‘জাগৃতি ধাম’ প্রবীণদের জন্য পূর্ব ভারতের প্রথম গ্রিন সার্টিফায়েড লিভিং সেন্টার, যাত্রা শুরু করল ‘ইনফিনিটি’র হাত ধরে

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: এপ্রি ১৬, ২০২৩ @ ২৩:৩৩
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৬ এপ্রিল: জাগৃতি ধাম নির্মাণ করে আবারও এক অভিনবত্বের ছোঁয়া রাখল সুপরিচিত ইনফিনিটি গ্রুপ।প্রবী্ণদের জন্য গড়ে তোলা পূর্ব ভারতের প্রথম ‘গ্রিন সার্টিফায়েড লিভিং সেন্টার’ হল এই আবাসনকেন্দ্রটি। প্রবীণদের জন্য নির্মিত এই স্থানে থাকছে নানা ব্যবস্থা। আজ প্রদীপ জ্বালিয়ে ভারতীয় রীতি মেনে শুভ উদ্বোধন হল জাগৃতি ধামের। উদ্বোধনী ভাষণে জাগৃতি ধামের মুখ্য ট্রাস্টি এবং ‘ইনফিনিটি গ্রুপ’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান রবীন্দ্র চামারিয়া বলেন- অধিকাংশ মানুষ বয়স কালেও যথাযথ সুস্থ-সবল থাকেন। এমন সব মানুষদের কথা মাথায় রেখেই জাগৃতি ধাম পথ চলা শুরু করল আজ থেকে। এই যাত্রা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

শুভ মুহূর্তে জামাইবাবুকে স্মরণ

উদ্বোধনী ভাষণে রবীন্দ্র চামারিয়া এদিনের শুভ মুহূর্তে তাঁর জামাইবাবুকে স্মরণ করেন। জাগৃতি ধামের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পিছনে তাঁর জামাইবাবুর প্রেরণাই কাজ করেছে বলে এদিন প্রকাশ্যে জানান। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন- আজ থেকে ১০-১২ বছর আগের কথা। জামাইবাবু একদিন আমাকে বলেছিলেন যে তোমাকে এই কাজ সম্পন্ন করতেই হবে। আমি তাকে সেদিন কথা দিয়েছিলাম। আজ সেই কাজ প্রভুর কৃপায় শেষ করতে পেরেছি। তবে তিনি আজ থাকলে আরও ভালো লাগত। আজ তাকে খুব মিস করছি।”

কেরলের একটি আয়ুর্বেদা সেন্টারের সঙ্গেও টাই-আপ

“এটি নন-প্রফিট রাখা হয়েছে। আজকের দিনে আপার ক্লাসের কাছে এটা একটা বড় সমস্যা। তাদের কথা ভেবেই এটা করা হয়েছে। তাদের আধ্যাত্মিক, সহযোগী ভাবনা, মেডিক্যাল সুবিধা –সব দিক খেয়াল রাখা হয়েছে। এখানে ডা. ঋষিকেশ কুমার বসে আছেন। উনি একটা হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান। ডিমেনশন, পার্কিনসন এসবের বিষয়ে সুব্যবস্থা থাকছে এখানে।দিল্লির একটা গ্রুপ ডিমেনশন, পার্কিনসন-এর স্পেশাল গ্রুপ চালায়। তাদের সঙ্গে টাই-আপ করা হয়েছে। যেসমস্ত কেস হবে তা নিয়ে তারা সহযোগিতা করবে। শ্রীমতি ঢানদানিয়া এখানে একটি মন্দির নির্মাণ করেছেন। একই সঙ্গে আমরা কেরলের একটি আয়ুর্বেদা সেন্টারের সঙ্গেও টাই-আপ করেছি। তারা খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করবে। যারা এখানে থাকবেন তারা আয়ুর্বেদ চিকিৎসার সুবিধাও পাবেন।” বলেন মুখ্য ট্রাস্টি রবীন্দ্র চামারিয়া। একই সঙ্গে এদিন তিনি এই কাজে সাহয্যের হাত যারা বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের কথাও উল্লেখ করে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।

ধীরে ধীরে এর ফল মিলবে

রবীন্দ্র চামারিয়ার ভাগ্নে জাগৃতি ধামের কথা উল্লেখ করে বলেন যে সমাজের জন্য কিছু করা দরকার। আজ এই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ধীরে ধীরে এর ফল মিলবে। এই কাজের প্রেরণা মিলেছে আমার বাবার কাছ থেকে। যেদিন তিনি রবীন্দ্র মামাকে বলেছিলেন যে রবীন্দ্র এটা তোমাকে করতেই হবে, সেদিন মামা কথা দিয়েছিলেন। আজ তা সম্পূর্ণ হয়েছে।

যা হবে বিশ্বমানের

পার্কিনসন বিষয়ে বলতে গিয়ে ডা. ঋষিকেশ কুমার বলেন যে আমি প্রতিদিন পার্কিনসন রোগীদের দেখি। এখানে শুধু সাইকোলজিক্যাল সুবিধাই নয় তাদের মেডিক্যাল সুবিধা মিলবে, যা হবে বিশ্বমানের।

এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাগৃতির প্রাক্তন সভাপতি ঊমা কানোই, ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিনীত আগরওয়াল, জাগৃতির প্রাক্তন সভাপতি চিত্রা টোডি, জাগৃতি ধামের প্যাট্রন সুষমা চামারিয়া, জাগৃতি ধামের ট্রাস্টি ও ইনফিনিটি গ্রুপের ডিরেক্টর পুলক চামারিয়া।

Published on: এপ্রি ১৬, ২০২৩ @ ২৩:৩৩


শেয়ার করুন