শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ- ‘নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব’

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ১৮, ২০২১ @ ২২:৫৪

এসপিটি নিউজ:  নদনীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের নাম ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই ঘোষণার পরই দক্ষিণ কলকাতায় এক রোড-শো-এর সভা থেকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা চ্যালেঞ্চ ছুঁড়ে জানিয়ে দেন-“নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে যদি হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”

সোমবার টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে রাসবিহারি পর্যন্ত বিজেপি এক রোড শো করে। সেই মিছিলে ছিলেন বিজেপির-এ রাজ্য সভাপতির দিলীপ ঘোষের পাশপাশি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। এদিনের মিছিলে বিক্ষিপ্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ওভিযোগ, মিছিল লক্ষ্য করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ইট ছোঁড়ে। যদিও বিজেপি-র যুব মোর্চার কর্মীরাও পাল্টা দেওয়ায় শুভেন্দু তাদের বাহবা দেয়।

নন্দীগ্রামে মমতা প্রার্থী হওয়ার খবর চাউর হতেই বিজেপি-র এই রোড শো-এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। অনেকেই শুভেন্দুর কাছ থেকে এর জবাব আশা করে। সেই মতো শুভেন্দু প্রকাশ্যে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁএ জানিয়ে দেন যে নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে তিনি যদি হাফ লাখ (৫০,০০০) ভোটে হারাতে না পারেন তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।

এখন প্রশ্ন, বিজেপি কি শুভেন্দু অধিকারীকে নন্দীগ্রামেই প্রার্থী করবে? সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন- “দেখুন, আমি একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ পার্টির সদস্য। আর তৃণ্মূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কমিটি। দেড় জনের পার্টি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাননীয়া এভাবে প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করে দিতে পারেন। আমি পারি না। তবে দল যাকেই প্রার্থী করুক -তা সে আমি হই কিংবা অন্য যে কেউ হোন না কেন মাননীয়াকে হারাবোই হারাবো।”

১৮ তারিখের মমতার সভার পাল্টা সভা ১৯ জানুয়ারি শুভেন্দু করবেন বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু আজই শুভেন্দু জবাব দিতে থাকেন। তিনি বলেন-“মাননীয়া শেষবার নন্দীগ্রাম গিয়েছিলেন ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর। প্রার্থীহিসেবে আমার নাম ঘোষণা করে এসেছিলেন। এরপর আবার গেলেন ভোটের আগে। মতার সভভাকে কটাক্ষ করে এদিন শুভেন্দু বলেন -“সাতটি জেলা থেকে ৮০০ বাসে করে ৩০ হাজার লোক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর ঐ সভা হয়দরাবাদের একটি পার্টি আছে তাদের মতো সভা হয়েছে।”

একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষ ভোলেনি যে, সেখানে গুলি চালানো পুলিশকর্তা অরুণ গুপ্তের বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তৃণমূল সরকার চার বার তাঁকে এক্সটেনশন (চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছে) দিয়েছে। অধিকারীপাড়ায় গুলি চালানো পুলিশ অফিসার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদর করে দলে নিয়ে এসেছেন তৃণমূলের মহাসচিব।’’

Published on: জানু ১৮, ২০২১ @ ২২:৫৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

94 − 91 =