Published on: জুন ৫, ২০১৯ @ ২১:২৮
এসপিটি নিউজ ডেস্ক: গুগল আজ ইতালিয়ান দার্শনিক ও ধর্মশাস্ত্রী বিশ্বের প্রথম মহিলা পিএইচডি প্রাপক এলেনা কর্নারো পিস্কোপিয়ার ৩৭৩তম জন্মদিন ডুডল বানিয়ে শ্রদ্ধা জানাল। এলেনা কর্নারো পিস্কোপিয়াকে লেন কর্নারো বলা হয়ে থাকে। ১৬৪৬সালের ৫ই জুন তাঁর জন্ম হয়েছিল। প্রথমে তিনি নিজের পড়াশুনো গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষাতেই শুরু করেছিলেন।
তিনি সঙ্গীতের বাদ্যযন্ত্র নিয়েও পড়াশুনো করেছিলেন। এমনকী সাতটি ভাষাতেও নিজের জ্ঞান প্রসারিত করেছিলেন। তিনি একজন বিশেষজ্ঞ সঙ্গীতকার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
সঙ্গীতেও পারদর্শী
ই্তালির দার্শনিক এবং ধর্মশাস্ত্রী এলিনা কর্নারো পিস্কোপিয়া ৩২ বছর বয়সে পিএইচডি সম্পূর্ণ করেন। তিনি হলেন বিশ্বের প্রথম পিএইচডি করা মহিলা। তিনি সঙ্গীত বাদ্যযন্ত্র হার্প্সিকোই, কলৌভিকার্ড, বীণা এবং ভায়োলিনের বিষয়ে গবেষণা করেন। এছাড়াও তিনি গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়েও গবেষণা করেন।
এলেনার পিএইচডি করার আবেদন প্রথমে নেওয়া হয়নি
এলেনার পছন্দ প্রথম থেকেই ধর্মশাস্ত্র ও দর্শনে প্রতি ছিল। তিনি ভেনিস অ্যাকাডেমিক সোসাইটির অধ্যক্ষ হওয়ার পর ১৬৭২ সালে পহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর তিনি ডক্টরেট অব থিয়োলজির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তারা তার আবেদন অস্বীকার করে কারণ তারা মনে করেছিল যে গবেষণা করা এক মহিলাকে উপাধি দিতে অস্বীকার করবে। অনেক লড়াই ও বাবার সমর্থন মেলার পর এলেনা ডক্টরেট অব থিয়োলজির বিষয়ে আবেদন করেন।
এলেনার ইন্টারভিউ নিয়ে এমন মাতামাতি হয়েছিল যে প্রফেসর, ছাত্র, সেনেট এবং অন্যান্য অতিথিদের সামনে বহু দর্শকদের সামিল করার জন্য ইন্টারভিউ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে পহুয়া ক্যাথিড্রালেই আয়োজিত করা হয়েছিল।
ডুডল দিয়ে শ্রদ্ধা
মহান দার্শনিক এলেনা কর্নারো পিস্কোপিয়ার জন্ম আজ থেকে ৩৭৩ বছর পূর্বে হয়েছিল। গুগল তাঁকে সম্মানিত ও শ্রদ্ধা জানাতে এক ডুডল তৈরি করেছে। সেই ডুডলে সবুজ রঙের এক পাতা দিয়ে তৈরি মালা তাঁর মাথার উপর শোভা পাচ্ছে। আঙুলে সোনার আংটি, হাতে দর্শনের বই।
কুলিন পরিবারে জন্ম
১৬৪৬ সালের ৫ই জুন ইতালির ভেনিসে তাঁর জন্ম। এলেনার যখন সাত বছর বয়স তখন থেকেই তাঁর পড়াশুনোর প্রতি আগ্রহ এবং তাঁর মেধার পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল। এলেনা ইতালির কুলিন পরিবারে জন্মেছিলেন এবং তিন হয়ে উঠেছিলেন ইটালির দার্শনিক এবং শিক্ষাবিদ।
সাতটি ভাষায় সাবলীল
বিশ্বের প্রথম পিএইচডি মহিলা এলেনা সাতটি ভাষায় সাবলীল ছিলেন। সাত বছর বয়সেই গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষা শিখতে শুরু করে দেন।নিজের ইটালিয়ান ভাষার পাশাপাশি এলেনা হিব্রু, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ এবং আরবি বলতে পারতেন।
আজীবন ব্রহ্মচারিনী ছিলেন
মাত্র ১১ বছর বয়সে এলেনা ব্রহ্মচর্য ব্রত নেন। তিনি আজীবন ব্রহ্মচা্রিণী ছিলেন এবং তিনি এজন্য বহু মানুষকে নিজের প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়ে বিবাহের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি নিজের জীবনের শেষ সাত বছর দাতব্য কাজে নিয়োজিত করেছিলেন।
যক্ষা রোগেই মৃত্যু
যক্ষা রোগের কারণে ১৬৮৪ সালের ২৬শে জুলাই মাত্র ৩৮ বছর বয়সে এলেনা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে সান্তা জ্যুস্টিনার গবেষণার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর মূর্তি স্থাপন করা হয়।তিনি পড়াশুনোর পাশপাশি সঙ্গীতের প্রতি মনোযোগী ছিলেন।একই সঙ্গে তিনি বিজ্ঞানের জগতেও সুনাম অর্জন করেছিলেন। বিশ্বে তিনি আলাদা পরিচয় স্থাপন করতে সফল হয়েছিলেন।
Published on: জুন ৫, ২০১৯ @ ২১:২৮