- সারা বিশ্বের 100% স্থানে এখনও বিধিনিষেধ আছে, এর মধ্যে আবার 83% জায়গায় COVID-19 কারণে 20 এপ্রিল অবধি টানা চার কিংবা তারও বেশি সপ্তাহ ধরে বিধিনিষেধ রয়েছে।
- মহাসচিব পোলোলিক্যাশভিলির মতে, পর্যটন চাহিদা হঠাৎ এবং অপ্রত্যাশিতভাবে হ্রাস পেয়েছে।
Published on: মে ৩, ২০২০ @ ২১:৩২
Reporter: Aniruddha Pal
এসপিটি নিউজ: ভ্রমণ ও পর্যটন এখন বিশ্বে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে- এই বিষয়ে এক গবেষণা চালায় রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন। সেই গবেষণা চালাতে গিয়ে তাদের হাতে যে তথ্য এসেছে তাতে পর্যটন শিল্প এক মহাসংকটের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।এর আগে এমন ভাবে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে বিধিনিষেধ আসেনি- এ রীতিমতো এক ইতিহাস। গোটা বিশ্বে এখন বিধিনিষেধ চলছে। কোনও দেশই এখনও পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করে নেয়নি।
এখনও বিধিনিষেধ
রাষ্ট্রসংঘের পর্যটন বিষয়ক বিশেষ সংস্থার সর্বশেষ তথ্য থেকে জানা গিয়েছে যে সারা বিশ্বের 100% স্থানে এখনও বিধিনিষেধ আছে, এর মধ্যে আবার 83% জায়গায় COVID-19 কারণে 20 এপ্রিল অবধি টানা চার কিংবা তারও বেশি সপ্তাহ ধরে বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে ভ্রমণ একেবারে স্তব্ধ হয়ে আছে। এখনও বেশিরভাগ জায়গায় বিধিনিষেধ ওঠেনি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সেক্রেটারি-জেনারেল
ইউএনডব্লিউটিও বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সেক্রেটারি-জেনারেল জুরাব পোলোলিক্যাশভিলি বলেছেন: “পর্যটন মানুষকে প্রথমে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে। যা আমাদের এই বিষয়ে পুনরুদ্ধারের পথেও নেতৃত্ব দিতে পারে। বৈশ্বিক ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা সম্পর্কিত এই গবেষণাটি নির্গমন কৌশলগুলির সময়োপযোগী এবং দায়িত্বশীল প্রয়োগকে সহায়তা করবে। তাছাড়া, আরও একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে গন্তব্যগুলি যখন নিরাপদ থাকে তখন ভ্রমণ বিধিনিষেধকে তুলে নেওয়া হয়। এইভাবে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধাগুলি সেখানে ফিরে আসতে পারে এবং সকলেই এর সুবিধা নিতে পারে।”
সমীক্ষায় কি বলছে
বর্তমানে গোটা বিশ্বে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে কিন্তু বিধিনিষেধ ওঠার কোনও ছবি সামনে আসেনি। একটা সময় এই বিধিনিষেধের বিষয়ে কি সিদ্ধনাত নেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 30 জানুয়ারির পর থেকে যখন আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল তখন থেকে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে।
সর্বশেষ যে সমীক্ষা চালিয়েছে সংস্থাটি, তাতে বিশ্বব্যাপী 217 টি গন্তব্যগুলির:
- 45% পর্যটকদের জন্য তাদের সীমানা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে – “যাত্রীদের সেখানে প্রবেশের অনুমতি নেই।”
- 30% সম্পূর্ণ বা আংশিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করেছে – “সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।”
- 18% নির্দিষ্ট দেশগুলির যাত্রী বা নির্দিষ্ট গন্তব্যগুলিতে স্থানান্তরিত যাত্রীদের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে।
- 7% পৃথক পদক্ষেপ যেমন 14 দিনের জন্য পৃথকীকরণ বা স্ব-বিচ্ছিন্নতা এবং ভিসার ব্যবস্থা প্রয়োগ করছে।
এই পটভূমির বিরুদ্ধে, ইউএনডব্লিউটিও বিশ্বজুড়ে সমস্ত দেশের সরকারকে এই অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে পর্যটনকে সমর্থন করার এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মহাসচিব পোলোলিক্যাশভিলির মতে, পর্যটন চাহিদা হঠাৎ এবং অপ্রত্যাশিতভাবে হ্রাস পেয়েছে।
COVID-19 এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন এবং জীবিকা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে এবং একই সময়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে যে উন্নয়ন এবং সাম্যের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি হয়েছিল তাও আজকের এক কঠিন হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
Published on: মে ৩, ২০২০ @ ২১:৩২