
মিশরের বিরুদ্ধে গোল করার পর সালেম আল দাওসারি । ছবি-বিবিসি
Published on: জুন ২৬, ২০১৮ @ ১৮:৪০
এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ শুরু হয়ে বিশ্বকাপ ২০১৮। রাশিয়ায় উদ্বোধনী ম্যাচে হয়ে গেল একাধিক রেকর্ড। উঠে এল অনেক তথ্য। থাকছে বিশ্বকাপের আরও খুঁটিনাটি খবর। সংবাদ প্রভাকর টাইমস গত এক মাস আগে থেকেই তুলে ধরেছে অনেক না জানা তথ্য। এবার থাকছে একেবারে লাইভ আপডেট। আমরা পাঠকের কাছে ফুটবলের জ্ঞানপাঠ দিতে চাই না। সেই ধৃষ্টতাও আমাদের নেই। আমরা চাই নতুনকে চেনাতে নতুনকে জানাতে।পাঠল এই কলমের মাধ্যমে জানতে পারবে বিশ্বকাপের নানা খবর। চলবে বিশ্বকাপের শেষ দিন পর্যন্ত।
উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়া ৫-০ গোলে হারাল সৌদি আরবকে।
ম্যাচের ১২মিনিটে ইউরি গ্যাজিন্সকি গোল করে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা হিসেবে নিজের নাম লিখে রাখলেন।
এ পর্যন্ত স্পেনের বিরুদ্ধে ৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টিতে করা রোনাল্ডোর গোলই এবারের বিশ্বকাপে দ্রুততম গোল হিসেবে থাকছে।
উদ্বোধনী ম্যাচে দুই গোল করে রেকর্ড গড়লেন রাশিয়ান মিডফিল্ডার ডেনিশ চেরিশেভ। তিনি ম্যাচের ৪৩ মিনিট ও দ্বিতীয়ার্ধে ৯০+৪ মিনিটে গোল করেন।
প্রথম ম্যাচ হল মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে।
একনজরে ইরান – পর্তুগাল ম্যাচ
ইরান-১ পর্তুগাল -১
(আনসারিফার্দ৯০+৩ মি.পেনাল্টি)।
রিকার্ডো কুরিসিমা (৪৫মি.)
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- রিকার্ডো কুরিসিমা (পর্তুগাল)
বল দখলে রেখেছে ইরান ২৭% আর পর্তুগাল দখলে রেখেছে ৭৩%।
ইরান শট নিয়েছে ৭ আর পর্তুগাল নিয়েছে ১৪।
ইরান গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ২ আর পর্তুগাল ৪।
ইরান কর্নার আদায় করেছে ১ আর পর্তুগাল নিয়েছে ৫টি।
ইরান ফাউল করেছে ১৬ আর পর্তুগাল করেছে ১১।
রেকর্ড
পর্তুগাল তাদের গ্রুপ পর্যায় থেকে এগোলো। এর আগে তারা এমন ফল করেছিল ১৯৬৬, ২০০৬, ২০১০ সালে।
বিশ্বকাপে তাদের পাচটি প্রতিযোগিতাতেই ইরান গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিল।ের আগে তারা বিদ্যা নিয়েছে ১৯৭৮, ১৯৯৮, ২০০৬, ২০১৪সালে।
এবারের বিশ্বকাপে ইরানের দুটি গোল এসেছে খেলার অতিরিক্ত সময়ে। মরক্কোর বিরুদ্ধে তারা গোল পেয়েছিল ৯৪.০৬মিনিটে। আর পর্তুগালের বিরুদ্ধে তারা গোল পেল ৯২.৪৯মিনিটে।
বিশ্বকাপে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে গোল করার নজির গড়লেন পর্তুগালেরত কুরিসমা (৩৪ বচক্সহর ২৭২দিন)। এর গাএ ২০০৬সালের বিশ্বকাপে ইরানের জাহিয়া গুলমহম্মদি (৩৫বছর৮৪দিন) মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন।
গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে জিতেও নক-আউট পর্যায়ে উঠতে পারল না ইরান। তারা এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ। এর আগে ২০০৬সালে দঃ কোরিয়া বাইরে চলে যায়।
রোনাল্ডোর পেনাল্টি মারায় সাফল্যের পরিমান ৫০%। ২০০৬ ও ২০১৮সালে ইরান ও স্পেনের বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে গোল করলেও ২০১৬ সালে ইউরো কাপে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ও ২০১৮ সালে ইরানের বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি।
গত আটটি ম্যাচে ইউরোপের কোনও দেশের বিরুদ্ধে জিততে পারেনি ইরান।২ট ড্র, ৬টি হেরেছে।
আজ পর্যন্ত পর্তুগাল বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচ হারেনি যেখানে তারা প্রথম গোল করে। জিতেছে ১৩টি, ড্র ৩টি।
একনজরে স্পেন – মরক্কো ম্যাচ
স্পেন-২ মরক্কো -২
(ইসকো১৯ মি.), ল্যাগো অ্যাস্পাস (৯০+১ মি.)।
বুতায়েব(১৪মি.) এন নেসিরি (৮১মি.)
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ-নর্ডিন আমরাবত (মরক্কো)
বল দখলে রেখেছে স্পেন ৭৫% আর মরক্কো দখলে রেখেছে ২৫%।
স্পেন শট নিয়েছে ১৮ আর মরক্কো নিয়েছে ৬।
স্পেন গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৫ আর মরক্কো ৩।
স্পেন কর্নার আদায় করেছে ৭ আর মরক্কো নিয়েছে ১টি।
স্পেন ফাউল করেছে ৫ আর মরক্কো করেছে ১৭।
রেকর্ড
মরক্কো হয়ে বুতায়েবের গোল এল এবছর ২৯তম শট থেকে। এর আগে তাদের প্রথম গোল এসেছিল ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ তারা জিতেছিল ৩-০ গোলে।
র্যামোস বিশ্বকাপে স্পেনের হয়ে ১৪টি ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব অর্জন করলেন। এর ফলে তিনি পিছনে ফেলে দিলেন জাভিকে।
মরক্কো গত ১০টি বিশ্বকাপের ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে এখনও পর্যন্ত জয়ী হতে পেরেছে। বাকি ৯টির মধ্যে ২টি ড্র, ৭টি হেরেছে।
১৯৮২ সালে স্পেন প্রথম গ্রপের শেষ ম্যাচ জিততে পারেনি। এর পর এবার একই পুনরাবৃত্তি হল।
স্পেনের হয়ে ইসকো ১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন.১২টি গোলের পিছনে তাঁর ভূমিকা আছে। ১০টি করেছেন আর করিয়েছেন ২টি গোল।
স্পেনের বদলি খেলোয়াড় হিসবে ১০টি ম্যাচে ১০টি গোলে তাঁর মুখ্য ভূমিকা আছে। ছটি করেছেন। করিয়েছেন ৪টি গোল।
গ্রুপে অপরাজিত থেকে স্পেন প্রথম ২০০৬ সালে গ্রুপ ম্যাচ শেষ করেছিল। সেবার তারা তিনটি ম্যাচ জিতেছিল।
একনজরে উরুগুয়ে – রাশিয়া ম্যাচ
উরুগুয়ে-৩ রাশিয়া -০
(সুয়ারেজ১০ মি.), চেরিশেভ (২৩ মি. আত্মঘাতী), কাভানি(৯০মি.) স্মোলনিকভ(লাল কার্ড ৩৬মি.)
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ-সুয়ারেজ (উরুগুয়ে)
বল দখলে রেখেছে উরুগুয়ে ৫৮% আর রাশিয়া দখলে রেখেছে ৪২%।
উরুগুয়ে শট নিয়েছে ১৬ আর রাশিয়া নিয়েছে ৩।
উরুগুয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৬ আর রাশিয়া ১।
উরুগুয়ে কর্নার আদায় করেছে ৪ আর রাশিয়া নিয়েছে ২টি।
উরুগুয়ে ফাউল করেছে ১৭ আর রাশিয়া করেছে ১৮।
রেকর্ড
এই নিয়ে পাঁচবার উরুগুয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউট পর্যায়ে গেল। ১৯৩০, ১৯৫০, ১৯৫৪, ২০১০ ও ২০১৮।
১৯৮২ সালে আয়োজক স্পেনের পর এবার রাশিয়াও আয়োজক দেশ হিসেবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে ব্যর্থ হল।
রাশিয়া এই নিয়ে বিশ্বকাপে ছটি ম্যাচ জিততে পারল না। একটি ড্র, পাচটি হারল।
১৯৯৮সালের আর্জেন্টিনার পর এবার উরুগুয়ে গ্রপের তিনটি ম্যাচ জিতল। তারা একটি গোলও খায়নি।
এই নিয়ে তৃতীয়বার উরুগুয়ে ইউরোপের কোনও দেশকে হারিয়ে দিল। এর আগে ১৯৫০ এবং ১৯৫৪সালে তারা জয় পেয়েছিল।
রাশিয়ার ডেনিশ চেরিশেভ এবারের বিশ্বকাপে ছয় নম্বর আত্মঘাতী গোল করল। এর আগে ১৯৯৮ সালে ছ’টি আত্মঘাতী গোল হয়েছিল।
ইগর স্মলনিকভ হলেন প্রথম আউটফিল্ড খেলোয়াড় যিনি লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে গেলেন। এর আগে ১৯৯৮সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে আয়োজক দেশ ফ্রান্সের মার্সেল ডিসেইলি লাল
কার্ড দেখেছিলেন।
এডিনসন কাভানি হলেন উরুগুয়ের দ্বিতীয় খেলোয়াড় যিনি তিনটি বিশ্বকাপ (২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮) গোল করলেন। এই কৃতিত্ব আর আছে তাঁর সতীর্থ সুয়ারেজের।
ফার্নান্ডো মুসলেরা তাঁর ১০০তম ম্যাচ খেলে ফেললেন উরুগুয়ের হয়ে।
একনজরে সৌদি আরব – মিশর ম্যাচ
সৌদি আরব-২ মিশর -১
(আল ফারাজ ৪৫+৬ মি.পেনাল্টি), আল দাওসারি (৯০+৫ মি.) সালহা(২২মি.)
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ-ইশাম আল হাদারি (মিশর)
বল দখলে রেখেছে সৌদি আরব ৬৪% আর মিশর দখলে রেখেছে ৩৬%।
সৌদি আরব শট নিয়েছে ২৩ আর মিশর নিয়েছে ৭।
সৌদি আরব গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৮ আর মিশর ১।
সৌদি আরব কর্নার আদায় করেছে ৭ আর মিশর নিয়েছে ২টি।
সৌদি আরব ফাউল করেছে ৭ আর মিশর করেছে ১৬।
রেকর্ড
সৌদি আরন বিশ্বকাপে তাদের গত ১২টি ম্যাচে জয় পায়নি(২টি ড্র, ১০টি হার)। বিশ্বকাপে তাদের প্রথম জয় আসে ১৯৯৪সালের জুন মাসে বেলজিয়ামকে.১-০ গোলে হারিয়ে।
মিশরের এটি বিশ্বকাপে সাত নম্বর ম্যাচ ছিল। একটিতেও তারা জয় পায়নি। এর আগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পায়নি হন্ডুরাস। তারা ৯টি ম্যাচ খেলেও একটি জয় পায়নি।
আল হাদারি হলেন ২০১৮ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় গোলকিপার যিনি পেনাল্টি আটকালেন। এর আগে আইসল্যান্ডের হ্যালডরস্যন আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে পেনাল্টি আটকেছিলেন।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ৫০ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে পেনাল্টি থেকে আল ফারাজের গোল , এর আগে ১৯৬৬সালে্প্রথমার্ধে একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল হয়েছিল।
একনজরে পোল্যান্ড – কলোম্বিয়া ম্যাচ
পোল্যান্ড-০ কলোম্বিয়া -২
(মিনা৪০ মি.), ফালকাও (৭০ মি.), জু কুয়াদ্রাদো(৭৫মি.)
বল দখলে রেখেছে পোল্যান্ড ৪৫% আর কলোম্বিয়া দখলে রেখেছে ৫৫%।
পোল্যান্ড শট নিয়েছে ৯ আর কলোম্বিয়া নিয়েছে ১৩।
পোল্যান্ড গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ২ আর কলোম্বিয়া ৪।
পোল্যান্ড কর্নার আদায় করেছে ৭ আর কলোম্বিয়া নিয়েছে ৫টি।
পোল্যান্ড ফাউল করেছে ১৫ আর কলোম্বিয়া করেছে ১০।
রেকর্ড
পোল্যান্ড হল প্রথম ইউরোপীয় দেশ যারা গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদ্যা নিল।
কলোম্বিয়া তাদের পাঁচটি বিশ্বকাপে এই নিয়ে তৃতীয় জয় পেল।
চারটি গোলের মধ্যে কলোম্বিয়ার জেরি মিনার হেডে তৃতীয় গোল।
বিশ্বকাপে প্রথম এবং দেশের হয়ে এটি তাঁর ৩০ নম্বর গোল।তিনি কলোম্বিয়ার সর্বোচ্চ গোলদাতা।
একনজরে জাপা্ন – সেনেগাল ম্যাচ
জাপান-২ সেনেগাল -২
(ইনুই৮,৩৪ মি.), হন্ডা (৭৮ মি.), ম্যানি(১১মি.), ওয়াগি (৭১মি.)
বল দখলে রেখেছে জাপান ৫৭% আর সেনেগাল দখলে রেখেছে ৪৩%।
জাপান শট নিয়েছে ৭ আর সেনেগাল নিয়েছে ১৫।
জাপান গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৩ আর সেনেগাল ৭।
জাপান কর্নার আদায় করেছে ২ আর সেনেগাল নিয়েছে ৫টি।
জাপান ফাউল করেছে ৮ আর সেনেগাল করেছে ১৫।
রেকর্ড
কিসুকে হন্ডা জাপানের প্রথম খেলোয়াড় যিনি এই নিয়ে তিনটি বিশ্বকাপে (২০১০,২০১৪ ও ২০১৮) গোল করেছেন।
সেনেগালের বিরুদ্ধে হন্ডার গোলটি ছিল ৩৭তম। তিনি এই গোলের পর জাতীয় দলে হিরোমি হারার সঙ্গে চতুর্থ গোলদাতার স্থানে চলে এলেন।
সেনেগাল তাদের ১৫তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে অপ্রাজিত রয়ে গেল যেখানে স্যাডিও ম্যানে গোলে করেন।
সেনেগালের ১৯ বছর বয়সি মুসা হলেন দ্বিতীয় অল্প বয়সি খেলোয়াড় যিনি ম্যাচে গোল করলেন। এর আগে এই বিশ্বকাপে ফ্রান্সের এমবিঅ্যাপে গোল করেছেন।
একনজরে ইংল্যান্ড – পানামা ম্যাচ
ইংল্যান্ড-৬ পানামা -১
স্টোন্স ৮,৪০ মি.), হ্যারি কেন ( ২২ মি. পেনাল্টি,৪৫+১মি., ৬২মি.), জেসি লিঙ্গার্ড (৩৬মি.)
ব্যলয়(৭৮মিনিট)
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- হ্যারি কেন (ইংল্যান্ড)
বল দখলে রেখেছে ইংল্যান্ড ৫৯% আর পানামা দখলে রেখেছে ৪১%।
ইংল্যান্ড শট নিয়েছে ১১ আর পানামা নিয়েছে ৮।
ইংল্যান্ড গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৭ আর পানামা ২।
ইংল্যান্ড কর্নার আদায় করেছে ৩ আর পানামা নিয়েছে ২টি।
ইংল্যান্ড ফাউল করেছে ১৩ আর পানামা করেছে ১৩।
রেকর্ড
১৯৮২, ২০০৬ সালের পর এবার নিয়ে মোট তিনবার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের প্রথম দুটি ম্যাচে জয় পেল।
কোনও বড় প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ডের এটি বড় ধরনের জয়।
হাফটাইমের আগে পাঁচ গোল এর আগে দিয়েছিল জার্মানি ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে।
গত সাতটি বিশ্বকাপের ম্যাচের মধ্যে এই ম্যাচে ইংল্যান্ড সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ী হল।
১৯৬৬সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ১১টি গোল করেছিল। ১৯৫৪ ও ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে রাশিয়ে ৮ গোল করে দিয়েছিল।
বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচে পানামা ৮টি গোল খেল। এর আগে ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে হাইতি খেয়েছিল ১০টি গোল।
পানামার খেলোয়াড় ব্যালয়ের (৩৭ বছর ১২০দিন) থেকে মাত্র দু’জন খেলোয়াড় এর আগে বিশ্বকাপ ম্যাচে গোল করেছেন। এদের একজন হলেন ক্যামেরুনের রজার মিল্লা(৩৮বছর২৫দিন)১৯৯০সালের বিশ্বকাপে গোল করেন, ১৯৫৮সালের বিশ্বকাপে গোল করেছিলেন সুইডেনের গান্নার গ্রেন(৩৭ বছর ২৩৬দিন)।
ইংল্যান্ডের প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে বিশ্বকাপের একটি ম্যাচে দুটি গোল করার নজির গড়লেন স্টোনস।
হ্যারি কেন হলেন ইংল্যান্ডের তৃতীয় খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করার নজির গড়লেন। এর আগে এই কৃতিত্ব রাখেন ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে জিওফ হার্স্ট জার্মানির বিরুদ্ধে ও ১৯৮৬ সালে গ্যারি লিনেকার পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক নয়া রেকর্ড গড়লেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন। পরপর দু’টি ম্যাচে দুই বা তার অধিক গোল করের নজির গড়লেন।১৯৭৪সালে পোল্যান্ডের জিগর্জ লেটো গোল করে গোল্ডেন বুট জিতে নিয়েছিলেন।
কেন এখনও পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে পাঁচটি গোল করে শীর্ষে রইলেন।
একনজরে জার্মানি- সুইডেন ম্যাচ
জার্মানি-২ সুইডেন -১
রুশ (৪৮ মিনিট), টনি ক্রুজ( ৯০+মিনিট), বোয়াতেং (লাল কার্ড৮২মি)
তৈভোনেন (৩২মিনিট)
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- রোবিন ওলসেন (সুইডেন)
বল দখলে রেখেছে জার্মানি ৭৬% আর সুইডেন দখলে রেখেছে ২৪%।
জার্মানি শট নিয়েছে ১৮ আর সুইডেন নিয়েছে ৭।
জার্মানি গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৬ আর সুইডেন ৫।
জার্মানি কর্নার আদায় করেছে ৮ আর সুইডেন নিয়েছে ৩টি।
জার্মানি ফাউল করেছে ১২ আর সুইডেন করেছে ১৩।
রেকর্ড
হাফ টাইমের পর জার্মানির প্রথম জয় আসে ১৯৭৪সালের বিশ্বকাপে। সেবার তারা সুইডেনের কাছে ০-১ গোলে পিছিয়ে ছিল। পরে অবশ্য সেই ম্যাচ তারা জিতেছিল ৪-২ গোলে।
ম্যাচের ৯৪মিনিট ৪২সেকেন্ডের মাথায় টনি ক্রুজের গোলে জয়ী হয় জার্মানি। এটি এখনও পর্যন্ত জার্মানির বিশ্বকাপের ইতিহাসে একেবারে শেষ লগ্নের গোল।
গত পাঁচটি বিশ্বকাপের ম্যাচে৩ পাঁচটি গোলের পিছনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন টনি ক্রুজ। তিনটি করেন ও দুটি করান।
হাফ টাইমে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমে মারিও গোমেজের সহযোগিতায় প্রথম টাচেই গোল করে সমতা ফেরান জার্মানির মার্কো রুশ।
সুইডেন বিশ্বকাপে তাদের প্রথম গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে হেরেছিল ১৯৯০ সালে কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে।
সুইডেনের গোলকিপার ওলসেন ৫৪৮ মিনিট বাদে জার্মানির কাছে গোল খান। এর আগে তিনি শেষ গোল খেয়েছিলেন ২০১৭ সালে অক্টোবর মাসে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
২০১০ সালে বিশ্বকাপে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে মিরোস্লাভ ক্লোজ লাল কার্ড দেখেছিলেন। এর পর এবার জেরোমি বোয়েতাং এ৪দিন সুইডেনের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখেন।
একনজরে মেক্সিকো-দঃ কোরিয়া ম্যাচ
মেক্সিকো-২ দঃ কোরিয়া-১
কার্লোস আলবার্তো ভেলা(২৬ মিনিট পেনাল্টি), জেভিয়ার হার্নান্ডেজ(৬৬মিনিট)
হুয়াং মিন সুন(৯০+২.০৭মিনিট)
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- জেভিয়ার হার্নান্ডেজ (মেক্সিকো)
বল দখলে রেখেছে মেক্সিকো ৫৮% আর দঃ কোরিয়া দখলে রেখেছে ৪২%।
মেক্সিকো শট নিয়েছে ১৩ আর দঃ কোরিয়া নিয়েছে ১৭।
মেক্সিকো গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৫ আর দঃ কোরিয়া ৬।
মেক্সিকো কর্নার আদায় করেছে ৫ আর দঃ কোরিয়া নিয়েছে ৭টি।
মেক্সিকো ফাউল করেছে ৭ আর দঃ কোরিয়া করেছে ২৪।
রেকর্ড
জেভিয়ার ফার্নান্ডেজ হলেন মেক্সিকোর প্রথম খেলোয়াড় যিনি দেশের হয়ে ৫০টি গোলের মাইলসটোন ছুঁলেন।
তিনি বিশ্বকাপে চারটি গোল করে স্বদেশীয় লুই হার্নাদেজের সঙ্গে যৌথ রেকর্ড গড়লেন।
দেশের হয়ে জেভিয়ার ফার্নান্ডেজ হলেন তৃতীয় খেলোয়াড় যিনি তিনটি বিশ্বকাপে (২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮) গোল করার নজির গড়লেন। তার আগে এই নজির গড়েছেন কোতেমক ব্ল্যাঙ্কো(১৯৯৮, ২০০২ ও ২০১০) এবং রাফায়েল মারকুইজ(২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪)।
২০০২ সালে পর এবারের বিশ্বকাপে পরপর দুটি ম্যাচে জয় পেল মেক্সিকো।
দঃ কোরিয়া এই নিয়ে চারটি বিশ্বকাপের ম্যাচে হারল। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে মেক্সিকো শুধুমাত্র ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেনের বিরুদ্ধে ১০টি পেনাল্টি পেয়েছে মেক্সিকো।
একনজরে বেলজিয়াম- তিউনিশিয়া ম্যাচ
বেলজিয়াম-৫ তিউনিশিয়া-২
গোলদাতা-হ্যাজার্ড(৬মিনিট পেনাল্টি, ৫১মিনিট), লুকাকু(১৬,৪৫+৫মিনিট), বাতসুয়ায়(৯০মিনিট) ও ব্রোন(১৮মিনিট),খাজরি(৯০+৩মিনিট)
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ-রুমেলু লুকাকু(বেলজিয়াম)
বল দখলে রেখেছে বেলজিয়াম ৫০% আর তিউনিশিয়া দখলে রেখেছে ৫০%।
বেলজিয়াম শট নিয়েছে ২৩ আর তিউনিশিয়া নিয়েছে ১৬।
বেলজিয়াম গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ১২ আর তিউনিশিয়া ৫।
বেলজিয়াম কর্নার আদায় করেছে ৫ আর তিউনিশিয়া নিয়েছে ২টি।
বেলজিয়াম ফাউল করেছে ১২ আর তিউনিশিয়া করেছে ১৩।
রেকর্ড
বেলজিয়াম গত পাঁচটি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচগুলি জিতেছে।২০০২, ২০১৪ সালের পর এবারের বিশ্বকাপেও পরপর দুটি ম্যাচ তারা জিতল।
তিউনিশিয়া গত ১৩টি বিশ্বকাপের ম্যাচে জয় পেতে ব্যর্থ।
লুকাকু বেলজিয়ামের সেই খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান কাপের ম্যাচে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন। সাতটি।
বেলজিয়ামের হয়ে ১১টি ম্যাচে ১৭টি গোল করেছেন লুকাকু। একমাত্র পর্তুগালের বিরুদ্ধে গত মাসে একটি গোলও করতে পারেননি।
বেলজিয়াম তাদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম একটি ম্যাচে পাঁচটি গোল করার রেকর্ড গড়ল।
লুকাকু একমাআত্র খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপের ম্যাচে দুই অথবা তিনটি গোল করার নজির তৈরি করলেন। এর আগে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে দুটি করে গোল করেছিলেন মারাদোনা।
পেনাল্টিতে করা তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে হ্যাজার্ডের গোলটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে বেলজিয়ামের দ্বিতীয় দ্রুত গতির গোল।৫.৫৭মিনিটে গোলটি হয়। এর আগে ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পাঁচ মিনিটে করা লিওপল্ড অ্যানালসের করা গোল্টি দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন গোল।
রবার্তো মার্টিনেজের অধীনে গত ১২টি ম্যাচের মধ্যে ১১টি ম্যাচে জিতেছে বেলজিয়াম। যেখানে ৫১টি গোল করেছে। যার মধ্যে ৮টি করেছে এবারের বিশ্বকাপে দু’টি ম্যাচে।
দলের হয়ে ২১টি ম্যাচে ২৩টি গোলের পিছনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন হ্যাজার্ড। যার মধ্যে নিজে ১১টি গোল করেছেন, করিয়েছেন ১২টি গোল।
একনজরে সার্বিয়া- সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচ
সার্বিয়া-১ সুইৎজারল্যান্ড-২
গোলদাতা-মিত্রোভিচ(৫মিনিট) ও জাকা(৫২মিনিট),শাকিরি(৯০মিনিট)
বল দখলে রেখেছে সার্বিয়া ৩৮% আর সুইৎজারল্যান্ড দখলে রেখেছে ৬২%।
সার্বিয়া শট নিয়েছে ১৩ আর সুইৎজারল্যান্ড নিয়েছে ২০।
সার্বিয়া গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৩ আর সুইৎজারল্যান্ড ৫।
সার্বিয়া কর্নার আদায় করেছে ৩ আর সুইৎজারল্যান্ড নিয়েছে ৭টি।
সার্বিয়া ফাউল করেছে ১৭ আর সুইৎজারল্যান্ড করেছে ১৩।
রেকর্ড
সুইৎজারল্যান্ড বিশ্বকাপে এই প্রথম কোনও ম্যাচে পিছিয়ে থেকে জয় ছিনিয়ে নিল ২-১ গোলে।
এটি সার্বিয়ার বিশ্বকাপে ছয় নম্বর ম্যাচ যেখানে তারা পরে গোল খেয়ে হেরে গেল।
সুইৎজারল্যান্ড গত ২৪টি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ হেরেছে (১৭টি জয়, ৬টি ড্র)। ২০১৭ সালে বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচে তারা পর্তুগালের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে হেরে গেছিল।
সুইস খেলোয়াড়দের মধ্যে স্টিফেন লিচস্টেইনার ৯ ন্মবর বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে ফেললেন, যা তাদের দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
আলেক্সান্ডার মিত্রোভিচ সুইৎজারল্যান্ড-এর ১৫টি গোলের পিছনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন। ১৩টি গোল নিজে করেছেন, করিয়েছেন ২টি গোল।
প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে থেকে সুইৎজারল্যান্ড-এর খেলোয়াড় গ্রানিত জাকা মোট দশটি গোল করলেন।
সুইৎজারল্যান্ড-এর মধ্যে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড আছে জোশেফ হুগির। তিনি করেছেন ৬টি গোল। চারটি গোল করে পুর্বজ রবার্ট বল্লাম্যান ও আন্দ্রে আবেগ্লেনের সঙ্গে এক আসনে চলে এলেন জার্দান শাকিরি।
Published on: জুন ২৬, ২০১৮ @ ১৮:৪০