সবং-এর কর্মীসভায় শুভেন্দুর ভোকাল টনিক- হার্মাদনেত্রীকে এমনভাবে হারাবেন যাতে বিজেপির ভাড়াটে সৈনিকরা আর গলা উঁচু করে কথা বলতে না পারে

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল

এসপিটি নিউজ, সবং,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সবং-এ দলের কর্মীসভা থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।সবং বিধানসভার উপ-নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গীতা রানী ভুঁইয়াকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। আজ সেই সবং-এর সেকচকের কর্মীসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবেই তুলোধনা করলেন দুই মেদিনীপুরের ঘরের ছেলে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।বিজেপিকে খোচা দিয়ে তিনি বলেন-আমরা যাদের ডাস্টবিনে ফেলে দিই, তাদের সেখান থেকে উঠিয়ে মঞ্চে তুলছে বিজেপি। আসলে বোতলটা নতূন, কিন্তু বোতলে থাকা মদটা পুরনো। হার্মাদ নেত্রীকে প্রার্থী করেছে, অথচ মানসবাবুর স্ত্রীকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করায় বিজেপি বড় বড় কথা বলছে। দলীয় কর্মীদের উতসাহিত করে তিনি বলেন-“আমি লক্ষণ শেঠকে রাজনৈতিকভাবে ঘরছাড়া করেছি। তেমনি হার্মাদনেত্রীকে এমনভাবে হারাবেন যাতে বিজেপির ভাড়াটে সৈনিকরা আর গলা উঁচু করে কথা বলতে না পারে।

রবিবার সবং-এর সেকচকে তৃনমূল প্রার্থীর সমর্থনে এক কর্মীসভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে উপেক্ষা করে সেকচকে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও ছিলেন সাংসদ মানস ভুঁইয়া, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ, বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ, জেলাপরিষদের সভাপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, প্রার্থী গীতা রানী ভুঁইয়া সহ অন্যান্যরা।

কর্মীসভায় নারায়ণগড়ের বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ বলেন,”নারায়ণগড়ে সূর্য যেমন আর উঠবে না, তেমনি সবং-এ পদ্মফুলও ফুটবে না। কঙ্কালকাণ্ডে অভিযুক্ত একসময়ের হার্মাদ নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য্যকে বিজেপি প্রার্থী করে মনে করছে তারা সবং-এ জিতে গেছে।সবং-এর মানুষ কোনদিন বিজেপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে না। তিনি গীতা রানী ভুঁইয়াকে ঘাসের উপর জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান।

সভার প্রধান বক্তা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি তিনবার লোকসভা, তিনবার বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। নির্বাচন কিভাবে পরিচালনা করতে হয় তা আমার জানা আছে।”তবে দলীয় কর্মীদের তিনি বলেন, আত্মতুষ্টির কোন জায়গা নেই। আপনারাই হলেন নির্বাচনের আসল কারিগর। দক্ষিণ কাঁথিতে বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থী ছিল। কিন্তু তৃণমূলকে হারানোর জন্য ঐ তিন দল এক হয়েছিল। যার ফলে বিজেপি প্রার্থী দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিল। তিনি বলেন, সবং বিধানসভা কেন্দ্রের ১৬টি অঞ্চলের ৩০৬টি বুথে দলীয় প্রার্থী গীতা রানী ভুঁইয়াকে জয়ী করতে হবে। জয়ের ব্যবধান যেন ১ লক্ষেরও বেশি ভোট হয়। মানসবাবু ২০১৬ সালে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। সেই ব্যবধান বাড়াতে হবে আপনাদের-দলীয় কর্মীদের বলেন শুভেন্দু।মানসবাবু ২০১৬ সালে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। সেই ব্যবধান বাড়াতে হবে আপনাদের-দলীয় কর্মীদের বলেন শুভেন্দু। তিনি আরও বলেন-এই নির্বাচনের পর পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে।শুভেভদু বলেন-সবং-এর নির্বাচন হবে উন্নয়নকে সামনে রেখে।তিনি এদিন রাজ্য সকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে ৬৫০ কোটি টাকা খরচ করে কেলেঘাই কপালেশ্বরী নদীর সংস্কার করার ফলে বন্যার হাত থেকে সবং, নারায়ণগড়, পিংলা, ময়না, পটাশপুর, রক্ষা পেয়েছে। সবং ব্লকে ২৬টি জলপ্রকল্প, ৪৬টি রাস্তা হয়েছে, কাজ হয়েছে এখাঙ্কার মাদুর শিল্পের। গরিব মানুষ দু’টাকা কেজ দরে চাল পাচ্ছে, কন্যাশ্রী প্রকল্পে ছাত্রীরা উপকৃত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন এদিন।                                                                                                                                                                                                                                      ছবিঃ রামপ্রসাদ সাউ


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

34 − 28 =