JEE MAIN এখন CBSE নয় পরিচালনা করে NTA: পারফর্ম্যান্সে শীর্ষে ISC- নবারুন দে

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

  • NEP 2019: আসতে চলেছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির চার বছরের কোর্স- মাধ্যমিক ও ঊচ্চ মাধ্যমিকের পরিবর্তে।”
  • “সন্ধ্যাবেলায় বাবা-মায়েদের ই-মেল আইডি-তে সারাদিনে কি পড়ানো হয়েছে সেটা পাঠিয়ে দি। এটা ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত করা হয়।”
  • “নিশ্চিত স্টাফেদের সকলকে প্রভিডেন্ট ফান্ড দেওয়া হচ্ছে কিনা? স্কুলে গ্র্যাচুইটি স্কিম চালু আছে কিনা?এইসব দিকগুলি কাউন্সিল চেক করছে।”
  • “আমাদের স্কুলে ৬০-৬৫ হাজার টাকার বেতনের স্টাফও আছে।”

 Reporter: Aniruddha Pal

Published on: নভে ১৩, ২০১৯ @ ২৩:২২

এসপিটি নিউজঃ সাম্প্রতিককালে পশ্চিমবঙ্গে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর প্রবণতা বেড়েছে। এর ফলে এখন কলকাতার পাশাপাশি শহরতলী ছাড়িয়ে মফস্বলেও মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করেছে বহু ইংরাজি মাধ্যম স্কুল।কিন্তু মফস্বলের এই সমস্ত স্কুলগুলি ধারে-মানে-গুণে কেমন।শিক্ষানীতি থেকে ইংরাজি মাধ্যম স্কুলগুলির শিক্ষাদানের নানা দিক নিয়ে আইসিএসই কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির মেম্বার ও বরানগরে সেন্ট্রাল মডার্ন স্কুলের প্রিন্সিপল নবারুন দে-র মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর প্রধান সম্পাদক অনিরুদ্ধ পাল। সেখানে উঠে এসেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

প্রথমেই তোলা হয়েছিল ডিজিটাল ক্লাসের বিষয়টি- যা বললেন নবারুনবাবু

“ডিজিটাল বোর্ড সেট আপ করা তার ব্যাক আপ সিস্টেম স্কুলে রাখা প্রচুর ব্যয় সাপেক্ষ। সেটা হয়তো কলকাতার ১০শতাংশ স্কুল করতে পারে। ডিজিটাল ক্লাস চালু করা আর ডিজিটাল ক্লাস বলতে যা বোঝায় সেভাবে চালু করা দুটোর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। ক্লাসের মধ্যে এলসিডি প্রজেক্টর রেখে ধরুন ফিজিক্স বা কেমিস্ট্রি পড়াচ্ছেন- তার নিউক্লিয়ার ডিভিশনটা সেটা আপনি ভিস্যুয়ালি বোঝাতে পারবেন কিন্তু টেক্সট বই তো লাগবেই। ওইগুলো ডিজিটাল ক্লাস। ওইগুলো শুধুই এলসিডি। আমাদেরও ওরকম রয়েছে। রাইমস বই নিয়ে বাচ্চারা আসে না রাইমস আমাদের ডিজিটাল বোর্ডে শেখানো হয়। আমরা মাত্র একটা ব্যবস্থা করতে পেরেছি। জুনিয়র আর সিনিয়রদের জন্য একটা। কিন্তু প্রতিটি ক্লাসে করা সেটা সম্ভব নয়। সেটা বইকে রিপ্লেস করতে পারবে না। আপনি ম্যাথসের একটা বিভাগ পড়াচ্ছেন সেটা হয়তো বোঝাতে পারলেন। কিন্তু তাকে তো বই থেকে কনসেপ্টটা জানতে হবে। তাছাড়া বইতে তাকে আনসলভ-সলভ তো দেখতে হবে।”

ব্যাগের ভার কমাতে নিজের স্কুলে এই ব্যবস্থা চালু করেছেন

  • “আমরা যেটা করছি মূলত- তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাত, আট বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে, তা হল – তাদের সব বই প্রতিদিন ব্যাগে করে আনতে হয় না। এর জন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থা করেছি। যেমন- ইংরাজি টেক্স বই, সেটা হয়তো সপ্তাহে পাঁচদিনই ক্লাস আছে। দু’দিন করানোর পর একদিন আমরা ফেরত পাঠালাম। বাকিদিন আমরা প্রত্যেক ক্লাসে নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিলাম। সেখানে সিরিয়ালি রোল নম্বর অনুযায়ী সাজিয়ে রাখা হয়। এজন্য কিন্তু তাদের ডবল সেট কিনতে হবে না। আমরা সেটা বলেও দি যে আপনারা ডবল সেট কিনবেন না। যেদিন ধরুন বাড়িতে গিয়ে পড়ার ব্যাপার থাকবে সেদিন অর্থাৎ একটি চ্যাপ্টার শেষ হলে তবেই তো বাচ্চা বাড়িতে গিয়ে পড়বে সেইসময় আমরা বাড়িতে ফেরত পাঠাবো।”
  • “এবার যদি টিচাররা মনে করবেন বাড়িতে পাঠানোর দরকার আছে, তখনই পাঠাবেন বাড়িতে। এটা ঠিক করা হয় স্কুলেই। এজন্য আমাদের স্কুলে একজন কো-অর্ডিনেটর আছেন। লেসন প্ল্যানটা যারা করেন তাদের সঙ্গে কথা বলে উনি ঠিক করেন। আমরা যেটা করি- সন্ধ্যাবেলায় পেরেন্টসদের ই-মেল আইডি-তে সারাদিনে কি পড়ানো হয়েছে সেটা পাঠিয়ে দি। এটা ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত করা হয়। মানে ছয় থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত। এর ফলে পেরেন্টসদের একটা আইডিয়া হয়। এরপর দু’তিন দিন বাদে বইটা তার হাতে যায়। তারপর সে রিভাইস দিতে পারে। এতে প্রাইভেট টিউশনের প্রবণতাও কমে।।”
  • “বাচ্চা যদি ক্লাস ফলো করে তাহলে তাকে প্রাভেট টিউটরের কাছে যাওয়ার দরকারই পড়ে না। ইলেভেন-টুয়েলভে উঠে এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য পড়ছে কেউ কেউ এইইটি-র জন্য পড়ছে সেখানে কিন্তু সিলেবাস পড়ার জন্য তারা যাচ্ছে না। তারা যাচ্ছে ১৮০ মিনিটে কি করে আমি ৩৬০টি কোয়েশ্চেনের আনসার দেব। এই কনসেপশনের জন্য যাচ্ছে।”

ক্লাস নাইন থেকে স্ট্রিম চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে

তবে অপশন থাকে। সব স্কুলে দেয়ও না। কেউ কেউ দেয়। আমাদের যেমন ক্লাস নাইনে দি। সায়েন্স ছেড়ে কমার্শিয়াল স্টাডিজ নেবে কম্পিউটার ছেড়ে ইকোনোমিক অ্যাপ্লিকেশন নেবে। একটা সেকশন এভাবে আমরা করেছি। যারা ঠিক করে নিয়েছে যে তারা ইলেভেন-টুয়েলভে আর সায়েন্স পড়বে না। অনেকে টেন পর্যন্ত পড়ে তারপর ডিসিশন নিতে চায়। অনেকে এইটের পড়ে ডিসিশন নিয়ে নেয়। দুটো সেকশন সায়েন্স আর একটা সেকশন নন-সায়েন্স।

জয়েন্ট এন্ট্রান্স মানেই এখন আর সিবিএসই নয়

  • “এতদিন যেহেতু সিবিএসই জেইই মেইন কনডাক্ট করত সেহেতু লোকের একটা পারসেপশন ছিল যে সিবিএসই পড়লেই জেইই-তে ভালো ফল করা যায়। লাস্ট ইয়ার থেকে ২০১৯ সালের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরিচালনা কিন্তু আর সিবিএসই করছে না। বিশেষ লোকের কাছে এই খবর জানা নেই। এটা সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের এনএইচআরডি (ন্যাশনাল হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট)-এর অধীনে একটি অটনোমাস বডি হয়েছে- যার নাম দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। এনটিএ এই পরীক্ষাটা পরিচালনা করছে।”
  • “কারণ আমরা বহুদিন বলার চেষ্টা করেছি যে জেইই অ্যাডভান্সটা বাই রোটেশন ওরা দেয় কনডাক্ট করতে। কিন্তু জেইই মেইন সেটা এতদিন সিবিএসই কন্ডাক্ট করতো। আমাদের বক্তব্য ছিল খুব পরিষ্কার – সিবিএসই একটা একজামিনেশন বোর্ড আমরাও একটা একজাবিনেশন বোর্ড। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পর্ষদও একটা একজামিনেশন বোর্ড। সবাইকে রোটেশনালি কেন দেওয়া হবে না? শুধুমাত্র একজনই কেন পাবে? যেমন অ্যাডভান্সটা আপনারা রোটেশনালি দিচ্ছেন সব আইআইটিকে- যেমন, একবার আইআইটি গুয়াহাটি একবার কানপুর কনডাক্ট করছে এখানে তাহলে কেন সেটা হবে না? এখন ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ওরাই পরীক্ষাটা নিচ্ছে। জেইই মেইন পরীক্ষা।”
  • “একটা ওয়েস্টবেঙ্গল জেইই। আর একটা জেইই মেইন্স। এটা এখন এনটিএ হয়ে গেছে। ধরুন যাদবপুরে যদি সিভিলে ৫০টা আসন থাকে- এর মধ্যে ওয়েস্টবেঙ্গল জেইই-তে আছে ২০ সিট আর ৩০টা ওরা জেইই মেইন্স থেকে নিচ্ছে। সেন্ট্রাল কোটা দিতে হচ্ছে, ঠিক যেমন স্টেট কোটা আছে।”

আর একটা কথা শোনা যাচ্ছে -সিবিএসই-তে মিশে যাবে আইসিএসই

“দেখুন নতুন এডুকেশন পলিসি এলে কি দাঁড়াবে আমরা কেউ জানি না। জুলাই মাসে এনইপি বেরিয়েছিল- তারপরে আড়াই লক্ষ অবজার্ভেশন জমা পড়েছিল। তারপর সেটা খতিয়ে দেখে এনএইচআরডি আর একটা এডুকেশন পলিসি বের করেছে। কিন্তু সেটা এখনও ক্যাবিনেট অ্যাপ্রুভাল পায়নি। সেটা পেলে তবেই সেটা কার্যকর হবে। সেটা বেরোলে মার্জের ব্যাপার বলা হচ্ছে না, ওটা হচ্ছে এনসিআরটি বা এসসিআরটি। ন্যাশনাল আর স্টেট যেহেতু এডুকেশন একটা জয়েন্ট অ্যফেয়ার কাজেই এসসিআরটি-রও একটা ভূমিকা আছে। মানে এনসিআরটি বা এসসিআরটি সিলেবাস ওয়াডলি ফলো করতে হবে। মার্জিং-এর কোনও ব্যাপার নেই।”

“নাইন-টেন-ইলেভেন-টুয়েলভ এই চার বছর মিলিয়ে মিলিয়ে একটা কোর্স হবে। এটা সারা দেশজুড়েই হবে। সব বোর্ডেই হবে।দশম শ্রেণি থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা থাকবে না। আগে কি হতো, মাধ্যমিক পাশ করে অনেকে লেখাপড়া বন্ধ করে দিত। এখন সেটা আর হবে না। চারটে ক্লাসে মোট ৮টা সেমিস্টার হবে। এর পর ক্লাস টুয়েলভ-এর পর রেজাল্ট আউট হবে।প্রতিটি বোর্ড এর অ্যাসেসমেন্ট করবে। তাদের অধিকার থাকবে এই পরীক্ষা নেওয়ার। আশা করা হচ্ছে, বছর খানেকের মধ্যে এই পলিসি চালু হয়ে যাবে- তেমনটাই তো শোনা যাচ্ছে। কার্‌ অলরেডি তা চলে এসছে। আর ড্রাফট লিখছেন ওনারা। ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (এনইপি)-২০১৯ বলে এটি এসে গেছে।”

আইসিএসই-তে বিশদে পড়ানো হয়ে থাকে- নবারুন দে

“আমরা যেহেতু শুধুমাত্র একজাবিনেশন বোর্ড । আমরা স্টুডেন্টদের একটু সাবজেকটিভ পড়াই। পুরোপুরি অবজেকটিভ নয়। সাবজেকটিভ আকারে পড়লেই সে ফাইনাল রেজাল্ট জানতে পারবে। তাকে শুধু ম্যানুপুলেশন করেই জানতে হচ্ছে। আমাদের কনসেপ্ট হচ্ছে যদি সে স্টেপ বাই স্টেপ যায় তাহলে তার কনসেপ্টটা অনেক ক্লিয়ার হবে। যেমন স্ট্রেইট-কোয়েশ্চেন-আনসার এর মাঝখানে যে স্টেপগুলো কিভাবে আনসারটা এলো সেটা আমাদের এখানে থরোলি শেখানো হয়। আমরা মনে করি না ইঞ্জিনিয়ারিং আর মেডিকেল একমাত্র প্রফেশন।”

“আজ আপনি যে কোনও জুডিশিয়ালি পোস্টে যাবেন যেকোনও হাইকোর্টে যান সুপ্রিম কোর্টে যান স্টেটের যে কোনও জায়গায় যান দেখবেন মেজোরিটি স্টুডেন্ট কিন্তু আইসিএসই ব্যাক গ্রাউন্ডের। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে মেজোরিটি আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ডের। কারণ, তারা সাবজেকটিভ জিনিসটা জানে। জেইই-তে অল ইন্ডিয়াতে সাকসেস রেট-এ শীর্ষে কিন্তু আমাদের আইএসসি বোর্ড, তারপর অন্ধ্র বোর্ড তারপর সিবিএসই। এবার কি হচ্ছে সিবিএসই-র ২২ হাজার স্কুল রয়েছে সেখানে আমাদের মাত্র ২৩০০ স্কুল য়াছে। ওদের সব কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়। সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের যত পাবলিক সেক্টর আছে তাদের ক্যাম্পাসে যত স্কুল থাকে সব সিবিএসই স্কুল। খালি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে একটা সুযোগ দিয়েছে কাশিপুর গান এন্ড সেল ফ্যাক্টরির ভিতর স্কুলটা ওটা আইসিএসই পরিচালিত।”

স্কুলে উপস্থিতি নিয়ে নম্বর দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই আইসিএসই-তে

“না, এমনটা হয় না। স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠান দীর্ঘ সময় ধরেও চলে না। আমাদের স্কুলের অ্যানুয়াল ফাংশন- আড়াই ঘণ্টা একটা গ্রুপ পরের আড়াই ঘণ্টা আর একটা গ্রুপকে নিয়ে আমরা করেছি। আর অনুষ্ঠানের আগে আমরা বাবা-মায়েদের কাছ থেকে তাদের মতামত নিয়ে নি। তিনটে থেকে সাড়ে পাঁচটা এবং ছ’টা থেকে সাড়ে আটটা। যেমন একটা প্রোগ্রামে ছিল ক্লাস থ্রি থেকে ক্লাস এইট। আর একটা প্রোগ্রামে নার্সারি থেকে ক্লাস টু এবং নাইন থেকে টুয়েলভ। নার্সারি থেকে টু ওদের বাবা-মা ঠাকুরদা-ঠাকুমা সবাই আসতে চান। আর নাইন থেকে টুয়েলভ বাড়ির লোক বিশেষ আসতে চান না। সিটিং ক্যাপাসিটি ১৫০০ করে ছিল। আমাদের নিজস্ব কম্যিউনিটি হলেই ব্যবস্থা হয়েছিল। খাবারের ব্যবস্থা থাকে। স্টেজ রিহার্সালের দিনও কুপন দেওয়া হয় ফাইনাল প্রোগ্রামের দিনেও কুপন দেওয়া হয়।”

যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন

“এবার আইসিএসসি স্কুলের যে স্পোর্টস এন্ড গেমস চালু হয়েছে আমাদের স্কুল গেমস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার মেম্বার হতে পেরেছে। আমাদের দেশে ৪২টি বোর্ড আছে। অন্ধ্রতে দু’রকম স্টেট বোর্ড আছে। তারপরে মাদ্রাসা বোর্ড আছে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও আছে আবার মাদ্রাসা বোর্ডও আছে। এরা সবাই মেম্বার। আমরাও মেম্বার হয়েছি। আমি প্রিন্সিপল কো-অর্ডিনেটর- স্পোর্টস। ২৩ রকমের ডিসিপ্লিন করাই। দেখুন লা-মার্টিনিয়ার, সেন্ট জেভিয়ার্স, ডন বস্কো এইসব স্কুলের ছেলে-মেয়েরা নিজেদের তাগিদে বাইরে বড় বড় জায়গায় চলে যাচ্ছে। আমি চেষ্টা করি যে সেমি-আর্বান বা রুরাল এইখানকার স্কুলগুলি এর সঙ্গে যুক্ত হোক। শুধু স্পোর্টসে নয়, অ্যাকাডেমিক থেকে অ্যাসেম্বলিতে।”

এবছর সেন্ট্রাল মডার্ন স্কুলের ছাত্র সংলাপ ব্যানার্জি অল ইন্ডিয়ায় আইসিএসই-তে তৃতীয় সেরার মর্যাদা লাভ করেছেন। জানালেন স্কুলের প্রিন্সিপল নবারুন দে।

বহু স্কুলে প্রিন্সিপল থেকে শিক্ষকদের আইসিএসই ব্যাকগ্রাউন্ড নেই

“সম্প্রতি মেদিনীপুরের একটি স্কুল আইসিএসই-র অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু তাদের প্রিন্সিপাল থেকে শুরু করে টিচার কারও আইসিএসই-র ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। দেখা যায় ইন্সপেকশনের সময় স্কুলে ইংলিশ মিডিয়ামের ব্যাকগ্রাউণ্ডের টিচার থাকে। কিন্তু পরবর্তীকালে কি হয়- তারা যখন ছেড়ে যাচ্ছে তখন তাদের জায়গায় যাদের আনা হচ্ছে তারা সমকক্ষ নয়। এজন্যই আমাদের কাউন্সিল গত বছর থেকে আমাদের লাগাতর ইন্সপেকশন চালু করেছে। এবার যখন তারা অ্যাফিলিয়েশন পাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে তখন তারা অন পেপার দেখিয়ে দিচ্ছে। সেখানে তারা বেতন থেকে শুরু করে বাকি সব কিছুই সুন্দর করে দেখিয়ে দিচ্ছে। তবে আমাদের স্কুলের শিক্ষকদের রোপা-২০০৯ অনুসারেই বেতন ক্রম চালু হয়েছে।”

“আমি মেদিনীপুরের স্কুলের টিচারদের নিয়ে এলাম। আমাদের ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮০ নম্বর থিওরি আর ২০ মার্কস ইন্টারনাল অ্যাকটিভিটিস-এ আছে। অ্যাটেনডেন্স-এ কোনও মার্কস নেই। আমার সুবিধা হল যে আমি নিজেই ১৯৭০ সাল থেকে আইসিএসই স্কুলে পড়েছি। ক্যালকাটা বয়েজ স্কুলে। সেখান থেকে আমি পাশ করি। আমি ওনাদের সিস্টেমটা জানি।”

এটা কি সমস্ত আইসিএসই স্কুলেই চালু হয়েছে

“না, এটা সর্বত্র নয়। আমরা অনুমোদন দেওয়ার সময় একেবারে স্ট্রিক্টলি দেখে নি। যে এটা হচ্ছে কিনা। পরবর্তীকালে ওরা দু’তিন বছর হয়ে গেলে স্টাফেদের হাই সার্ভিস ওরা অফ করে দিচ্ছে। আমি কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটিরও মেম্বার। এটা আমাদের নলেজে আসার পর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে যে পিরিওডিক ইন্সপেকশন হবে। তাতে এইসব দিকগুলি চেক করা হবে। নিশ্চিত স্টাফেদের সকলকে প্রভিডেন্ট ফান্ড দেওয়া হচ্ছে কিনা? স্কুলে গ্র্যাচুইটি স্কিম চালু আছে কিনা?এইসব দিকগুলি চেক করা হচ্ছে। এতে কিছুটা উন্নতি হচ্ছে।”

সিবিএসই একটি গভর্নমেন্ট কন্ট্রোল বডি। আমাদের যেটা অ্যাডভান্টেজ প্রত্যেক স্কুলের প্রিন্সিপল আমাদের চিফ এক্সিকিউটিভের সঙ্গে যে কোনও সময় কথা বলতে পারেন।

সব আইসিএসই স্কুল কি নিয়ম মানছে?

“না, সবাই মানছে না। দেখুন যে মানছে না তার কিন্তু স্টুডেন্ট স্ট্রেন্থও বাড়ছে না। এখন প্রত্যেক শনিবার করে আমাদের স্কুলে বাবা-মায়েদের ইন্টারভিউ হচ্ছে। নাইনটি পার্সেন্ট পেরেন্টস কিন্তু বলছে ওয়েবসাইট স্টাডি করে সে এসেছে।আমদের স্কুল ২৫ বছর হয়ে গেল। আমরা যা করতে পারি সব স্কুল তো তা পারে না। আমাদের স্কুলে ৬০-৬৫ হাজার টাকার বেতনের স্টাফও আছে। এখন টিচারের একটা বড় ক্রাইসিস। ভালো স্যালারি অফার না করলে ভালো টিচার তো আপনি পাবেন না, সে অন্য স্কুলে বেরিয়ে যাবে। একটা ক্লাসে যদি বছরে তিনবার জিওগ্রাফি টিচার পালটায় তাহলে বাচ্চাদের তো অসুবিধা হবেই।”

Published on: নভে ১৩, ২০১৯ @ ২৩:২২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 5 = 5