মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চেয়েছিলাম, কিন্তু দল রাজী হল না ছাড়তে-মমতা

Main রাজ্য লোকসভা ভোট 2019
শেয়ার করুন

নির্বাচন কমিশনই এই নির্বাচনের ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ।’

“আমি নিজে হিন্দু ঘরের মেয়ে। কিন্তু আমি উগ্র হিন্দুত্ববাদী ধর্মের বিরুদ্ধে।”

“তৃণমূলের ২০০ পার্টি অফিস দখল করে নেওয়া হয়েছে। ধরে ধরে মুসলিমদের মারা হয়েছে।”

“আমি ৩০ তারিখ ইফতারে যাচ্ছি। একশো বার যাব। যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া ভাল।”

Published on: মে ২৫, ২০১৯ @ ২৩:২৯

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৫ মে: লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দু’দিন বাদে কালীঘাটে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো নিজের ক্ষোভ-রাগ-দুঃখ-হতাশা উগরে দিলেন। জানালেন- অনেক অপমানকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গত কয়েক মাস সরকার চালাতে হয়েছে। তখন আমার কোনও ক্ষমতাই ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম নির্বাচন কমিশনের দয়ায়।এরপরই তিনি বলেন- যেখানে সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্ট কোনও দল সরকার চালায় সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সত্যি আমার মানসিকতা নেই। আমি ওদের বুঝিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কিছুতেই আমার ইস্তফা মেনে নেয়নি।

মমতার নিশানায় সংবাদ্মাধ্যম ও নির্বাচন কমিশন

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যম ও নির্বাচন কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করে বলেন- সংবাদ মাধ্যমও বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। আমি এখনও বিশ্বাস করি, ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইতে বাংলাই নেতৃত্ব দেবে। মানুষ ওদের বিশ্বাস করবে না। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। সংবাদ মাধ্যম, নির্বাচন কমিশনও পক্ষপাতদুষ্ট। সবাইকে ওরা টাকা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনই এই নির্বাচনের ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ।’

‘সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে জিতেছে বিজেপি’

ধর্ম নিয়ে নাম না করে বিজেপিকে দোষেন মমতা । বলেন-দেশটা সবার। এখানে হিন্দু থাকবে, মুসলমান থাকবে, শিখ থাকবে। আমি নিজে হিন্দু ঘরের মেয়ে। কিন্তু আমি উগ্র হিন্দুত্ববাদী ধর্মের বিরুদ্ধে। আমরা মনে করি প্রত্যেকটা ধর্মের সহনশীল হওয়া উচিত।ধর্ম নিয়ে প্রচার করা হয়েছে এই নির্বাচনে। অভিযোগ জানিয়েও কিছু হয়নি। সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে জিতেছে বিজেপি।

ইফতার নিয়ে মমতা যা বললেন

“গণতন্ত্র টাকার কাছে বিকিয়ে গেলে সেই গণতন্ত্র বিপর্যস্ত হয়ে যায়। এ রকম আগে কখনও হয়নি। কোথাও সিপিএম লড়াই করেনি। তারা তাদের ভোট পুরোটাই বিজেপিকে দিয়ে দিয়েছে।” “তৃণমূলের ২০০ পার্টি অফিস দখল করে নেওয়া হয়েছে। ধরে ধরে মুসলিমদের মারা হয়েছে। সব পার্টি অফিস ফেরত নিতে টার্গেট দিয়ে দিয়েছি। আমি ৩০ তারিখ ইফতারে যাচ্ছি। একশো বার যাব। যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া ভাল।” এ কথা বলে মমতার প্রশ্ন- “প্রশাসনের দখল নিতে এত ক্ষুধার্ত কেন বিজেপি?”

সাংগঠনিক স্তরে রদবদল

এদিনের দলীয় কার্যসমিতির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংগঠনিক স্তরে কিছু রদবদল ঘটান। সেই মতো শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য কর্মচারী সমিতির ইউনিয়নের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাড় উপর অতিরিক্ত জঙ্গলমহল, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। অরূপ বিশ্বাসকে দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব। ফিরহাদ হাকিমকে দেওয়া হয়েছে বর্ধমান পূর্বের দায়িত্ব।

Published on: মে ২৫, ২০১৯ @ ২৩:২৯


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

44 − 39 =