সংবাদদাতা- অনিরুদ্ধ পাল ও ডা. সৌমিত্র পন্ডিত
Published on: নভে ২২, ২০১৮ @ ২২:১৯
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২২ অক্টোবরঃ সময়ের সঙ্গে বদলে যেতে শুরু করেছে অনেক কিছু। মানুষের জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে খাবার-দাবারের রকমও।বিশেষ করে মাছ-মাংসের চাহিদা যেভাবে প্রতি্নিয়ত বেড়ে চলেছে সেদিকে খেয়াল রেখে শুরু হয়ে গেছে নানা কর্মকান্ড। আজ বৃহস্পতিবার তেমনই এক কর্মকাণ্ডের সাক্ষী থাকলাম আমরা।যেখানে পেশী খাদ্য অর্থাৎ মাংসজাত খাদ্যের প্রক্রিয়াকরন ঘটিয়ে সেটাকে আগামীদিনে সারা ভারতে কিভাবে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তারই চিন্তা-ভাবনা কর্মকুশলতা তুলে ধরতে শুরু হল ইন্ডিয়ান মিট অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম-এর অষ্টম সম্মেলন। মনে করা হচ্ছে আজ থেকে তিন ধরে চলা এই সম্মেলন থেকে এমন কিছু সূত্র উঠে আসবে যাতে করে আগামিদিনে সারা ভারতে মাংসজাত খাবারের প্রক্রিয়াকরণে এক নয়া দিগন্ত খুলে যাবে।
এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ কুমার মজুমদার, দেশ-বিদেশের অধাপক-বিজ্ঞানীরা। যাঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের চিটাগং ভেটিরিনারি এন্ড অ্যানিমাল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাস, বাংলাদেশের ঢাকার শের-ই-বাংলার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, অস্ট্রেলিয়ার মে্লবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং মিট সায়েন্স ও টেকনোলজির ৬৪তম ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সেন অধ্যাপক রবিন ওয়ার্নার, ইন্ডিয়ান মিট সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ভি ভি কুলকার্নি, সম্পাদক ড. এম মুথুকুমার, সর্বোপরি অনুষ্ঠানের অন্যতম কান্ডারি পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পূর্ণেন্দু বিশ্বাস।
প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অতিথিরা।তার আগে অতিধিদের বরন করে নেওয়া হয়ে রীতি মেনেই। এরপর শুরু হয় “পুষ্টি নিরাপত্তা, মান এবং নিরাপত্তা জন্য পেশী খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন” বিষয়ক এক মনোজ্ঞ আলোচনা। যেখানে প্রতিটি বক্তাই তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন। বাংলাদেশের অতিথিরা যেমন তাদের দেশের কথা তুলে ধরেন ঠিক তেমনই অষ্ট্রেলিয়ার অধ্যাপক ওয়ার্নার ভারতে মাংসজাত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের উৎসাহ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে কলকাতাকে “সিটি অব জয়” বলে সম্বোধন করে এই শহরের কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। ভারত যেভাবে মাংসজাত খাবার প্রক্রিয়াকরণে উন্নতি করছে তা যে আগামিদিনে এদেশে এক বড় ধরনের ফল মিলবে সেকথাও তিনি তাঁর বক্তব্যের মধ্যে প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের ঢাকার শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তো স্বীকার করেই ফেললেন যে ভারত মাংসজাত খাবার প্রক্রিয়াকরণে যে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ এখনো সে জায়গায় পৌঁছতে পারেনি তবে তিনি এও জানিয়ে দেন বাংলাদেশ চুপ করে বসে নেই আমরাও এব্যাপারে চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করি আগামিদিনে আমরাও সেই জায়গায় পৌঁছতে পারব।
এই সম্মেলন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মাছ-মাংসের এক মেলার আয়োজন করা হয়।যার উদ্বোধন করেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। অনুশঠানে দেশের বিশিষ্ট কয়েকজন প্রাণী ও কৃষি বিজ্ঞানীকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় ছৌ-নৃত্য।
Published on: নভে ২২, ২০১৮ @ ২২:১৯