দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হামলাঃ ২০ বছরে বড় মাপের জঙ্গি হামলা ভারতে, জেনে নিন কোথায় কবে হয়েছে

Main দেশ
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ১৪, ২০১৯ @ ২৩:৩১

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ জঙ্গি হামলা সমানে চলছে আমাদের দেশে। আর জঙ্গিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণ ব্লিদান দিতে হয়েছে আমাদের বীর জওয়ানদের। ২০১৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারতের ইতিহাসে এক কালো দিন হয়ে রইল। আজ একসঙ্গে আমাদের হারাতে হল প্রায় ৫০জন জওয়ান ভাইদের। স্বাধীনতার ৭০ বছরের ইতিহাসে এত বড় হামলা তাও আবার জোয়ানদের উপর বোধ হয় এই প্রথম। সংবাদ প্রভাকর টাইমস সব বীর শহীদদের মাথা নত করে শ্রদ্ধা জানায়। তবে এই হামলার আগে অন্য যে হামলাগুলি হয়েছে এ বার তাহলে দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কবে কোথায় ঘটেছে।

  • ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
  • জম্মুতে অবস্থিত সুঞ্জয়া ক্যাম্পে ঢুকে জঙ্গিরা সেনাদের কোয়ার্টারে ঢুকে গুলি চালায়। তাতে পাঁচ জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়। এরপর টানা দুদিন ধরে চলা লড়াইয়ে জওয়ানরা চারজন জঙ্গিকে মারতে সফল হয়।
  • ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬
  • ঊড়িতে জঙ্গিরা সেনার সদর দফতরে হামলা চালায়। সেখানে ১৮জন জওয়ানের মৃত্যু হয়, আহত হয় ৩০জন। এরপর জওনারা পালটা হামলা চালিয়ে চারজন জওয়ানকে মারতে সফল হন।
  • ২৫শে জুন, ২০১৬
  • শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কের উপর পাম্পোরের কাছে সিআরপিএফ বাহিনীর উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। আট জওয়ান নিহত, ২০জন আহত হয়।
  • ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
  • শ্রীনগরে আঞ্চলিক এলাকায় এক সরকারি ভবনে লুকিয়ে থেকে গুলি চালায়। এতে এক জঙ্গি মারা যায়। যদিও সেখানে দুই ক্যাপ্টেনের সঙ্গে তিনজন কম্যান্ডো শহীদ হন।
  • ২রা জানুয়ারি, ২০১৬
  • উত্তর ভারতের সব চেয়ে বড় পাঠানকোট এয়ারবেসে রাতে জঙ্গিরা হামলা চালায়। তিন দিন ধরে চলা এই লড়াইয়ে সাতজন জওয়ান শহীদ হন। আহত হন ২০জন।
  • ৭ই ডিসেম্বর, ২০১৫
  • দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় বিজবিহাড়ার সামথনে গ্রিন টানেলের কাছে সিআরপিএফ-এর রক্ষনাবেক্ষনের উপর গুলি চালায়। ছয় সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়।
  • ২৫শে নভেম্বর, ২০১৫
  • উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার টাংডরে নিয়ন্ত্রণ রাখার কাছে সেনাদের শিবিরে জঙ্গিরা হামলা চালায়। এতে জৈশ-ঈ-মহম্মদ-এর তিন জঙ্গি এবং এমইএস-এর এক জেনারেটর শহীদ হন।
  • ১৮ই নভেম্বর, ২০১৫
  • কুপওয়াড়ায় জঙ্গলে জঙ্গিদের সঙ্গে চলে লড়াই। সেই হামলায় কম্যান্ডো ইউনিটের একজন কর্ণেল শহীদ হন।
  • ৩১শে মে, ২০১৫
  • কুপওয়াড়া জেলার টংডর সেক্টোরে সেনা ব্রগেডের প্রধান কার্যালয়ে জঙ্গিদের হামলা ব্যর্থ করে দেয়।এতে চারজন সন্ত্রাসবাদী মারা যায়।
  • ২১শে মার্চ, ২০১৫
  • সাম্বা জেলায় জম্মু-কাশ্মীরের জাতীয় সড়কে সেনা শিবিরে  হামলায় দুই জঙ্গি মারা যায়। এই হামলায় এক নাগরিক, এক মেজর এবং এক জওয়ান সহ মোট তিনজন আহত হন।
  • ২০শে মার্চ, ২০১৫
  • সেনার বেশে জঙ্গিরা কঠুয়া জেলায় থানায় ঢুকে হামলা চালায় যাতে তিন সিআরপিএফ জওয়ান নিহুত হয়। দুই জঙ্গি মারা যায় যদিওদুই নাগরিকেরও মৃত্যু হয়।
  • ৫ই ডিসেম্বর, ২০১৪
  • সশস্ত্র জঙ্গিরা উরি সেক্টরের মহারাতে সেনাবাহিনীর ৩১টি ফিল্ড রেজিমেন্ট ক্যাম্প আক্রমণ করেছিল। এতে একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও সাত জওয়ান, এবং তিন পুলিশ সদস্য শহীদ হন। এই অপারেশনে ছয় সন্ত্রাসী নিহত হয়।
  • ২৭শে নভেম্বর, ২০১৪
  • আর্মিয়া সেক্টরের সীমান্তবর্তী সীমান্ত জুড়ে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়, যা জম্মু ও কাশ্মিরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে আবদ্ধ। চার বেসামরিক নাগরিক নিহত, তিন সেনা সদস্য নিহত।
  • ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩
  • কাঠুয়া ও সাম্বায় দুটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। তিন সন্ত্রাসী নিহত। কাঠুয়া জেলার আক্রমনে চার পুলিশ সদস্য ও দুই বেসামরিক লোক জড়িত ছিল, স্যাম্বা জেলায় হামলায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল সহ চার সেনা সদস্য নিহত হন।
  • ২৪শে জুন, ২০১৩
  • শ্রীনগর হায়দারপুরে সেনা বাহিনীর একটি জঙ্গি হামলা। এ হামলায় আটজন জওয়ান নিহত হয়।
  • ৩১শেমার্চ, ২০১৩
  • শ্রীনগরের সিআরপিএফ ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা। এতে পাঁচজন নিহত হয়।
  • ৬ জানুয়ারি, ২০১০
  • লাল চৌকিতে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চালায় এলইটি সন্ত্রাসীরা উভয় সন্ত্রাসী নিহত। বেসামরিক ও পুলিশ সদস্যের মৃত্যু আহত ১২।
  • .৫ই আগস্ট, ২০০৯
  • পুঞ্চের মন্ডি সেক্টরে সেনা ক্যাম্পে একটি ফাদাইডি হামলায় তিন সন্ত্রাসী আটক।
  • .২৭শে আগস্ট, ২০০৮
  • জম্মু উপকণ্ঠে তিন চাঁদাবাজি সন্ত্রাসীরা কানা চক সেক্টর আক্রমণ করে। তিন সেনা জওয়ান শহীদ হন এ ঘটনায় পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন।
  • ১২ই অক্টোবর, ২০০৭
  • ডাল লেকের তীরে অবস্থিত বুলেভার্ড রোডে অবস্থিত সিআরপিএফ ক্যাম্পে ফায়দীন আক্রমণ। হোটেল ড্যুকে গোপন সন্ত্রাসী সন্দেহভাজন। এ ঘটনায় তিন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়।
  • ২৬শে জুলাই ২০০৭
  • শ্রীগর সীমান্তের জাকুরাতে অবস্থিত ভবা পারমাণবিক কেন্দ্রের উপর ফায়দা উদ্দীপনা। দুই সন্ত্রাসী গাদা সাত জওয়ান আহত।
  • ১লা জুন, ২০০৭
  • বারমুল্লার শেরে বার্নুল্লা আক্রমণ করে লস্কর জঙ্গিরা! দুই জঙ্গি মারা যায়। ছয় সেনা শহীদ। ১৫জন আহত।
  • .২৩শে নভেম্বর, ২০০৫
  • শ্রীনগরের শহরতলিতে অবস্থিত হাওয়াল এলাকায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা। গ্রেনেড হামলায় তিন সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ! পুলিশ সহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
  • ১২ই মে, ২০০৫
  • শ্রীনগর সীমান্তে বিএসএফের কানির ওপর হামলা! দুইজন নিহত, 60 জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২৫ জন স্কুলছাত্রী।
  • .৩০শে মার্চ, ২০০৫
  • সোওপুরের সোমপোরা এলাকায় অবস্থিত বিএসএফ ক্যাম্পে দুটি আত্মঘাতী হামলায় দুজন সন্ত্রাসী মারা যায়।একটি প্যারেড সামরিক বাহিনীর জওয়ান শহীদ।
  • ৯ই অক্টোবর, ২০০৪
  • সিংপুরপুরে সেনা মোতায়েনের ওপর হামলা। চার তরুণ শহীদ। আহত .৩৫। একজন বেসামরিক চালকও নিহত হন।
  • ৯ই ডিসেম্বর, ২০০৪
  • সোফিয়ায় অবস্থিত এসইজি ক্যাম্প আক্রমণ। দুই পুলিশ শহীদ হন। এক ডিএসপি সহ চারজন আহত হন।
  • ৩রা ডিসেম্বর, ২০০৪
  • সোপোরের এসওজি ক্যাম্পে সিআরপিএফ ক্যাম্পে জঙ্গি হামলা! পাঁচ জওয়ান হত, দুই আহত। উভয় সন্ত্রাসী নিহত হয়।
  • ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০০৪
  • ডালগেটে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা! দুই ডেপুটি কমান্ড্যান্ট শহীদ। উভয় সন্ত্রাসী হত।
  • ১৮ই নভেম্বর, ২০০৩
  • শ্রীনগর ভিত্তিক ১৫টি কর্পস সদর দফতরে হামলা! এক জওয়ান শহীদ, দুই আহত।
  • ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৩
  • পুঞ্চ শহরে অবস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা। দুই বিদেশী ও এক মহিলার মৃত্যু।
  • ২৫শে এপ্রিল, ২০০৩
  • বান্দিপোরাতে বিএসএফ ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা! তিন বিএসএফ জওয়ান শহীদ একজন নাগরিকের মৃত্যুও। চার জওয়ান সহ সাত আহত।
  • ২২শে জুলাই, ২০০৩
  • আখরুরের তান্ডা রোডে সেনা ক্যাম্পে হামলা। একজন ব্রিগেডিয়ার সহ আটজন সৈনিক মারা যান। চার জন জেনারেল, একটি ব্রিগেডিয়ার এবং দুটি কর্নেলসহ ১২ জন আহত।
  • ২৪শে জুন, ২০০৩
  • জম্মু সুজাহ এলাকায় সেনাবাহিনীর সেনা ডগরা রেজিমেন্টে আক্রমণ। ১২ জওয়ান শহীদ। একজন লেফটেন্যান্ট সহ সাঞ্জন আহত তাদের উভয়ই হামলায় মারা যান।
  • ১৫ইমে, ২০০৩
  • পুঞ্চ শহরের একটি পুলিশ ইউনিফর্মে, জঙ্গিরা সেনা ক্যাম্পের বাইরে একটি হামলায় একজন সৈনিককে হত্যা করে।
  • ১৮ই ডিসেম্বর, ২০০২
  • থানামাদি সেনাবাহিনীর পোস্টে ফাদাদিন আক্রমণে লস্কর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।এক বিএসএফ নিহত ও তিনজন জওয়ান আহত
  • ১৪ইমে, ২০০২
  • কালুচকে অবস্থিত সামরিক জোন একটি আক্রমণে তিন জঙ্গি মারা যায়। ৩৬সেনা সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্য নিহত, 48 জন আহত।
  • .৪ঠা ডিসেম্বর, ২০০১
  • কুপওয়ারাতে, এলইটি আত্মহত্যা দলে তিন সদস্য নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ করে। তিন সন্ত্রাসী মারা যায় ও  দুই জওয়ান শহীদ হয়।
  • ৩রা  নভেম্বর, ১৯৯৯
  • শ্রীনগরের বদিম বাগীতে, সন্ত্রাসীরা ১৫টি কোপাতে এক হামলা চালায়। এই হামলায় দশজন সেনা শহীদ হন।

Published on: ফেব্রু ১৪, ২০১৯ @ ২৩:৩১


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 1 = 4