IGI মডেল বানিয়ে চমক ৯ বছরের শিশুর, দিল্লি বিমানবন্দর দিল তাকে বিশেষ সম্মান

Main দেশ
শেয়ার করুন

 Published on: জুন ৫, ২০১৯ @ ০০:০৩

এসপিটি নিউজ, নয়া দিল্লি, ৪ জুন: সত্যি, গল্প কথাকেও হার মানিয়েছে।৯ বছরের এক শিশু নিজের চেষ্টায় ও পরিশ্রমে বানিয়ে ফেলেছে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের একটি মডেল। যা করে আবির ম্যাগো নামে এই শিশুটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মন জয় করে নিয়েছে। আর তাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই শিশুটির ১০তম জন্মদিন বিমানবন্দরেই পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ১০ জুন।

দিল্লি বিমানবন্দরের প্রতি আবিরের বরাবরের একটা টান। তাই সে ঠিক করে যে যেমনন করেই হোক সে বিমানবন্দরের মডেল তৈরি করবে। আর তাই এই মডেল বানানোর কাজে সে নেমে পড়েছিল। প্রথমে তার এমন ভাবনার কথা শুনে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিল।

ক্লাস ফোরের ছাত্র ৯ বছরের আবির কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে বানিয়ে ফেলে ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের একটি মডেল। আর এই মডেল করতে গিয়ে তাকে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে। প্রায় ২১ ঘণ্টা মতো কাজ করতে হয়েছে। বিমানবন্দরটির মডেল করার জন্য তাকে নেটের আশ্রয় নিতে হয়েছে। বারে বারে কম্পিউটারের পর্দায় ছবি ও তার নানা দিকের নানা রকমের ছবি দেখে মিলিয়ে মডেল তৈরি করার কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে।

আবিরের এমন উদ্যোগের কথা ইন্দিরা গান্ধী ইন্টার ন্যাশনাল বিমানবন্দরের কাছে পৌঁছে যায়। তারা সকলেই ৯ বছরের আবিরের উদ্যোগের তারিফ করে। একই সঙ্গে এতটুকু শিশুর এমন সুন্দর চিন্তাধারা শুধু হয় যেভাবে হুবহু সে বিমানবন্দরের নানা দিককে মিলিয়ে দিয়েছেন তারও প্রশংসা করেন বিমানবন্দরের কর্মীরা।

এরপর ব্বিমানবন্দরের সিইও তাই ছোট্ট আবিরের এমন উদ্যোগের তারিফ করে তাকে বিমানন্দরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা শিশুটিকে গোটা বিমানবন্দরের সমস্ত দিক ঘুরিয়ে দেখানোর পাশপাশি তার ১০তম জন্মদিন বিমানবন্দরেই পালন করবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে। এমন খবরে বেশ উচ্ছ্বসিত শিশুটি। সে জানিয়েছে, এটা তার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। এই দিনটির দিকেই সে তাকিয়েছিল। আজ তার ইচ্ছা পূরণ হওয়ায় সে সত্যি আপ্লুত ও আনন্দিত।

বিশ্বের নানা জায়গা থেকে ২০০ এয়ারক্র্যাফট মডেল সে সংগ্রহ করেছে। “যখন তার পাঁচ বছর বয়স সেই সময় থেকেই সে এই মডেল তৈরির কাজ করছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। আবির সেই সময় থেকেই দেখেছে মহিলা পাইলটকে। আর তখন থেকেই নিজেকে তাদের মতো করে গড়তে চেয়েছে। তারপর থেকেই সে নানা ধরনের এয়ারক্র্যাফট সংগ্রহ শু্রু করে।য়ামরা এখন বুঝতে পারছি ওর শৈলী সম্পর্কে।” বলছিলেন আবিরের মা শ্বেতা।

তিনি আরও বলেন-“আমি ও আমার স্বামী বিমান পরিবহনের শিল্পের সঙ্গে যুক্ত নই। কিন্তু আমাদের দুই পরিচিত এর সঙ্গে যুক্ত। একজন ওর বাবার এক বন্ধু যেনি পাইলট এবং অপর জন হলেন আমার দেওর। আবির ওদের দু’জনের কাছে থেকে বিমান সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে নেয়। আমরা ওর বাবা-মা হিসেবে আজ সত্যি গর্বিত। আমরা চাই আমাদের সন্তান আরও এগিয়ে যাক, তাকে আমরা সব সময় উৎসাহ দিয়ে চলেছি।”

 Published on: জুন ৫, ২০১৯ @ ০০:০৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

22 + = 27