বাঙালি সফল উদ্যোগপতি কল্যান কোলেঃ বাংলার কালো ছাগল নিয়ে বেকারদের দেখিয়েছেন আয়ের নয়া দিশা

দেশ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান রাজ্য
শেয়ার করুন

“বাংলার কালো ছাগলের ‘বুল মাদার ফার্ম’ তৈরি করলাম। সাহায্য করে NDRI, IVRI এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগ।”

খুব সামান্য পুঁজি বিনিয়োগ করে শুধু ছাগলের উপর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি প্রয়োগ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা করে মাসে ১০ হাজার টাকার উপর আয় বাড়ানো যেতে পারে।

আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন, এই নম্বরে- 9433319796 । এছাড়াও www.sanjevanigoats.com কিংবা সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর হোম পেজে গিয়ে আমাদের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ফর্ম ডাউনলোড করতে পারেন।

Published on: এপ্রি ২৯, ২০১৯ @ ২৩:০৩

সংবাদদাতা-অনিরুদ্ধ পাল

এসপিটি নিউজ, সিঙ্গুর, ২৮ এপ্রিলঃ ইচ্ছা শক্তি জোরালো হলে লক্ষ্যে অবিচল থাকলে আর স্বপ্নকে পূরণ করার অদম্য জেদ থাকলে তার ফল কি হতে পারে সেটার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল সিঙ্গুরের সফল বাঙালি উদ্যোগপতি কল্যান কোলে। শুধুমাত্র বাংলার কালো ছাগল নিয়েও যে দেশের একজন সফল উদ্যোগপতি হয়ে ওঠা সম্ভব সেটা মুখে নয়, হাতে-কলমে করে দেখিয়েছেন কল্যান। শুধু নিজে উদ্যোগপতি হয়েই থেমে থাকেননি তিনি।কয়েক হাজার বেকার ছেলে-মেয়েদের প্রশিক্ষন দিয়ে এই বিষয়ে তাদের মোটা টাকার আয়ের পথও দেখিয়েছেন। আজও কেউ চাইলে মোটা টাকা আয় করার ইচ্ছে থাকলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন-সেজন্য সদা প্রস্তুত আছেন তিনি। দিয়ে রেখেছেন ফোন নম্বরও। গ্রামবাংলার বেকারদের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন নিঃসন্দেহে এক অঘোষিত আইকন। প্রচার বিমুখ এই মানুষটি নীরবে-নিঃশব্দে বেকারদের কর্মসংস্থানে নতুন দিশার আলো দেখিয়েছেন।

বাংলার কালো ছাগল নিয়ে উত্থানের শুরু ২০১২ সাল থেকে

“আমাদের মূল প্রকল্পটা হল- বাংলার কালো ছাগলকে বাঁচানো এবং তার জার্ম প্লাজমটাকে সংরক্ষন করার চেষ্টা করছি। ২০১২ সালে আমরা প্রথম এব্যাপারে কাজ শুরু করি। তারপর আমরা দেখলাম আসল চিত্রটা- যেখানে আমাদের বাংলার কালো ছাগল খুবই খারাপ জায়গায় আছে। চাষিদের কাছে একটা ভুল বার্তা রয়েছে। আমাদের বড় ছাগল চাই। আর সেই বড় ছাগল উৎপাদন করতে গিয়ে কি করছে জানেন- চাষিরা বড়ো প্রজাতির বাইরের রাজ্যের ছাগলটাকে এনে আমাদের এখানকার সাথে ক্রস করিয়ে ফেলছে। তাতে আমাদের বাংলার কালো ছাগলের যে গুনগত মান  সেটা নষ্ট হচ্ছে। বাংলার কালো ছাগল তা্র মাংসের স্বাদের জন্য এবং উৎকৃষ্ট মানের চামড়ার জন্য পৃথিবী বিখ্যাত। এছারাও ওর যে অনেকগুলো বাচ্চা দেওয়ার ক্ষমতা আছে, এক বছরে দু’বার বাচ্চা দিতে পারে এসমস্ত ক্ষমতাগুলি আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। কালো যে চামড়া, তার যে চাহিদা সেটাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটার জন্য আমরা তখন কি করলাম-কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থাকে আমরা এখানে চালু করব বলে ঠিক করলাম। ২০১২ সালের মাঝামাঝি আমি গিয়েছিলাম মথুরাতে। সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ আন্ড গোট, সেখানে প্রশিক্ষন নিলাম। প্রশিক্ষন নিয়ে আমি এখানে এলাম। এসে একটা বেসিক ফার্ম খুলে দিলাম। আরও ভাবলাম যে বাংলার কালো ছাগলকে সংরক্ষন করব।”

খুঁজে বার করলেন মূল সমস্যা

“তারপর আরও একটা সমস্যা দেখা দিল-প্রত্যেক দিন সকালবেলা আমার আশপাশের গ্রাম থেকে ১০-১২টা চাষি স্ত্রী-ছাগল নিয়ে চলে আসছে। কি সমস্যা- না, ওদের গ্রামে ভালো প্রজননে সক্ষম পুরুষ ছাগল নেই। পুরুষ ছাগল কেন নেই, আবার সেটা নিয়ে একটা গবেষনা শুরু হল। সেটা করতে গিয়ে আবার দেখা গেল – গ্রীষ্মকালে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় কালীপুজো ছাড়াও নানা পুজোর একটা হিড়িক শুরু হয়ে যায়। এ্ররফলে কি হচ্ছে- ভালো কালো পাঁঠাটাই আবার বলির জন্য বাছা হয়। কালোটাই হয়, অন্য রঙ চলবে না। নিকোষ কালো যে স্বাস্থ্যবান পাঁঠা সেটাকেই মায়ের পুজোর বলির জন্য দেওয়া হয়। এটা করতে গিয়ে দেখা যায় যে গোটা বাংলায় একটা সাধারণ চিত্র- কোনও জায়গায় আর ভালো প্রজননে সক্ষম পাঁঠা থাকছে না। সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।”

তারপর কি হচ্ছে-সারা বছর চাষিরা পরের যে বাচ্চা পাঁঠাগুলো বড় হচ্ছে সেগুলোকে দিয়েই প্রজনন করাচ্ছে। একই পাঁঠা অথবা বয়সে ছোট পাঁঠা দিয়ে তাদের স্ত্রী ছাগলগুলিকে দিয়ে প্রজনন করানোর ফলে ইনব্রিডিং সমস্যা এসে যাচ্ছে। আরও গভীরে গিয়ে দেখা যাচ্ছে যে আগে যখন আমরা ছোটবেলায় দেখতাম বড় বড় বাংলার কালো ছাগল আমাদের পাড়া-গ্রামে ঘুরে বেড়াত যাদের গড় ওজন ছিলো ২০থেকে ২৫ কেজি।এখন সেই ছাগল নেমে গেছে ১০-১২কিলো ওজনের। সেটার কারণ একটাই- অনুন্নতমানের পাঁঠা দিয়ে প্রজননটা করানো হচ্ছে। প্রজননে সক্ষম একটা স্বাস্থ্যবান  পাঁঠা ২০-৩০ কেজি শরীরের ওজন হওয়া উচিত এবং বয়স ১৪ থেকে ১৮ মাস হওয়া উচিত।

সাহায্যের হাত বাড়াল NDRI

“আমি তখন কি করলাম- আমি NDRI (ন্যাশনাল ডেয়ারি রিসার্চ ইন্সটিটিউট) কল্যানীতে যে শাখা আছে, ঐ সংস্থার প্রধান, বৈজ্ঞানিক ড. তাপস কুমার দত্ত তাঁর পরামর্শ নিয়ে আমি ছাগল খামারের ব্যবসা শুরু করি। কিন্তু পরবর্তী কালে আমি যখন এই সমস্যাটার মুখোমুখি হলাম আবার তাঁর দ্বারস্থ হই এবং তাঁর কাছে আমি বাংলার সমগ্র কালো ছাগলের সমস্যাটা তুলে ধরি। উনি আমাকে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন এবং ব্রিডিং-এর উপর একজন বিশেষ বিজ্ঞানী এই বিষয়ের উপর কাজ করছিলেন তিনি হলেন ড. এম করুনাকরন। তাঁকে আমার এই প্রজেক্টের সাথে যুক্ত করালেন। এরপর ওনাদের পরামর্শ নিয়ে আমি একটা বাংলার কালো ছাগলের ‘বুল মাদার ফার্ম’ তৈরি করলাম।এই ফার্ম তৈরি করতে গিয়ে যে বাংলার উন্নতমানের কালো ছাগলের দরকার ছিলো সে ব্যাপারে সাহায্য করে NDRI, IVRI (ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট) এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগ।”

সিমেন দিয়ের কাজ শুরুর মডেল তুলে ধরা হল

“এবার কি হল সিমেন সংগ্রহ করার পর যে কেমিক্যাল সল্যিউশনের ব্যাপার থাকে সেই ব্যাপারটার টেকনিক্যাল সাপোর্টটা পুরোটাই NDRI দিল। এরপর আমরা লিক্যুইড সিমে্ন দিয়ে গোটা বাংলায় কাজ শুরু করলাম। প্রথমে ব্লক লেভেলে কাজ শুরু করলাম।আমাদের সাহায্য করেন ডা.স্বপন সুর। সমস্যা তো গোটা গ্রামে-গ্রামেই ছিল।যেই খবরটা সেইসময় চাউর হয়েছিল গোটা বাংলাজুড়ে তখন বেকার ছেলে-মেয়েরা আগ্রহী হয়ে পড়ল, বিশেষ করে যারা পশু চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত। তারা আমাদের অফিসের ফোন নম্বর পেয়ে আমাকে সমানে ফোন করে যেত যে আমাদের প্রশিক্ষন দিন, আমরা ছাগলের কৃত্রিম প্রজননের পদ্ধতিটা শিখব। পরবর্তী এক বছর শুধু আমি ২-৩ হাজার ছেলে-মেয়েকে প্রশিক্ষন দিয়ে গেছি। এত সাড়া পড়ে গিয়েছিল যে আমাকে প্রতি পার্টে পার্টে যেতে হয়েছিল কোচবিহার-শিলিগুড়ি-মালদা-বহরমপুর।”

ট্রেনিং হয়ে যাওয়ার পর এবার সিমেন নিতে হবে। হাতে তখন লিক্যুইড সিমে্ন। প্রত্যেক জেলাতে একটা করে ডিলার করে দিয়েছিলাম এবং আমাদের ঐ বাংলার কালো ছাগলের লিক্যুইড সিমেন তাদের কাছে নিয়মিত পাঠাতাম। ধর্মতলায় আমাদের যে বাস স্ট্যান্ড আছে সেখানে সমস্ত ফ্ল্যাক্সগুলো নিয়ে চলে যেতাম। প্রত্যেক জেলার বাসের ড্রাইভার-কন্ডাক্টারদের সঙ্গে বোঝাপড়া থাকতো। তাদের বলতাম- ভাই, তোমাদের ৫০টাকা করে দেব, তোমরা শুধু সঠিক স্থানে পৌঁছে দিও। কিন্তু ওটা করতে গিয়ে ব্যবসাটা ঠিকমতো হচ্ছিল না। কেননা, লিক্যুইড সিমেনে একটা প্রবলেম ছিল, যে তিন থেকে চারদিন খুব বেশি হলে পাঁচ দিন তার মেয়াদ থাকবে। চার ডিগ্রি বরফে আমরা ঐ ফ্ল্যাক্সে ভরে ডিলারের কাছে পাঠাতাম। ”

২০১৫ সালে ফ্রজেন সিমেন চালু করতেই সাফল্য বেড়ে যায়

“এই সমস্যা নিয়ে আমরা NDRI-এর সঙ্গে শেয়ার করছিলাম। আমাদের এটাকে উন্নত করতে হবে। বাংলার কালো ছাগলের তল সিমেনের মেয়াদকে কিভাবে বাড়ানো যেতে পারে। এরপর আমরা ফ্রজেন সিমেন নিয়ে কাজ শুরু করি। এরপর ছ’মাসের মধ্যে বাংলার কালো ছাগলের ফ্রজেন সিমেন তৈরি করতে সক্ষম হই NDRI-এর প্রযুক্তিগত সহায়তায়। মোটামুটি ২০১৫ সালের শেষ দিকে এটিকে আমরা সফলতার সঙ্গে বাজারজাত করি। তারপর আমাদের আয়ের পথ প্রশস্থ হলো।এরপর আমরা ফ্রজেন সিমেনের উপর নতুন করে পদ্ধতিগতভাবে প্রশিক্ষন দেওয়া শুরু করি। ফ্রজেন সিমেনের ব্যবহারের সুবিধা যে এটাকে আজীবন সংরক্ষন করা যায়।শুধুমাত্র মাইনাস ১৯৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে তরল নাইট্রোজেনে সংরক্ষন করলেই চলবে।” বলেন উদ্যোগপতি কল্যান কোলে।

CIRG বাড়িয়ে দিল সহযোগিতার হাত

তিনি বলেন- আমাদের বেশি কাজ হয় কোচবিহার থেকে দক্ষিনবঙ্গে সুন্দরবন পর্যন্ত। এওরপর সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ এন্ড গোট (CIRG) ওরা আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। আমাদের কাজে তারা সন্তুষ্ট হয়ে তারা আমাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক মৌ-সাক্ষর করেন, শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি গোটা ভারতে ছাগলের এই ফ্রজেন সিমেনের প্রযুক্তি বিস্তার করার জন্য। বর্তমানে আমাদের এই বাংলার কালো ছাগলের ফ্রজেন সিমেন ICAR (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর এগ্রিকালচার রিসার্চ)- CIRG– সঞ্জীবনী গোটস এই ব্র্যান্ড নামে বিহার, ঝাড়খণ্ড ছাড়াও বাংলাদেশে বাজারজাত হচ্ছে।

পাশে দাঁড়াল আই আই এম ক্যালকাটা’র মতো প্রতিষ্ঠানও

“হঠাৎ একদিন আমার কাছে একটা ফোন এলো। আই আই এম ক্যালকাটা থেকে বলছি NDRI থেকে তোমার রেফারেন্সটা পেয়েছি। সেখানে ভালো ফার্মার খুঁজছিলেন যারা ইনোভেশন নিয়ে কাজ করেছে। ওরা আমাকে ওদের একটা ফরম্যাটে অবেদন করতে বলল। আমি ওদের সামনে আমার কাজ নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিলাম। ওরা সন্তুষ্ট হয়েছিল। এরপর ওরা আমাকে ব্যবসায়িক সাহায্য করার জন্য নির্বাচন করে। জানিয়ে দেয় যে আমাকে ফান্ডিং এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট কিভাবে দেওয়া যায়। তারা আমাকে একটা বড় সাহায্য করে। আমাদের তখন ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা সঞ্জীবনী খামারকে অ্যাজিপ্যান অ্যানিমাল বায়ো্কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করি।এরপর থেকে একেবারে অন্য জার্নি।

“ছাগল নিয়ে আই আই এম ক্যালকাটায় আমি। ছাগল নিয়ে যে আই আই এম  ক্যালকাটায় যাওয়া যায় সেটা একটা বিশাল বড় প্রভাব ফেলল আমার এই ব্যবসায়। ” উচ্ছ্বাস ধরা পড়ে সফল উদ্যোগপতি কল্যানের গলায়।

“আমার পরবর্তী লক্ষ্য হল-আমি একটা পার্সোনাল ল্যাব করবো। এখন তো আমি NDRI-এর সঙ্গে টাই-আপ-এ আছি। মাঝখানে কিছু কম্পিটিশনে অংশ নিয়েছিলাম আই আই এম ক্যালকাটার মাধ্যমে। এইসময় ২০১৫ সালে পাই “ইনোভেটিভ গোট ফার্মার অ্যাওয়ার্ড-এটি প্রদান করেছিল সিআইআরজি,” “প্রগ্রেসিভ ফার্মার অ্যাপ্রেসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড-এটি প্রদান করেছিল এনডিআরআই এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান  বিশ্ববিদ্যালয়, এরপর ডিএসটি এবং আই আই এম ক্যালকাটার যৌথ উদ্যোগে স্মার্ট-৫০ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এখানে আমাদে্র কোম্পানি প্রথম ৪০-এ স্থান করে নিয়েছিল। যেখানে অংশ নিয়েছিল গোটা ভারত জুড়ে প্রায় ৯ হাজারের উপর স্টার্ট আপ। এছাড়াও টাটা সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ চ্যালেঞ্জে আমরা সেরা দশের মধ্যে স্থান লাভ করি।”

সঞ্জীবনী গোটস এখন অ্যাজিপ্যান অ্যানিমাল বায়ো্কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড

এখন নাম হয়ে অ্যাজিপ্যান অ্যানিমাল বায়োটেক প্রাউইভেট লিমিটেড। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য- গোটা পূর্ব ভারত জুড়ে বেকার সমস্যার সমাধাণ। কারণ আমরা দেখিয়েছি, কিভাবে খুব সামান্য পুঁজি বিনিয়োগ করে শুধু ছাগলের উপর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি প্রয়োগ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা করে মাসে ১০ হাজার টাকার উপর আয় বাড়ান যেতে পারে। এই ব্যবসা গ্রাম বাংলার বেকার যুবক-যুবতীদের খুবই লাভজনক উপায় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এটা অতি সহজসাধ্য বিষয়।

আমাদের করনীয়

আমদের সংস্থা সারা বছরজুড়ে এই প্রশিক্ষন ব্যবস্থার আয়োজন করে থাকে। আগ্রহীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এই নম্বরে- 9433319796  ।এছাড়াও www.sanjevanigoats.com কিংবা সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর হোম পেজে গিয়ে আমাদের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ফর্ম ডাউনলোড করতে পারেন।

Published on: এপ্রি ২৯, ২০১৯ @ ২৩:০৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

68 − 65 =