কুশলপল্লীর পর মাঠা ফরেস্ট নয়া পর্যটন কেন্দ্রঃ নরেশ আগরওয়াল

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ১৭, ২০২৪ at ২১:৫২
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৭ ফেব্রুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীণ পর্যটনে নয়া দিশা দেখাচ্ছেন উদ্যোগপতি নরেশ আগরওয়াল। পুরুলিয়াতে অযোধ্যা পাহাড়ের কাছে ইতিমধ্যেই তিনি কুশল পল্লী গড়ে তুলে আদিবাসীদের সামনে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি গ্রামীণ পর্যটনকে এক নয়া রূপ দিয়েছেন প্রথমে  কুশলপল্লী রিসর্ট-এর মাধ্যমে নয়া পর্যটন গড়ে। এরপর পুরুলিয়াতেই মাঠা ফরেস্ট রিসর্ট গড়ে গ্রামীণ পর্যটনকে এগিয়ে চলেছেন।

সম্প্রতি কুশল এডুকেশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও উদ্যোগপতি নরেশ আগরওয়াল সংবাদ প্রভাকর টাইমসকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ কথা। একদিকে পুরলিয়া তথা জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন এবং পাশাপাশি পর্যটনের উন্নয়নেও নিয়েছেন একাধিক উদ্যোগ। নরেশবাবু বলেন-  “জঙ্গলমহলে আমাদের যত ভাইবোন আছে তারা যাতে খেলাধুলোয় এগিয়ে আসতে পারে সেইজন্য ম্যারাথন আয়োজন করা হয়েছে।  এটা আমাদের পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে হচ্ছে। তিনটি বিভাগে এই ম্যারাথন হচ্ছে- ৫ কিমি, ১০কিমি ও ২১ কিলোমিটারে হচ্ছে। যারা এতে উৎসাহিত থাকবেন তাদের আমরা চিহ্নিত করে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করব। যাতে তারা ভবিষ্যতে অলিম্পিক্সে , এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে পারে। সেটাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।“

একই সঙ্গে পর্যটনের লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয়েছে কুশলপল্লী। এই প্রসঙ্গে নরেশ আগরওয়াল বলেন- “কুশলপল্লী পাঁচ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। আমাদের উদ্দেশ্যই ছিল যে অযোধ্যা পাহাড়ে যেসমস্ত আদিবাসী ভাই-বোনরা আছেন তারা যাতে চাকরির সুযোগ পায় সেটা দেখা। সেইজন্য আমরা ১০টা কটেজ দিয়ে শুরু করেছিলাম। এখন সেটা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০টি। এখন সেখানে ১৫০টি কটেজ আছে। ২০০ আদিবাসী ভাই-বোন ওখানে কাজ করেন। অযোধ্যা পাহাড়টা এখন পুরো কুশল পল্লীর জন্য ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন হয়ে গেছে। আশপাশে এখন বিভিন্ন লজ চলে এসছে। এজন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাস্তাঘাটও ওখানে হয়েছে। এখন একটা ভাল ট্যুরিস্ট স্পট হয়েছে। “

তিনি যোগ করেন- “এখন লক্ষ লক্ষ পর্যটক ওখানে ঘুরতে যাচ্ছেন। এখানে সাধারণ মানুষও গিয়ে থাকতে পারেন। পাশে মাঠা বলে আর একটা জায়গা আছে। মাঠা ফরেস্ট- সেখানে একটা ট্যুরিজম প্রজেক্ট করেছি। অযোধ্যা পাহাড় থেকে ২০ কিলোমিটার। সেখানেও রুম আমরা অনেক সস্তা রেখেছি, যাতে বিভিন্ন লোক লাভবান হতে পারে। পর্যটনকে পরিবেশের সংগে উপভোগ করতে পারেন। তার জন্য আমরা মাঠা ফরেস্ট-এর ব্যবস্থা করেছি। “

মাঠা ফরেস্ট বাঘমুন্ডি ব্লকের মধ্যে পড়ে। আর পুরুলিয়া সদর মহকুমার মধ্যে পড়ে।“ গ্রামীণ পর্যটনের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য।“ যোগ করেন নরেশ আগরওয়াল।

Published on: ফেব্রু ১৭, ২০২৪ at ২১:৫২


শেয়ার করুন