হনুমানজীকে দলিত বলা অপমানজনক, তিনি তো ব্রাহ্মণ- বললেন শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ

Main দেশ ধর্ম
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ১, ২০১৮ @ ২৩:৫৭

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ ভগবান হনুমানজীর জাত নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলার মাঝে শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী জানিয়ে দিলেন তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণ। তিনি আরও বলেন, তুলসিদাস হনুমা্নজী সম্পর্কে লিখেছেন ‘কান্ধে মুজ জনৈউ সাঁজে’-এর সোজা অর্থ হল তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন দলিত নয়।তিনি বলেন, বিজেপি রাম মন্দির নির্মাণ সম্পর্কে আন্তরিক নয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুনাফা লাভের কৌশল হিসাবে শুধুমাত্র এই সমস্যাটি উত্থাপন করছে।

হনুমানজীকে একজন দলিত বলে উল্লেখ করার জন্য উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নিন্দা করেন স্বামী স্বরূপানন্দ। তিনি বলেন, ত্রেতা যুগে দলিত শব্দটাই ছিল না। প্রথমে গান্ধী অবহেলিত শ্রেণীকে হরিজন বলে ডাকেন এবং পরবর্তীতে মায়াবতী দলিত শব্দের ব্যবহার শুরু করেন।

স্বামী স্বরূপানন্দ জব্বলপুরে সাংবাদিকদের বলেন, রাম মন্দির নিয়ে সংসদে একপ্রস্তাব নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তা পেশ করা উচিত। জার ফলে এই কাজে সামনে চলে আসা বাধাগুলি কেটে যাবে। কিন্তু বিজেপি এসব না করে রামমন্দিরের কথা বলে জনগনকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। এমনকি আইন প্রণয়নের অযৌক্তিক জিনিসও সময়-সময়ে আসে। যদিও রাম মন্দিরের বিষয়ে অধ্যাদেশ কোনও দৃষ্টিতে প্রাসঙ্গিক নয়। এ কারণেই ৬৭ একর জমি ইতিমধ্যে রামল্লার জন্য অর্জিত হয়েছে।

স্বামী স্বরূপানন্দ আরও বলেন, “যে ভাবে বাবরি মসজিদ বলে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সেখানে কোনওদিন বাবরি মসজিদই ছিল না। কারণ সেখানে ধ্বংসাবশেষে নির্মাণে মঙ্গলকলস এবং হনুমানজীর ছবি সহ অন্য প্রমাণ মিলেছে। যা থেকে বোঝা যায় সেখানে হিন্দু ধর্মস্থল ছিল। এসব নিয়ে বিজেপি-আরএসএস সহ অন্য হিন্দু সংগঠনগুলি রাজনীতির ফায়দা লুঠতে বাওবির নিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছে। সত্য এটাই, যে অযোধ্যায় বাবর কোনওদিনও পৌঁছয়নি। তাহলে সেখানে বাবরি মসজিদ কিভাবে হল?”

স্বামী স্বরূপানন্দ গুজরাটে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের বিশাল মূর্তি নির্মাণের নিন্দা করেন। তিনি বলেন-সরকার পুতুল গড়তে পারেন মন্দির নয়। এক্ষেত্রে বিজেপি রামমন্দিরের স্থানে সরযু নদীর ধারে ভগবান শ্রীরামের বিশালাকার বিগ্রহ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে।

শুক্রবার রাঁচী পৌঁছে বাবা রামদেব ভগবান হনুমানজীর জাত নিয়ে উঠা বিতর্কে বলেন-বজরঙ্গবলীর জাতির ব্যাপারে শাস্ত্রের কোথাও উল্লেখ নেই। কিন্তু তাঁর গুন, কর্ম নিয়ে বিচার করে বলা যায় তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণ। তিনি সমস্ত বেদের মহান পন্ডিত ছিলেন। ভারতে কোনও বর্ণ নেই। তাই কর্মের উপর ভিত্তি করে বলা যায় বজরঙ্গবলী ব্রাহ্মণ, যোগী, যোদ্ধা এবং ক্ষত্রিয়।

Published on: ডিসে ১, ২০১৮ @ ২৩:৫৭

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

95 − 87 =