বাড়িকে সুরক্ষিত রাখতে চান, জেনে নিন ন্যানোফিক্স ওয়াটারপ্রুফিং কেমিকেল প্রোডাক্টের খুঁটিনাটি

Main অর্থ ও বাণিজ্য দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: এপ্রি ২৬, ২০২৩ @ ২৩:৫৪
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৬ এপ্রিল: সময় এগোচ্ছে। পাল্টাচ্ছে পুরনো ধ্যান-ধারনাও। এসে গেছে নতুন প্রযুক্তি। বাসস্থানেও এসেছে অনেক অভিনবত্ব।ঘরকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ন্যানোজি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ন্যানোফিক্স ওয়াটারপ্রুফিং কেমিকেল প্রোডাক্টগুলি নতুন রূপে বাজারে নিয়ে এসেছে। ন্যানোফিক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়দীপ চৌধুরী জানিয়েছেন, তাদের এই ন্যানোজি টেকনোলোজিকে কাজে লাগিয়ে ওয়াটারপ্রুফিং কেমিকেল প্রোডাক্টস আজ সকলের কাছে অত্যন্ত পছন্দের হয়ে উঠেছে।

এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কোম্পানির অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আর এন্ড ডি প্রিয়ব্রত ঘোষ। তাঁর কথায়- “ওয়াটারপ্রুফিং কেমিক্যালস , আগে আমাদের বুঝতে হবে যে আমরা কি প্রোডাক্টস অফার করছি। বাড়িতে যেমন সিমেন্ট দিয়ে কাজ করার সময় জল খুব প্রয়োজনীয়, জল ছাড়া সিমেন্টের কাজ যেমন হয় না, ঠিক তেমনই বাড়ি হয়ে যাওয়ার পর কিন্তু সেই জলটাই মারাত্মক হয়ে ওঠে যদি আমরা সেটাকে সঠিকভাবে না বন্ধ করতে পারি।”

একটা বাড়িতে কেন ওয়াটারপ্রুফিং দরকার হয়?

“যদি ওয়াটারপ্রুফিং না থাকে এই কন্সেপ্টটা কিন্তু আগে ছিল না। আগে যারা ওয়াটার ফিল করতো , নর্মাল বিটুমিন দিয়ে করতো, পিচ দিয়ে করতো, কোল্ড ডার্ক দিয়ে করতো, আলকাতরা দিয়ে করতো। আলকাতরার সঙ্গে চট মিশিয়ে একটা ওয়াটার ফিল হতো কিন্তু ১৯০০ সালের পর থেকে আস্তে আস্তে পলিমার্স এসে গেছে বাজারে। এবং সেই পলিমারের উপর বেস করে কিন্তু প্রচুর প্রোডাক্ট ডিজাইন হয়। আমাদের প্রোডাক্ট পলিমার ও ন্যানো টেকনোলজির মিশ্রণে তৈরি করা হয়। যার জন্য অন্যান্যদের প্রোডাক্টের তুলনার আমাদেরটা অনেকটাই উচ্চ মানের।”

এবার ওয়াটারপ্রুফিং-এর ক্ষতি কি কি হয়?

এই বিষয়ে এমডি জয়দীপ চৌধুরী লিকেজের কথা বলেছেন। সেই সূত্র ধরে প্রিয়ব্রত ঘোষ বলেন- এখন সবাই খুবই সচেতন। এখন এক একটা ফ্ল্যাট কয়েক কোটি দাম। সেখানে ফ্ল্যাট কিনে যদি কেউ দেখেন যে ঘরে ড্যাম্প হয়েছে, সেখানে আপনার ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে। আপনার ফ্ল্যাটে স্পটের দাগ আসবে। জলের ছোপ আসবে। ওয়াটার লিকেজ হবে। ইলেক্ট্রিক্যাল শর্ট সার্কিট হবে, হেলথ এন্ড হাইজিনের সমস্যা হবে। কেন না যেখানেই ড্যাম্প হবে, সেখানেই কিন্তু ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এগুলো বৃদ্ধি পাবে। স্ট্রাকচারাল প্রবলেম হবে। যখনই জল চুইয়ে পড়বে সেখানে ভিতরে যে লোহার রড আছে যাকে আমরা রি-ইনফোর্সমেন্ট রড বলি, সেগুলোতে কিন্তু জং ধরবে। জং ধরলে কংক্রিটটা একটু নড়বড়ে হবে। ফলে খুলে পড়ে গেলে বিম খুব দুর্বল হয়ে পড়বে। আপনার গোটা স্ট্রাকচারটায় সমস্যা দেখা দেবে। তারপর হেলথ এন্ড হাইজিন থেকে স্ট্রাকচার, সৌন্দর্য, ইলেক্ট্রিক্যাল ফল্টো- এসব কিছু কিন্তু নির্ভর করছে একটা ওয়াটার লিকেজের উপর। সেইটাকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট আছে। ইন্ট্রিক্যাল ওয়াটারপ্রুফিং কমপাউন্ড, যেটা প্রথমে বাড়ি তৈরি করার সমই ইউজ করতে হয়। যখন আপনি কংক্রিট করছেন মশলা মাখার সময় আমাদের ইন্ট্রিক্যাল কম্পাউন্ড যদি ইউজ করেন বা যখন প্লাস্টার করছেন সেই প্লাস্টারের সময় যদি এটি ইউজ করেন তাহলে খুব ভালো ফল দেবে।”

এটা কিভাবে কাজ করে?

“এটা প্রথমে কংক্রিটটাকে অনেক ডেন্স করে দেবে। কংক্রিটটাকে ঘন করে দেবে। কংক্রিট ঘন করলে কংক্রিটের মধ্যে যে ছিদ্র থাকে যাকে কোষ বলি আমরা, সেগুলো অনেক কম পাওয়া যাবে। এর ফলে জল কংক্রিট দিয়ে অনেক কম ঢুকবে বা ওয়াটার লিকেজ কম হবে। এছাড়াও কোষ ব্লকিং করে যে ছিদ্রগুলো কংক্রিটের মধ্যে থাকবেই সেগুলোকেও ব্লক করে দেবে। ডিসকনটিনিউয়াস করে দেব। সেখান দিয়ে জল আর প্রেসারেই হোক কিংবা উইথআউট প্রেসারেই হোক জল এক দিক থেকে আর দিকে আসতে পারবে না। আর একটা কাজ করে জল প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এই তিনটে ভাগে কাজ করে কিন্তু ইন্ট্রিক্যাল ওয়াটারপ্রুফিং কমপাউন্ড জল প্রবেশ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।”

“এছাড়াও আমাদের যেটা আছে, সেটা হচ্ছে কোটিংস- আপনি একবার বাড়ি করে ফেলেছেন তখন কিন্তু আপনি ইন্ট্রিক্যাল ইউজ করতে পারবেন না, কারণ কংক্রিট মাখা হয়ে গেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে যেটা করতে হবে, সেটা হল- মানে পেইন্টিং-এর মতো একটা লেয়ার করতে হবে। কোটিং-এর থিকনেস অনেক ঘন হয়। কোটিংস আমাদের বিভিন্ন ধরনের আছে- সিভিটিয়াস কোটিং, নর্মাল পলিমার্স, তার মধ্যে নতুন টেকনোলজি আছে। একটা আছে হাইটেক পলিমার। সেই পলিমার ইউজ করে তার মধ্যে আমরা ন্যানো টেকনোলজি মিশিয়ে আমরা কোটিংস তৈরি করেছি সেই কোটিং-এ কিন্তু জল প্রতিরোধের খুব মারাত্মক ক্ষমতা আছে।” বলেন এভিপি।

কোথায় কোথায় ব্যবহার করতে পারব- এগুলিকে আমরা?

যেখানে সব চেয়ে বেশি জলের সমস্যা হয়, ছাদ- সেখানে ইউজ করতে পারব। আমরা টয়লেট, বাথ্রুম, ফ্লোর, টয়লেটের ওয়াল, বেসমেন্ট, যেখানে বাইরের জল ঢোকার সম্ভাবনা বেশি সেখানে এটা ইউজ করতে পারব।

“এছাড়া আমাদের ড্রাউটস আছে।আপনি ধরুন কোথাও টালি লাগাচ্ছেন। সাধারণত, মশলা দিয়ে টালি ফিট করে। এখনকার নতুন টেকনোলজিতে টাইলস অ্যাঢেসিভ বেড়িয়ে গেছে। খুব তাড়াতাড়ি আপনি টাইলস লাগাতে পারবেন। এর আর একটা সুবিধা হল- ধরুন মেঝেতে একটা টাইল আছে, আপনি চাইছেন রাতারাতি টাইলের রং বদলে দেবেন আপনি তার উপরেই নতুন টাইল লাগিয়ে দিন পরের দিনই আপনি সেই ঘর ইউজ করতে পারেন।”

বন্ডিং এজ আছে। এগুলো পুরনো কংক্রিটের সঙ্গে নতুন কংক্রিটের বন্ডিংটা বাড়ায়। পুরনো ছাদের সঙ্গে নতুন ছাদে যেই আপনি ঢালবেন সেই যে ক্র্যাক থাকে মাঝখান দিয়ে জল পড়বে। এগুলি বন্ধ করার জন্য বন্ডিং এজ আছে আমাদের।এটি কিন্তু সিঙ্গল কম্পোনেন্ট। একটা ঢাকা খুলে সেখান থেকে ইউজ করতে পারবেন। মার্কেটে যে বন্ডিং এ্জ পাওয়া যায় সেগুলো টু কম্পোনেন্ট। দুটোকে মেশাতে হবে। বানিয়ে তবে সেটা ইউজ করতে হবে। আমাদের সেই ঝামেলা নেই। একটাই ডাব্বা, একটাই কন্টেনার সেটা খুলে ব্রাশে করে তা ব্যব্যহার করতে পারবেন।”

Published on: এপ্রি ২৬, ২০২৩ @ ২৩:৫৪


শেয়ার করুন