Published on: জানু ২২, ২০২১ @ ১৭:৫৩
এসপিটি নিউজ: অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারি ও লক্ষ্মীরতন শুক্লা। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেন রাজীব। তারপর তিনি সোজা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের হাতে ইস্তফা পত্র তুলে দেন। রাজ্যপাল এই ট্যুইট বার্তায় রাজীবের ইস্তফা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।
এর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে নিজের ইস্তফা পত্রের চিঠি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে লিখেছেন- “আপনি সব ভাল করছেন আশা করি। এটি আপনাকে জানাতেই আমি আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বন বিভাগের মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করছি। বছরের পর বছর ধরে আমি আমার দায়িত্বটি সম্পূর্ণ দায়িত্ব এবং নিষ্ঠার সাথে করার চেষ্টা করেছি।”
“আমি আপনাদের প্রত্যেককেই আমার বর্ধিত পরিবার হিসাবে বিবেচনা করেছি এবং আপনার সমর্থন আমাকে সর্বদা অতিরিক্ত মাইল যেতে এবং আরও ভাল উপায়ে আপনার সেবায় থাকতে অনুপ্রাণিত করেছে, তাই আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ ঘোষণা করছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি যেমন. আমি আশা করি যে আগামী বছরগুলিতে আমি আপনার প্রতিটি সেবায় যথাসম্ভব সর্বোত্তম উপায়ে সক্ষম হতে পারব কারণ আমার রাজনীতিতে আসার একমাত্র কারণ ছিলেন আপনি।”
রাজ্যপাল ধনখড় এক ট্যুইট বার্তায় লিখেছেন যে সংবিধানের আওতায় আমার উপর অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগের সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ গ্রহণ করা হবে এবং বন বিভাগের দায়িত্বে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।
On the recommendation @MamataOfficial resignation of West Bengal Forest Minister Rajib Banerjee is accepted with immediate effect in exercise of the powers vested in me under Constitution and charge of Forest Department would rest with Hon''ble Chief Minister.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) January 22, 2021
রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজীব। সেখানে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন- আড়াই বছর আগে তার হাত থেকে সেচ দফতরের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। আর সেকথা আমাকে জানানোও হয়নি। তখন। আমি তখন উত্তরবঙ্গে বসে মিটিং করছি। সেইসময় আমাকে বলা হয়েছিল দলীয় কার্যালায়ে বসতে হবে। আমাই তখন কর্মীদের সংগে বসে মিটিং করছি। আর তখন আমাকে সেখানে বসে টিভিতে ব্রেকিং নিউজ দেখে জানতে হল যে আমাকে সেচ দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা সরিয়ে আপনি দিতেই পারেন। কিন্তু আমি একজন সহকর্মী হিসেবে সহযোদ্ধা হিসেবে এটুকু আশা তো করতে পারি মুখ্যমন্ত্রী নিজে আমাকে জানাক। তিনি তো আমাকে জানাতে পারতেন। এটুকু সৌজন্য তো তিনি দেখাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা দেখাননি। সেদিনই আমি ঠিক করেছিলেম মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেব। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রী আমাকে নিরস্ত করেছিলেন। এতদিন ধরে অনেক সহ্য করেছি। কিন্তু এখন দলের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। এটা আমাই আর সহ্য করতে পারছি না।তাই এবার ঠিক করলাম মন্ত্রিসভায় আর থাকব না। অনেক কষ্ট বেদনা নিয়ে ইস্তফা দিলাম। জানান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।কথাগুলি বলার সময় রাজীব কেঁদে ফেলেন।চোখ মুছতে মুছতে চলে যান।
Published on: জানু ২২, ২০২১ @ ১৭:৫৩