবহন মন্ত্রকের কারিগরি দল বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার এবং পুনর্বাসনে সাহায্যের পাশাপাশি ভেঙে পড়া পরিকাঠামো এবং রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার কাজে সবরকম সাহায্য করছে ।
বুধবার ভোরে প্রচণ্ড তিস্তা নদীর ফ্ল্যাশফ্লাড উত্তর সিকিমের চুংথাং থেকে কালিম্পং জেলার তিস্তা বাজার পর্যন্ত একাধিক স্থানে 14টি সেতু, রাস্তার গঠন এবং সম্পত্তি ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে সিকিম দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় 10 জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং সিংটামের কাছে বারডাং ক্যাম্পে নিযুক্ত 22 জন সেনা সদস্য সহ প্রায় 80 জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দিনভর বিভিন্ন স্থানে তিস্তা নদীর পানিতে আটকে পড়া অসংখ্য মানুষকে উদ্ধার করেছে।সিকিম এই মুহুর্তে দুর্গম কারণ রাংপো এবং সেভোকে, শিলিগুড়ির মধ্যে এনএইচ 10 বরাবর একাধিক পয়েন্টে ফ্ল্যাশফ্লাড রাস্তা ভেসে গেছে। পূর্ব সিকিম এবং উত্তর সিকিমের বিভিন্ন স্থানে প্রায় 14টি সেতু এবং রাস্তার গঠন ভেসে যাওয়ায় আন্তঃরাজ্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেতুগুলির মধ্যে নয়টি BRO-এর অন্তর্গত এবং পাঁচটি সেতু রাজ্য সরকারের অধীনে আসে। ছবিঃ এক্স, যা আগে ছিল ট্যুইটার
Published on: অক্টো ৬, ২০২৩ at ১৮:০৫