‘জাগৃতি ধাম’ সন্তানকে যেমন চিন্তামুক্ত রাখবে তেমনই বাবা-মা থাকবে নিরাপদে-নির্বিঘ্নে, জানালেন রবীন্দ্র চামারিয়া

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

 Published on: এপ্রি ১৭, ২০২৩ @ ০০:৪০
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৬ এপ্রিল: আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা সারা জীবন নিজেদের সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যে নিয়োজিত থাকেন। সমাজের কথা চিন্তা করেন। মানুষের জন্য কিছু করার কথা ভাবেন।সুপরিচিত ইনফিনিটি গ্রুপের চেয়রাম্যান ও জাগৃতি ধামের মুখ্য ট্রাস্টি রবীন্দ্র চামারিয়া তাদের মধ্যে একজন। তাঁর কাজের মধ্যে সবসময়ই এক অভিনবত্বের ছোঁয়া থাকে।আজ ডায়মন্ডহারবার রোডে কৃপারামপুরে অবস্থিত জাগৃতি ধাম-এর শুভ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে হাজির থেকে তারই উজ্জ্বল প্রমাণ পেলাম।ইতিমধ্যেই তাঁর এই অসামান্য কাজ যা প্রবীণদের জন্য তৈরি করেছেন, তা পূর্ব ভারতের ‘গ্রিন সার্টিফায়েড লিভিং সেন্টার’ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এদিনই এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে শিল্পপতি রবীন্দ্র চামারিয়া জানান- জাগৃতি ধাম সন্তানকে যেমন চিন্তামুক্ত রাখবে তেমনই বাবা-মা নিরাপদে থাকবে।

প্রবীণদের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান

কোন ভাবনা থেকে জাগৃতি ধামের পরিকল্পনা- এ বিষয়ে জানতে চাইলে এক তথ্য তুলে ধরেন রবীন্দ্র চামারিয়া। তিনি বলেন- প্রতিদিন ভারতে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ কর্মজীবন থেকে অবসর নিচ্ছেন, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রবীণদের জনসংখ্যার হার-ও। আগামী ৫০ বছরে ভারতে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়ে ৩২০ মিলিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের হিসাব অনুযায়ী , ২০৩০ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যার মধ্যে বরিষ্ঠ জনসংখ্যার হার ৮.৬% থেকে বেড়ে হবে ১২.৫%।

যে উদ্দেশ্য নিয়ে জাগৃতি ধাম গড়ে তোলা হয়েছে

বর্তমানে বহু ছেলে-মেয়ে এদিক-ওদিক গিয়ে কাজ করছে। কর্মসূত্রে তারা পরিবার থেকে অনেক দূরে থাকছে। তারা বেশিরভাগই ভারতে্র বিভিন্ন প্রান্তে কিংবা বিদেশে চাকরি করছে। এর ফলে বাবা-মা একা হয়ে যাচ্ছে। ছেলে-মেয়েরা বাইরে থেকেও বাবা-মা’কে নিয়ে চিন্তায় থাকছে। এতে বাবা-মায়েরা একটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমনকি, তাদের মেডিক্যালের বিষয় আছে। ছেলে-মেয়েরা  তাই এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে ক্যামেরা লাগিয়ে দূর থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সব কিছু দেখছে। আমরা এসব দিক ভেবে ঠিক করলাম, এমন কিছু যদি করা যায় যেখানে বাবা-মায়েরা খুবই শান্তিতে, নির্বিঘ্নে, নিরাপদে কাটাতে পারবে। যেখানে তাদের নিরাপত্তার অসুবিধা থাকবে না। তাদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করতে হবে না। সব কিছুই নিয়ন্ত্রিত হবে। সেই মতো আমরা এই জাগৃতিধাম তৈরি করেছি।বলেন রবীন্দ্রবাবু।

এখানে যেসব ব্যবস্থা আছে

আর এখানে তো আমরা রিসর্ট মতো গড়ে তুলেছি। এখানে ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে দেখভালের লোকজন সবই আছে। আছে খেলাধুলোর সরঞ্জাম থেকে যোগার ব্যবস্থাও। লন আছে। এখানে আয়ুর্বেদ সেন্টার করছি। এখানে খাওয়া-দাওয়ার ব্যস্থাও একেবারে অর্গানিক ভাবে করা হচ্ছে। এখানে যে রিসর্ট আছে সেখানে সুইমিং পুল সবই আছে। আসলে সন্তান যেমন চিন্তামুক্ত থাকবে ঠিক তেমনই বা-মায়েরাও নির্বিঘ্নে জীবন কাটাতে পারবে।

এখানে যে বিল্ডিং তৈরি হয়েছে তা ২ একর জুড়ে হয়েছে। তবে জাগৃতির যে জায়গা আছে তা তো দেড়শো একরে উন্নয়ন আছে। এর রিসর্ট যা আছে তা ২০ একর মতো জায়গা জুড়ে আছে।

জাগৃতি ক্লাব থেকেই জাগৃতি ধামএর নামকরণ

এখানে জাগৃতি ক্লাব আছে, যা মহিলা পরিচালিত ওরাই এই নামটাকে বেছেছে। ওরাই আমাকে এটা দিয়ে বলেন যে আপনি এটা সম্পূর্ণ করুন। এখানে ষাটোর্ধ্বদের জন্য থাকছে ব্যবস্থা। এখানে ৭২টি ঘর আছে। আমরা আশা করছি, ১০০জনের মতো থাকবেন। এখানে থাকার জন্য খরচের হিসাব এখনও সেভাবে ঠিক হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, এটা অলাভজনক বিষয়।এটা পরে ঠিক হবে। ইতিমধ্যে অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা রাজীও হয়েছেন। আজ উদ্বোধন হল, এর পর আমরা প্রবীণদের গৃহপ্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নেব।

আমার বয়স ৭২ বছর। আমি দেখছি, এটা এখন সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশে তো বৃদ্ধদের জন্য নানা ধরনের সুবিধা রয়েছে। এবার এখানেও সেই সুবিধা দেওয়া যাবে।বলেন মুখ্য ট্রাস্টি রবীন্দ্র চামারিয়া।

Published on: এপ্রি ১৭, ২০২৩ @ ০০:৪০


শেয়ার করুন