‘নন্দীগ্রামে আমি দাঁড়াবোই, ভবানীপুরকেও আমি নেগলেক্ট করছি না- পারলে দুটি কেন্দ্র থেকেই দাঁড়াবো’-মমতা

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

“আমি হয়তো ইলেকশনের সময় অত টাইম দিতে পারবো না। কারণ, আমাকে তো ২৯৪টি সিটে লড়তে হবে। সেই জন্য কিন্তু আপনারা কাজটা করে দেবেন।”-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

 

এসপিটি নিউজ, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৮ জানুয়ারি:   রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে ফের খবরের শিরোনামে সেই নন্দীগ্রাম। সোমবার তেখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন যে তিনি হতে চলেছেন নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থী। যেহেতু ২০১৬-র নির্বাচনের আগে এখানেই আমার প্রথম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিলাম। তাই আমার বিবেক আমাকে জাগ্রত করে বল্ল – ওরে নন্দীগ্রাম থেকেই অ্যানাউন্সটা কর। এটা তোদের সবচেয়ে লাকি জায়গা।বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘নন্দীগ্রাম আমার কাছে একটা লাকি জায়গা’

এদিন প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের প্রার্থী কে হবে তা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন- “নন্দীগ্রাম আমার কাছে একটা লাকি জায়গা, পবিত্র জায়গা, ভালো জায়গা। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে এখান থেকেই আমরা নির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিলাম। ২০২১ সালেও নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু হল। নন্দীগ্রাম থেকে প্রত্যেকটা আসনেই তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে।”

এরপরই মমতা বলেন – “নন্দীগ্রাম সিটে আমি কারও নাম এখনই বলছি না। পরে বলবো। বাট, আমি মনে করি নন্দীগ্রাম সিটে ভাল মানুষ দেব। যিনি সত্যি আপনাদের কাজ করে দেবে। যিনি কাজ করবেন। আর নন্দীগ্রাম সিট এমনিতেই জেনারেল সিট। কাজেই কোনও অসুবিধা নেই।

দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মমতা

“এমনকি আমিই যদি নন্দীগ্রাম সিটে দাঁড়াই কেমন হয়? ভাবছিলাম, কথার কথা। একটু বললাম। একটু ইচ্ছে হলো। একটু গ্রামীণ জায়গা। একটু আমার মনের জায়গা। একটু আমার ভালোবাসার জায়গা। আমি হয়তো ইলেকশনের সময় অত টাইম দিতে পারবো না। কারণ, আমাকে তো ২৯৪টি সিটে লড়তে হবে। সেই জন্য কিন্তু আপনারা কাজটা করে দেবেন। কিন্তু তারপর যা কাজ আমি সব করে দেব। ঠিক আছে?” দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মমতা।

‘এমন পার্টি কোথাও দেখেছেন!’

মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থকদের ফের বলেন- “তালে এমন পার্টি কোথাও দেখেছেন!যে ভালোবাসার টানে নিজের আবেগকে ছুঁইয়ে রাখতে পারলাম না। তাই আমি সুব্রত বক্সিকে অনুরোধ করব, নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে যেন আমার নামটা লেখা হয় – আমার ইচ্ছা হয়েছে, এটা আমার মনোবাসনা । ভবানীপুরকেও আমি নেগলেক্ট করছি না। ভবানীপুরেও আমি ভালো প্রার্থী দেব। ওটাও আমার ভালোবাসার জায়গা।”

মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুব্রত বক্সির ঘোষণা

এইসময়ই সুব্রত বক্সি মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন- “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সকলের সামনে আজকে যে ঘোষনা করেছে দলের পক্ষ থেকে আমরা তা গ্রহণ করলাম। নিশ্চিতভাবে আপনাদের সকলের সামনে তাকে উপস্থিত করে আমরা বুঝিয়ে দিতে চাই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের মানুষকে ভোলেননি। নন্দীগ্রামের কর্মকান্ডকে ভোলেননি। আপনাদের সকল কর্মীদের সংগঠিত করে আপনারা এমন ব্যবধানে জিতিয়ে আপনারা বাংলার মসনদে পাঠিয়ে দেবেন যাতে সেটা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকে।”

নন্দীগ্রাম থেকেই এবার আন্দোলনটা করব-মমতা

সব শেষে মমতা বলেন-“আমি আপনাদের বলে গেলাম ভবানীপুর আমার বড় বোন, আর নন্দীগ্রাম আমার মেজবোন। আমি দুটি কেন্দ্র থেকে পারলে এবার দাঁড়াব। তার কারণ, নন্দীগ্রাম থেকেই এবার আন্দোলনটা করব। ভবানীপুরের মানুষ দুঃখ পেতে পারে। আমি দুঃখ দেব না। যদি ম্যানেজ করতে পারি ইজ ওকে। নন্দীগ্রামে আমি দাঁড়াবোই। আপনাদের আমি বলে গেলাম।”


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 2 = 2