রোগী উধাও খোদ সিসিইউ থেকে- কাঠগড়ায় এবার মেদিনীপুর সরকারি হাসপাতাল, কতৃপক্ষ বলছে ব্যতিক্রমী ঘটনা

রাজ্য স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

Published on: জানু ২২, ২০১৮ @ ১৯:৩৫

এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ২২ জানুয়ারিঃ এতদিন শুধু বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধেই আঙুল উঠছিল। সেখানে চিকিৎসকদের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। কিন্তু এবার যে কাঠগড়ায় একেবারে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল চলে এল। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একেবারে সিসিইউ কক্ষ থেকে রোগী উধাও হয়ে গেল আশ্চর্যজনকভাবে। যেখানে সারাক্ষন রোগীদের উপর নজর রাখা হয়ে থাকে। যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশেও বিধিনিষেধ থাকে-এমন কক্ষ থেকে কিভাবে রোগী কিভাবে উধাও হয়ে গেল তা নিয়ে তোলপাড় গোটা মেদিনীপুর। রোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।হাসপাতালের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে শুরু হয়েছে খোঁজ।

জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ব্যাক্তি হুগলি জেলার চুঁচুড়া এলাকার বাসিন্দা সমরেশ হাজরা (৩২)৷পরিবারের পক্ষ থেকে সমরেশের দাদা অমলেশ হাজরা বলেন, “ আমার ভাই একজন ডবল্যুবিসিএস অফিসা্র৷ প্রশিক্ষনের জন্য তাঁকে শালবনীতে ভুমি দফতরে অফিসে পাঠানো হয়েছিল৷ সেখানে সে কোনও কারণে অসুস্থ হলে সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শালবনীতে, পরে সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।এখানে সিসিইউ কক্ষে তাঁকে ভর্তি রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু, সোমবার হাসপাতাল থেকে তাদের কাছে খবর দিয়ে জানানো হয়- “আপনার ভাইকে পাওয়া যাচ্ছে না৷”

খবরে প্রকাশ,গত ১৮ জানুয়া্রি মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেওয়ার কা্রণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সমরে৷ তখনই পরিস্থিতি বিচার করে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউ-তে ভর্তি রাখা হয়েছিল ১০ নম্বর বেডে৷ হাসপাতালে এসে পরিবারের লোকেরা খোঁজ নিয়ে যান প্রতিদিন৷ এরই মাঝে সোমবার সকালে পরিবারের লোকজনকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয়- সমরেশবাবুকে পাওয়া যাচ্ছে না৷ পরিবারের লোকেরা সমরেশবাবুকে ফোন করলে রিং বেজে যায়। কিন্তু ফোন ওঠাচ্ছেন না সমরেশবাবু৷

সমরেশের দাদা অমলেশবাবু বলেন- “এর জন্য হাসপাতালকেই দায়ী করব৷এই ধরনের ইউনিট থেকে রোগী পালায় কিভাবে৷” এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন ৷ তবে হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজার সঞ্জীব গোস্বামী বলেন, “ সিসিইউতে যে কেউ প্রবেশ করতেই পারে না৷ এতো নিরাপত্তা, চিকিৎসক, নার্স থাকতেও কিভাবে একজন রোগী উধাও হয়ে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মানসিকভাবে একটা সমস্যা ছিল রোগীর৷ তবুও সিসিইউ-এর মতো এত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ থেকে কড়া নজরদারী এড়িয়ে একজন রোগীর উধাও হয়ে যাওয়াটা মোটেই সাধারণ ব্যাপার নয়৷ পুলিশে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। এটা একটা ব্যাতিক্রমী ঘটনা৷ তদন্ত হচ্ছে৷”

Published on: জানু ২২, ২০১৮ @ ১৯:৩৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − = 7