Published on: সেপ্টে ৫, ২০১৮ @ ২২:১৯
এসপিটি নিউজ, বারুইপুর, ৫ সেপ্টেম্বর: দীর্ঘদিন ধরেই চলছে হেরোইনের কারবার। একাধিকবার ধরাহলেও এই কারবার আজও সমানভাবে চলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। বুধবারও সেই হেরোইন কিনতে আসে লালগোলার এক যুবক সুভাষ দাস।বারুইপুরের গোচরন বাস স্ট্যান্ডের কাছে নাইলনের ব্যাগে করে হেরোইন কিনে যখন বের হবে ঠিক তখনই বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশান গ্রুপের জালে পড়ে যায় ওই যুবক সহ আরও দু’জন সিরাজুল বৈদ্য ও দুলারা শেখ। তাদের কাছ থেকে ৭০০ গ্রাম হেরোইন এবং নগদ ২ লক্ষ ২ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এদিন তাদের আদালতে তোলা হলে তিনজনকেই পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
ধৃতদের মধ্যে সুভাষ দাস নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা। আসলে তার বাড়ি লালগোলা। সুভাষ এসছিল হেরোইন কিনতে। আর সিরাজুল বৈদ্য ও দুলারা শেখের বাড়ি জয়নগরের দক্ষিণ বারাসাতের সরিসাদহ এলাকায়। তারা হচ্ছে বিক্রেতা। বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের কাছে খবর আসে চরনের নিউতলার মজিদ বলে এক্জন হেরোইন ডিলার জেলার ক্যানিং,মগরাহাট, লক্ষিকান্তপুর, ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকায় বিভিন্ন লোক নিয়োগ করে লক্ষাধিক টাকা মুল্যের হেরোইন বিক্রি করে। লাল গোলা থেকে একজন হেরোইন কিনতে চরনে যাচ্ছে। সেই মতো জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেসশন গ্রুপের ওসি লক্ষীকান্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশ টিম সাদা পোশাকে মোবাইল ট্র্যাক করে চরনের বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছে যায়।
কিন্তু সেখানে এদিন মজিদ নিজে না এসে দুলারা শেখ ও সিরাজুলকে পাঠায় লালগোলা থেকে আসা সুভাষ দাসকে হেরোইন বেচতে। নাইলনের বাজারের ব্যাগে করে নিয়ে আসা ৭০০ গ্রাম হেরোইন বিক্রি করতে এসে তারা পুলিশের হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। জানা গেছে, ৭০০ গ্রাম হেরোইন-এর বাজার মুল্য ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা।
Published on: সেপ্টে ৫, ২০১৮ @ ২২:১৯