সংবাদদাতা– কৃষ্ণা দাস
Published on: সেপ্টে ১, ২০১৮ @ ১৯:২২
এসপিটি নিউজ, জলপাইগুড়ি, ১ সেপ্টেম্বরঃ সত্যি এমন স্বাস্থ্যকর লড়াই কবে কে দেখেছে বলুন তো এই বাংলায়। না, সাম্প্রতিককালে তো নয়ই। তবে এখন গোটা বাংলা দেখছে। আর তা সম্ভব করছেন একুশ বছরের তরুণী ‘সোনার মেয়ে’ স্বপ্না বর্মন। হেপ্টাথলনের মতো কঠিন খেলায় প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিনি দেশকে সোনা এনে দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন। আর তারপর থেকেই শুরু হয়ে গেছে রাজ্য আর কেন্দ্রের মধ্যে স্বপ্নাকে পুরস্কৃত করার সুস্থ রাজনীতি। আর এর সুফল পাচ্ছেন ‘ সোনার মেয়ে ‘ স্বপ্না। এখন তাঁর সামনে সোনালী দিন শুরু।
জাকার্তা এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনে সোনা জয়ের ইতিহাস করার পরই টনক নড়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের। এতদিন যে মেয়েটিকে কিছু মানুষ অবজ্ঞা, অপমান, হেয় করে এসেছে আজ তারাই এখন ভোল বদলে স্বপ্নার প্রশংসায় মজেছেন। সামান্য রিকশা চালকের ঘরে জন্মে এই প্রতিভাময়ী তরুণী যে অসাধ্য সাধন করেছেন তা সত্যিই অকল্পনীয়। এতদিনের জ্বালা-যন্ত্রণার অবসান ঘটতে চলেছে মেয়ের দৌলতে। তাদের মেয়েকে কে কত বেশি পুরস্কার তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে প্রতিযোগিতা। এই এই প্রতিযোগিতায় সোনালী দিনের আলোর প্রকাশ ঘটতে চলেছে জলপাইগুড়ির এই রিকশাচালকের পরিবারে।
আর বাংলার মেয়ে স্বপ্না বর্মন সোনা জিতেছে তাঁকে পুরস্কৃত করা হবে না, তা কি হয়! সোনা জেতার পরই জলপাইগুড়ির সেই ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পৌঁছে গেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব। স্বপ্নার বাবা-মাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ‘সোনার মেয়ে’ স্বপ্নাকে ১০ লক্ষ টাকা ও রাজ্য সরকারের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আজ শনিবার তাঁর বাড়ি পৌঁছে যান কেন্দ্রের এক মন্ত্রী সুরিন্দর সিং আলুয়ালিয়া। তিনিও স্বপ্নার বাবা-মাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ঘোষণা করেন-স্বপ্নাকে ৩০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি দেওয়া হবে। আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভেসে যায় এতদিনে অন্ধকারে থাকা ছোট্ট কুঁড়ে ঘরের মানুষগুলি।
এদিন এই ঘোষণার সময় মন্ত্রী আলুয়ালিয়া কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলিয়ে দেন। সেইসঙ্গে তিনি স্বপ্নার মাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়ে দেন, আপনাদের পরিবারকে ৩০লক্ষ টাকা সাহায্যের পাশাপাশি মেয়েকে রেলের চাকরি দেওয়া হবে।
Published on: সেপ্টে ১, ২০১৮ @ ১৯:২২