মমতার কথায় এখন কেউ রাগ করে না, দুঃখ পায় না, করুনাও করে না, তৃণমূল কংগ্রেস উঠে যাবার মুখে-মুকুল রায়

রাজ্য লোকসভা ভোট 2019
শেয়ার করুন

“বাংলার মানুষ যেদিন নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করে তাঁকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করবেন।”

“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন- যে গরু দুধ দেবে তার লাথি খাওয়া ভাল।তাহলে মুসলিম সম্প্রদায় কি গরু? তাকে এটা পরিষ্কার করতে হবে।”

“তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মই হয়েছে সিপিএম বিরোধিতা করা জন্য। সিপিএম চলে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসও এখন বিলুপ্ত হওয়ার মুখে।”

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৬মে: সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। মমতার তোলা ৪২-এ ৪২ স্লোগানের কথা স্মরণ করে মুকুলের কটাক্ষ- ‘তিনি বলেছিলেন আমরা ৪২-এ শূন্য পাব। পেলাম ১৮। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় এখন আর কেউ রাগও করে না, দুখও পায় না, করুনাও করে না।’

মমতার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ-এর ইচ্ছা নিয়ে ব্যঙ্গ মুকুলের

“গতকাল আবার একটা নাটক দেখলাম। কাগজে হেডলাইন হবার জন্য বললেন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই পদত্যাগ পত্র লিখলেন। নিজেই নিজের কাছে রেখে দিলেন। নিজেই তা গ্রহণ করেননি। আবার নিজেই বললেন- দল গ্রহন করেনি। দলটা কে? দলটাই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাগজে হেডলাইন হবার জন্য এসব বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনে পদত্যাগ করবেন না। ক্ষমতায় থাকার যে স্বাদ তিনি আস্বাদন করছেন। সেই ক্ষমতা থেকে তিনি কোনও মতেই পদত্যাগ করবেন না। বাংলার মানুষ যেদিন নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করে তাঁকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করবেন।” বলেন মুকুল রায়।

‘গরুর লাথি খাওয়া নিয়ে’ যা বললেন মুকুল রায়

মুকুল বলেন-“কাল একটা অদ্ভুত কথা শুনলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন- হ্যাঁ, আমি মুসলিম তোষন করি। তারপরই বললেন- যে গরু দুধ দেবে তার লাথি খাওয়া ভাল।তাহলে মুসলিম সম্প্রদায় কি গরু? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এটা পরিষ্কার করতে হবে। বললেন- আমি মুসলিম তোষন করি সেইজন্য আমি ইফতারে যাব। বেশ করব। যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া ভাল। তার মানে উনি বললেন- মুসলিম সম্প্রদায় ওনার কাছে গরুর মতো। এই হচ্ছে তার মূল্যায়ন মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।”

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মূল্যায়ন

“নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষন করলে দেখা যায় যে তাতে রাজ্যের ১৭জন মন্ত্রী হেরে গেছেন। ১২৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি জিতে রয়েছে। আর ৯টি কেন্দ্রে কংগ্রেস জিতেছে। ৩০ টি বিধানসভা কেন্দ্র আছে যেখানে আমরা ভো্টের ব্যবধানে হেরেছি কোন ও জায়গায় ৩ হাজার, কোথাও ২ হাজার, কোথাও ৭৪০, কোনও জায়গায় হেরেচঘি ১২০০ ভোটে। সর্বোপরি আরামবাগ বিধানসভা কেন্দ্রে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। আমাদের প্রার্থী তপন রায়কে জোর করে হারিয়ে দিয়েছে।১১৪২ ভোটে। ৫৬টি ইভিএম না গুনে। ঘাটাল লোকসভায় কেশপুরের কোনও বুথে ৭৮২টি ভোটের মধ্যে ৭৮০টি তৃণমূল কংগ্রেস। ২টি বিজেপি। আবার কোথাও ৯৯০টি ভোট সেখানে দেখা গেছে ৯৯০টি তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে।স্বাভাবিক ভাবে এই নির্বাচনেও তারা রিগিং করেছে। তা না হলে এটা হতে পারে না। সারা বাংলায় যে ট্রেন্ড সেখানে শুধু কেশপুরে এমন ফলাফল হতে পারে না।”

তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে কটাক্ষ মুকুলের

“তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মই হয়েছে সিপিএম বিরোধিতা করা জন্য। সিপিএম চলে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসও এখন বিলুপ্ত হওয়ার মুখে। আগামিদিন ইতিহাস হয়ে থাকবে যে তৃণমূল কংগ্রেস বলে একটা দল ছিল। তৃণমূল কংগ্রেস ভেঙে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেস বিলুপ্ত হবে। একটা দল কখনও দর্শন ছাড়া থাকতে পারে না। তৃণমূল কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা ক্রুন তো আপনার দর্শন কি? আপনি কি চাইছেন? ভারতবর্ষের অর্থনীতি নিয়ে আপনার বক্তব্য কি? ভারতবর্ষের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে আপনার বক্তব্য কি? শিল্প নিয়ে আপনার বক্তব্য কি? একটা দল তৈরি হয়েছিল সিপিএম-কে হারানোর জন্য। সেই কাজটা শেষ হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসও উঠে যাবার মুখে।” বলেন মুকুল।

“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিল নির্বাচনে আমরা ৪২-এ শূন্য পাব। সেখানে আমরা ১৮টি আসন পেয়েছি। আসলে এখন মমতা ব্যানার্জির কথায় কেউ রাগ করে না, দুঃখ পায় না, করুনাও করে না।”


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 26 = 28