সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল
Published on: অক্টো ৭, ২০১৮ @ ১৮:৪৩
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ৭ অক্টোবরঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের কংগ্রেস আবারও আক্রান্ত হল। এবার তাদের দলীয় কার্যালয় কোথাও ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল আবার কোথাও ধরিয়ে দেওয়া হল আগুন। যাতে পার্টি অফিসের ভিতর থাকা সমস্ত কিছু পুড়ে খাক হয়ে গেল। সবং আর ডেবরায় এমন ঘটনা ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে চাপা ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে। এসবের পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ১০ নম্বর ভেমুয়া অঞ্চলে শনিবার গভীর রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। পার্টি অফিসে থাকা সমস্ত কিছুই ভেঙে তছনছ করে দিয়ে যায় হামলাকারীরা। এমনকী তারা যাওয়ার সময় গোটা পার্টি অফিসটাই ভেঙে দিয়ে যায়।
ডেবরা ব্লকের রঘুনাথপুর এলাকাতেও একইভাবে তৃণমূলের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে যায় হামলাকারীরা। খবর পেয়ে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব ছুটে আসে। কিন্তু ততক্ষনে গোটা পার্টি অফিসের ভিতর যা কিছু ছিল সব পুড়ে খাক হয়ে যায়।
সবং-এ পার্টি অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
তবে যেভাবে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর আর আগুনা লাগানো হল তাতে একজন তৃণমূল নেতা বিষয়টি জানতে পারলেন না আবার এত সময় ধরে দুটি জায়গায় তাণ্ডব চলল তাতে এলাকার কোনও মানুষ টেরও পেলেন না আর পেলেও তারা নীরব থাকলেন এই বিষয়টি কিন্তু অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে।
বিশেষ করে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতির বক্তব্য কিন্তু বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, অন্য যে কোনও হামলার ঘটনায় তিনি বিজেপির দিকে তোপ দাগেন এক্ষেত্রে কিন্তু বিজেপির নাম একবারও তাঁর মুখে উচ্চারিত হয়নি। তিনি বলেছেন-“সবং ও ডেবরার ঘটনা নিন্দনীয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন। দলীয় স্তরেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
তাঁর এই বক্তব্যে একটা জিনিস কিন্তু পরিষ্কার হয়ে গেছে যে এখানে বিজেপির কনও ভূমিকাই নেই। এটা সম্পূর্ণভাবেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের। রাজনৈতিক মহল মনে করছে-পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল অবিলম্বে না নিয়ন্ত্রণ করলে এর পরিণতি দলের পক্ষে খারাপ হবে।
Published on: অক্টো ৭, ২০১৮ @ ১৮:৪৩