- মন্দির নির্মাণে ব্যয় করা সমস্ত অর্থ ডাঃ মজিদ মালিক দিয়েছেন।
- ড. মজিদ মালিক মন্দিরের জন্য নিজের জমি দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে নিজেই রাধা ও কৃষ্ণ মন্দির নির্মাণ করছেন।
Published on: নভে ১৪, ২০১৯ @ ০০:২৯
এসপিটি নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের বারানে একজন মুসলিম সমাজ সেবক ডঃ মজিদ মালিক নিজের ব্যয়ে মন্দির নির্মাণ করে হিন্দু ও মুসলিম ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের উদাহরণ স্থাপন করেছেন। ডঃ মাজিদ মালিকের এমন প্রয়াসের জন্য রাজ্যের সর্বত্র তার প্রশংসা করা হচ্ছে।
যেভাবে মন্দির নির্মাণে প্রয়াসী হলেন ড. মালিক
তথ্য মতে রাজস্থানের বারানের সমাজসেবক ড. মজিদ মালিক মন্দিরের জন্য নিজের জমি দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে নিজেই রাধা ও কৃষ্ণ মন্দির নির্মাণ করছেন। মন্দিরটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। রাজস্থানের বনরা জেলার কিশনগঞ্জে ভারত মাতা কলেজের পরিচালক ডঃ মাজেদ মালিক এক বছর আগে মন্দিরটি নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেছিলেন এবং তারপরে ঐক্যমত্যের মাধ্যমে তাদের নিজের জমিতে মন্দির তৈরির সংকল্প করেছিলেন। মন্দির নির্মাণে ব্যয় করা সমস্ত অর্থ ডাঃ মজিদ মালিক দিয়েছেন। এখন ডাঃ মজিদ মালিক নিজের ব্যয়ে মন্দিরে সেবা ও পূজার জন্য একজন পন্ডিতকে রাখবেন।
সম্প্রীতির বার্তা
ডাঃ মাজেদ মালিক জানান যে মন্দিরটি ও এর প্রাঙ্গণটি ৪৫০০ বর্গফুটে নির্মিত হচ্ছে। তাঁর মতে, মার্বেল এবং কোটা পাথর মন্দির নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। সম্প্রতি, তিনি হিন্দু, মুসলিম, শিখ এবং খ্রিস্টানদের ঐক্যের জন্য একটি কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন। এই কর্মসূচিতে সকল ধর্মের লোকেরা একসাথে মঞ্চে এসে সকলে পারস্পরিক সম্প্রীতির বার্তা দেয়।
নিজের ভূমিকায় খুশি ড. মালিক
ডাঃ মজিদ মালিক বলেছেন যে কোন ধর্মই নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে শেখায় না। তাঁর মতে মানুষ স্বার্থপরতার কারণে নিজেদের মধ্যে লড়াই করে। ডাঃ মজিদ মালিক সবাইকে নিয়ে একসাথে থাকতে চান, এ কারণেই তিনি প্রথমে তাঁর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম রাখলেন ভারত মাতা কলেজ এবং তারপরে একটি মন্দির তৈরির সংকল্প করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে আমার মাধ্যমে মন্দিরটি নির্মিত হচ্ছে, আমি ভাগ্যবান।
Published on: নভে ১৪, ২০১৯ @ ০০:২৯