সংবাদদাতাত– বাপ্পা মণ্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: নভে ৩০, ২০১৮ @ ২৩:৩৭
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ৩০ নভেম্বরঃ আমাদের দেশে পুজো-পার্বন-উৎসবের শেষ নেই।এক এক জায়গায় এক এক রকমের রীতি। এক এক রকমের উৎসব। তেমনই এক পার্বন হল “হলোপৌড়া অষ্টমী”।আমরা মহাষ্টমী, কৃষ্ণাষ্টমী, রাধাষ্টমীর নাম শুনেছি। কিন্তু “হলোপৌড়া অষ্টমী”! না, এমন নাম শোনা যায়নি। অথচ দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত বাংলার অন্যতম সামাজিক ও পারিবারিক উৎসব এই “পৌড়া অষ্টমী”।কারো কাছে যা “পোড়া অষ্টমী”বা “প্রথমা অষ্টমী”।পরিবারের প্রথম কিংবা জ্যেষ্ঠ সন্তানের মঙ্গল কামনায় এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।কারো কাছে এটি “পোড়া অষ্টমী”বা “প্রথমা অষ্টমী”।প্রথম বা জ্যেষ্ঠ সন্তানের মঙ্গল কামনায় এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।
কিভাবে পালিত হয়ে থাকে
এই অনুষ্ঠানে মামা বাড়ি থেকে নতুন পোষাক,চন্দন,ধান,দূর্বা,ফুল আসে।নিয়ে আসেন মামাবাডির কেউ।আবার নিজের বাড়িতেও কেনা হয় নতুন জামাকাপড়।বাড়ির উঠোনে তুলসিতলার কাছাকাছি মায়েরা সন্তানের মঙ্গলের জন্য কলাপাতা বিরির বড়ি বসান। যার অষ্টমী তিনি এদিন হলুদ ও গঁধাউলার(আবাটা) মিশ্রণ গায়ে মেখে চান করার পর নতুন বস্ত্র ,নতুন রেশম পরিধান করে করেন।তারপর তার কপালে মঙ্গল টীকা পরিয়ে দেন মা সহ বাড়ির বড়রা।
কি খাওয়া হয়
বিয়ের পর অবশ্য মামাবাড়ি থেকে জামাকাপড় আসাটা আর বাধ্যতামূলক থাকে না। মেয়েদের ক্ষেত্রে বাবার বাড়ি থেকে আর ছেলেদের ক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়ি থেকে আসে।তবে অনেকের ক্ষেত্রে বিয়ের পর মামাবাড়ি থেকেও অষ্টমীর সামগ্রী আসে।এদিন নানা রকম পিঠে ,মিষ্টি ,পায়েস,পলাও তৈরি হয় বাডিতে।দুপুরের আহারেও থাকে আমিষ-নিরামিষ নানাপদ। যাদের অষ্টমী তাদের আজ “ভুজা” (মুড়ি) খাওয়া বারণ।
রক্ষা করতে হবে
শুক্রবার সীমান্ত বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল সহ অখন্ড মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আনন্দের সাথেই পালিত হলো পৌড়া অষ্টমী। লোকসংস্কৃতির গবেষক মধূপ দের মতে, ওড়িশার সংস্কৃতির প্রভাব রয়েছে এই পৌড়া অষ্টমীতে। লোকসংস্কৃতি বিষয়ে অনুসন্ধ্যিৎসু শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়ার মতে, মানুষের পারিবারিক বন্ধনের সাথে যুক্ত ও আমাদের লৌকিক সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত এই উৎসবগুলির রঙ আস্তে আস্তে ফিকে হচ্ছে,সবাই মিলে একে রক্ষা করতে হবে।
Published on: নভে ৩০, ২০১৮ @ ২৩:৩৭