মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর করেনি বন দফতর, হাতির হামলার মাশুল গুনছে গ্রামের মানুষ

Main বন্যপ্রাণ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                                      ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: ডিসে ১, ২০১৮ @ ২১:১২

এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ১ ডিসেম্বরঃ এতদিনেও সমাধানের পথ বের করতে পারল না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাও বা একটি সমাধেনের পথ বলে গেল সেটাকেও কার্যকর করার দিকে এখনও নজর দেওয়ার সময় হল না। আর এর ফলে ঝাড়গ্রাম-মেদিনীপুর জেলায় হাতির তান্ডব অব্যাহত। মাশুল গুনতে হচ্ছে গ্রামের মানুষকে।

একের পর এক হাতির তান্ডবে জেরবার মানুষকে রক্ষা করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন দফতরকে দিয়েছিলেন এক সমাধানের পথ। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন- ঘন ঘন চলে আসা হাতির দলকে ঠেকাতে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই মতো তিনি বন দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাঁকরাইল,  লালগড্‌ বিনপুর, বেলপাহাড়ি  ও গোপীবল্লভপুর সহ  ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গল লাগোয়া বেশ কয়েকটি ব্লকে হাতির জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করতে। কিন্তু কোথায় সেই নির্দেশ কার্যকর করা হল? যার ফলে খাবারের জন্য হাতির তান্ডব সমানে চলছে ঝাড়গ্রাম জেলায়।

এখনও পর্যন্ত হাতিদের  জন্য বিকল্প খাবারের তেমন কোনও ব্যবস্থা  না হওয়ায় ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের বেশ কিছু গ্রামের ধান খেতে শনিবার সকালে তান্ডব চালায় ২৫টি হাতির একটি দল। মাঠে কেটে রাখা পাকা ধান খেয়ে  এবং পায়ে মাড়িয়ে  হাতির দল নষ্ট করে দিয়েছে  কয়েকশো বিঘা জমির ফসল। এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে হাতির দল।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কাদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বন দফতরের ঝাড়গ্রাম জেলায়? এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাঁকরাইল ব্লকের চুনপড়া ধানঘোরি সহ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে এর দায় কি বন দফতর নেবে তো? নিজেদের অপদার্থতা তারা স্বীকার করে নেবে তো?  হাতির দল যে ফসল নষ্ট করেছে তার ক্ষতিপূরণ বন দফতর নিজেদের দফতরের থেকে দিতে পারবে তো? কি বলবেন বন দফতরের কর্তারা?মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো তারা যদি সত্যি হাতিদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারতেন তাহলে এই ক্ষতি কিছুটা হলেও হয়তো রোখা সম্ভব হত। মনে করছেন অনেকেই।

Published on: ডিসে ১, ২০১৮ @ ২১:১২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

64 + = 69