ভারতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বাড়ানো হবে -জানালেন সেদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থ ও বাণিজ্য দেশ বাংলাদেশ
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা– ইবতিসাম রহমান

Published on: মার্চ ১৮, ২০১৯ @ ২০:১৮

এসপিটি নিউজ, ঢাকা, ১৮ মার্চ: যত দিন যাচ্ছে ততই ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পন্যের চাহিদা বাড়ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশও আর্-সামাজিক ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থানের উন্নতি করেছে। আর সেই দিকে খেয়াল রেখে এবার ভারতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বাড়ানোর দিকে নজর দিতে চলেছে বাংলাদেশ। সোমবার ঢাকায় সচিবালয়ে ভারতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলি দাসের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন-” ভারতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। তাই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহজীকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি পোশাক রফতানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

ভারতও চায় বাংলাদেশের তৈরি পণ্য সেদেশে রফতানি হোক

১) বৈঠকে বাণিজ্য সচিবের দায়িত্বে নিযুক্ত অতিরিক্ত সচিব এস এম রেজোয়ান হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “তৈরি পোশাক ভারতের বাজারে বিক্রয় করলে বাংলাদেশ লাভবান হবে। ভারতও চায় বাংলাদেশের তৈরি পণ্য সেদেশে রফতানি হোক। বাংলাদেশ সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখায় উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

বর্ডার হাট-এর সংখ্যাও বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু

১) বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্ডার হাট ভারত এবং বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে ৪টি বর্ডার হাট চালু আছে, আরো ৬টি বর্ডার হাট স্থাপন প্রক্রিয়াধীন। উভয় দেশের মানুষের পণ্য ক্রয় সীমা বৃদ্ধির পাশাপাশি হাটের পরিধিও বাড়ানো হচ্ছে।”

২) “মিরেরসরাই এবং মোংলায় দুটি বড় ইকোনমিক জোনে ভারত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এতে আগামীতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে অনেক পরিবর্তন আসবে।”

বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

১) এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলি দাস।তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।বাংলাদেশের পণ্য ভারতের বাজারে বিক্রয় হচ্ছে। অনেক পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে ভারতে।” তবে বাণিজ্য ক্ষেত্রে যেসব জটিলতা রয়েছে সেসব আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

  • গত আর্থিক বছরে বাংলাদেশ ভারতে ৮৭৩ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে।
  • একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৮,৬১৯ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

Published on: মার্চ ১৮, ২০১৯ @ ২০:১৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 2 = 2