রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না, সিবিআই জেরার সামনে বসতে হবে তাঁকে -নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ৫, ২০১৯ @ ১৫:০৪

এসপিটি নিউজ, নিউ দিল্লি, ৫ ফেব্রুয়ারিঃ আজ সারা দেশের নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের দিকে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ আজ সিবিআই ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেন- রাজীব কুমারকে সিবিআই-এর জেরার সামনে হাজির হতে হবে। তবে সেটা হতে হবে নিরপেক্ষ স্থানে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এও নির্দেশ দেন যে সিবিআই শুধু জেরাই করতে পারবে অর্থাৎ সারদা চিট ফান্ড তদন্তের বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন কিন্তু কোনওভাবেই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না।

কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। প্রধান বিচারতপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। সিবিআই-এর তরফে একটি হলফনামা জমা দেওয়া হয়।সুপ্রিম কোর্ট এদিন নির্দেশ দিয়েছে, নিরপেক্ষ স্থান হিসেবে শিলং-এ রাজীব কুমারকে সিবিআই-এর জেরার সামনে হাজিরা হতে হবে। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। পাশাপাশি, আদালত অবমাননার অভিযোগে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ডিজি, বীরেন্দ্র, মুখ্যসচিব মলয় দে এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে হলফনামা দিয়ে কারণ জানাতে হবে। পরবর্তী শুনানি হবে ২০ ফেব্রুয়ারি।

এদিন তিন বিচারপতির বেঞ্চে সিবিআই-এর আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন-“কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে আদৌ বাধা দেওয়ার এক্তিয়ার কি পুলিশের আছে?” এরপরই পুলিশ কমিশনারকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সিবিআই আবেদন জানিয়েছিল- সুপ্রিম কোর্ট রাজীব কুমারকে সিবিআই-এর সামনে আত্মসমর্পন বা হাজির হাজির হতে নির্দেশ দিক। একই সঙ্গে তারা আরও আবেদন করে যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হওয়া তদন্তের কাজে বাধা দিছে রাজ্য প্রশাসন সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হোক।প্রধান বিচারপতি এরপর জানিয়ে দেন-” আমি আপনাদের আবেদন পড়েছি। এতে (নথি লোপাটের প্রমাণ) কিছুই নেই।”

রাজ্যের আইনজীবী মনু সিংভি বলেন,” রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআই গত পাঁচ বছরে একটিও এফআইআর করেনি। এমনকী ভারতীয় ফৌজদারি দন্ডবিধির ২০১ ধারা অনুসারে তথ্য প্রমাণ লোপাটেরও কোনও এফআইআর করা হয়নি। তাঁর পদকে অবমাননা করা হয়েছে।”

শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গণতন্ত্রের জয়’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আলোচনার জন্য পাঁচটি চিঠি দিয়েছিলাম। ওরাই কোনও সাড়া দেয়িনি।

Published on: ফেব্রু ৫, ২০১৯ @ ১৫:০৪

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − = 18