‘ভারতের বিন লাদেন’ আব্দুল গ্রেফতার, সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে রাজধানীতে সন্ত্রাসের বড়সড় ছক ভেস্তে দিল দিল্লি পুলিশ

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: জানু ২২, ২০১৮ @ ১৮:১১

আব্দুল সুভান কুরেশি-যিনি ছিলেন ২০০৮ সালের গুজরাটে সিরিয়াল বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড।

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ সাধারণতন্ত্র দিবসের চারদিন আগে সন্ত্রাসী হামলার বড়সড় ছক ভেস্তে দিল দিল্লি পুলিশ। সেই সঙ্গে তারা গ্রেফতার করেছে সিমি ও ভারতীয় মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা মোস্ট ওয়ান্টেড আতঙ্কবাদী আব্দুল সুভান কুরেশিকে করেছে। যিনি ছিলেন ২০০৮ সালের গুজরাটে সিরিয়াল বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড। তাকে “ভারতের বিন লাদেন” বলা হত।তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। মনে করা হচ্ছে আব্দুলকে জেরা করে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে।

গোয়েন্দা সংস্থা আগে থেকেই দিল্লি পুলিশকে আগাম সতর্কতা জানিয়ে বলেছিল-রাজধানীতে বড়সড় সন্ত্রাসের সম্ভাবনা আছে। এমন সতর্কতা পেয়ে দিল্লি পুলিশ ক্রমাগত তল্লাশি চালাতে থাকে। সেই তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে এক খবর আসে যে গুজরাট সিরিয়াল বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড, আব্দুল সুভান কুরেশি দিল্লিতে ঘাঁটি গেড়ে আছে। সে দিল্লিতে বসে সাধারণতন্ত্র দিবসে বড় ধরনের হামলার ছক সাজাচ্ছে।

স্পেশাল সেলের ডিসিপি প্রমোদ কুশওয়াহা জানান, আতঙ্কবাদী আব্দুল দিল্লির গাজীপুরে ধরা পড়েছে। তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি কারও সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। পুলিশকে দেখেই সে  গুলি চালাতে শুরু করে। কিছু সময় বাদে দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সফল হয়।এটা সম্মুখীন পরে ধরা হয়েছিল। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল এবং কার্তুজ পাওয়া গেছে। তাকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ভারতের বিন লাদেনের নামে পরিচিত কুখ্যাত আব্দুল সুভান কুরেশি ওরফে তৌকির, পেশায় এক ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বোমা তৈরির জন্য তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। মস্তিষ্ক ২০০৬ সালের ১১ জুলাই তারিখে মুম্বইতে ট্রেনের ভিতর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিরাপত্তা সংস্থা তাকে খুঁজছিল। এছাড়াও দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও আহমেদাবাদের বিস্ফোরণেও তার হাত ছিল। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের অনলাইনে কাজ আব্দুলই করতেন।

২০০১ সালের ২১ আগস্ট  তারিখে মুম্বইয়ের সিমির একটি সাংবাদিক সম্মেলনে নাগৌরীর সঙ্গেও তাকে দেখা গেছিল। এনআইএ-এর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় তার নাম যুক্ত করা হয়েছে। তার বাবা-মা মূলত উত্তরপ্রদেশ থাকেন। বর্তমানে, তারা মুম্বইতে বসতি স্থাপন করেছে। তৌকির ১৯৯৯ এবং ২000 সালের মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। এখন তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বলা হচ্ছে যে সাধারণতন্ত্র দিবসে, রাজধানী দিল্লিতে প্রধান সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি সনাক্ত করা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা চালানোর অভিপ্রায়ে তিন সন্ত্রাসী দিল্লির জামা মসজিদ এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বলে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবরে প্রকাশ, ২৬ জানুয়ারির নিরাপত্তা সম্পর্কে দিল্লি পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলি একটি কল নিয়ে সন্দেহ হতেই সেটি আটকানোর পর সন্ত্রাসী হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারীর খোঁজ জানতে পারে।সেই সূত্র ধরে তারা জানতে পারে, দিল্লিতে জামা মসজিদ এলাকায় তিন সন্দেহভাজন ঘাঁটি গেড়ে আছে, যারা পশ্তু ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আরও জানতে পারে যে তিন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে নির্দেশ পেয়েছে।সূত্রঃ আজ তক

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০০৮ সালের ২৬ জুলাই গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদে ১৯ টি সিরিয়াল বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এদের মধ্যে ৫৬ জন নিহত এবং ২৩৮ জন আহত হয়েছিল। বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে নিয়ে ভারতীয় মুজাহিদিন জানিয়েছিল, এই বিস্ফোরণ তারাই ঘটিয়েছে। এই মামলায় ৭৮জন আসামি এবং ৩৫টি এফআইআর  দায়ের করা হয়েছে। এই সিরিয়াল বিস্ফোরণের মূল মাস্টারমাইন্ড আব্দুল সুভান কুরেশিকেই মনে করা হচ্ছে।

Published on: জানু ২২, ২০১৮ @ ১৮:১১


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

58 − 48 =